প্রথমবারের মতো ফোনালাপ করেছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি ও ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। ফিলিস্তিন ইসরায়েল যুদ্ধের মধ্যে এ দুই নেতা ফোনালাপ করেছেন। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলে হামলার পর থেকে দেশটির পাশে রয়েছে ইরান ও মিসর। যুদ্ধবিরতি ও গাজার জন্য রাফাহ সীমান্ত দিয়ে ত্রাণ সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে মিসর। অন্যদিকে ইসরায়েলের হামলার বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছে ইরান।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, গাজার পরিস্থিতি নিয়ে দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নয়ন হয়েছে। প্রথমবারের মতো মিসর ও ইরানের প্রেসিডেন্টের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে।
টেলিভিশনের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাইসি বলেন, ইহুদি সরকারের গণহত্যা বন্ধে ইরান তার সর্বোচ্চ সক্ষমতা ব্যবহার করতে প্রস্তুত রয়েছে। এমনকি ফিলিস্তিনি ত্রাণ পাঠানোর কথাও জানান তিনি।
চলতি বছরের নভেম্বরে জয়েন্ট আরব-ইসলামিক এক্সট্রাঅর্ডিনারি সামিটে রিয়াদে প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ করেন রাইসি ও সিসি।
দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে এক দশক ধরে টানাপড়েন চলছে। তবে এর মধ্যেও তাদের মাঝে কূটনৈতিক যোগাযোগ রয়েছে।
এর আগে শনিবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, এবার ভূমধ্যসাগর বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ইরান। দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কমান্ডার এ হুমকি দেন।
ইরানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কমান্ডার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা গাজায় অপরাধ অব্যাহত রাখলে তারা ভূমধ্যসাগর বন্ধ করে দিবে। তবে দলটি কীভাবে বা কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে তার কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।
গাজায় গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনে এ হামলার পেছনে মার্কিন সমর্থন রয়েছে বলে অভিযোগ হামাসের। তাদের হামলায় অন্তত ২০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া গৃহহীন হয়েছেন অসংখ্য মানুষ।
বার্তা সংস্থা তাসনিম ব্রিগেডিয়ার কো-অর্ডানেটিং কমান্ডার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা নাকদির উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তারা খুব দ্রুতই ভূমধ্যসাগর, জিব্রাল্টার প্রণালি ও বিভিন্ন জলপথ বন্ধ করে দিতে চলেছে।
এর আগে লোহিত সাগর দিয়ে চলালচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের হামলার পরিকল্পনায় ইরান গভীরভাবে জড়িত বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব বাণিজ্যিক জাহাজকে টার্গেট পরিণত করতে হুথিদের তেহরান গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেছে বলে দাবি ওয়াশিংটনের।
এদিকে গত মাস থেকে লোহিত সাগরে হুথিদের হামলার কারণে এ পথে জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিভিন্ন বিখ্যাত কোম্পানি। এমনকি এ সব কোম্পানি আফ্রিকার হোপ অব কেপ ঘুরে অতিরিক্তি সাড়ে তিন হাজার ন্যাটিক্যাল মাইল পাড়ি দিচ্ছে।
মন্তব্য করুন