কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

৩০০ দিন মহাকাশে আটকা, কী খেয়ে বেঁচে আছেন তারা?

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস। ছবি : সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস। ছবি : সংগৃহীত

মাত্র আট দিনের জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাড়ি জমিয়েছিলেন দুই নভোচারী বুচ উইলমোর ও সুনিতা উইলিয়ামস। কিন্তু তাদের বহনকারী পরীক্ষামূলক ওই মহাকাশযানে কারিগরি ত্রুটি দেখা দেওয়ায়, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আটকে পড়েন তারা। আট দিনের সেই যাত্রা ৯ মাসে বদলে যায়। অবশেষে চলতি সপ্তাহে তারা পৃথিবীতে ফিরছেন বলে আশা করা হচ্ছে।

পৃথিবী থেকে বহুদূরে মহাকাশে ২৮৭ দিন পার করেছেন নাসার এই দুই নভোচারী। যেখানে পাহাড় বা সমুদ্রে ঘুরতে গেলেও এক-দুদিন অতিরিক্ত সময় লাগলে আমাদের খাবার থেকে জামাকাপড়- সবকিছু নিয়েই টানাটানি পড়ে যায় সেখানে তারা এতদিন কীভাবে টিকে থাকলেন! প্রায় ৩০০ দিন মহাকাশে কি খেয়েই বা বেঁচে ছিলেন তারা?

ভারতীয় সংবাদ ওয়েবসাইট নিউজ উইক জানিয়েছে, মহাকাশে থাকলেও খাবার নিয়ে কষ্ট পেতে হয়নি সুনীতা উইলিয়ামস বা বুচ উইলমোরকে। ব্রেকফাস্টসহ প্রতিদিন তিন বেলাই খাবার খেয়েছেন তারা। মহাকাশে তাদের খাবারের তালিকায় ছিল গুঁড়া দুধ, পিৎজা, শ্রিম্প ককটেল, রোস্টেড চিকেন ও টুনা মাছের মতো আইটেম। যেহেতু মহাকাশে তাজা শাকসবজি বা ফল পাওয়া সম্ভব নয়, তাই তারা প্যাকেজিং করা শুকনা ফল ও সবজি খেয়েছেন।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, প্রতি তিন মাসে একবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে তাদের কাছে তাজা শাকসবজি ও খাবার পাঠানো হয়। সেগুলিই প্যাকেজ-জাত করা থাকে এবং পরবর্তী ৩ মাস সুনিতারা সেই প্যাকেজ-জাত শাকসবজি খান।

এছাড়া মাছ-মাংসও খেতে পারেন মহাকাশচারীরা। যেহেতু পৃথিবী থেকেই এগুলি রান্না করে, প্যাকেট করে পাঠানো হয়, তাই মহাকাশে গিয়ে এই খাবারগুলি ফুড ওয়ার্মার দিয়ে গরম করে খান মহাকাশচারীরা। ডিহাইড্রেটেড স্যুপ, স্ট্যু ও ক্যাসেরোলও থাকে মহাকাশচারীদের মেনুতে। এর মধ্যে শুধু পানি ঢাললেই তা খাবার উপযোগী হয়ে যায়।

নাসার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ৫৩০ গ্যালনের পানির ট্যাঙ্ক রয়েছে। পানির পিপাসায় সেই পানি পান করতেন সুনিতারা। এছাড়া শুকনা খাবারকে খাওয়ার উপযোগী করে প্রস্তুত করতেও সেই পানি ব্যবহার করেছেন তারা।

উল্লেখ্য, গেল বছরের জুনের শুরুতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন বুচ ও সুনিতা। পরীক্ষামূলক মহাকাশযান স্টারলাইনারে করে মহাকাশে পাড়ি দিয়েছিলেন তারা। স্পেসএক্সের প্রতিদ্বন্দ্বী বোয়িং এই মহাকাশযানটি বানিয়েছে। কিন্তু কারিগরি ত্রুটির কারণে সেই যানে করে আর পৃথিবীতে ফিরতে পারেননি বুচ ও সুনিতা।

শেষমেশ ওই মহাকাশযানের মিশন কয়েক বছরের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়। যদিও বোয়িং জোর গলায় বারবার জানায়, তাদের স্টারলাইনার নিরাপদ এবং এটিতে করেই বুচ ও সুনিতাকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। কিন্তু নাসা এ নিয়ে সামান্যতম ঝুঁকি নিতে চায়নি। তাই ক্রু রোটেশনের নির্ধারিত সময়েই বুচ ও সুনিতাকে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় নাসা।

তারা কয়েক মাস আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আটকে থাকার পর সেখানে নোঙর করল স্পেসএক্স ড্রাগন ক্যাপসুল। আর তাতে করেই পৃথিবীতে ফিরবেন বুচ ও সুনিতা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চলতি বছর করোনায় চট্টগ্রামে প্রথম মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১০

ইরানের সঙ্গে আকাশ ও স্থলপথ বন্ধ করল পাকিস্তান

খালে মিলল মডেলের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ

পটুয়াখালীতে ডেঙ্গুতে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

এবার মধ্যপ্রাচ্যের পথে মার্কিন রণতরী

বেসরকারি হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ‘ভয়ংকর’ প্রতারণার ফাঁদ

চৌগাছার সেই শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

প্রেমে রাজি না হওয়ায় স্কুলছাত্রীকে হত্যা করে প্রতিবেশী

নারী বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচ কখন, কোথায়?

গলের টেস্টের আগে মিরাজকে ঘিরে উদ্বেগে বাংলাদেশ

১০

বগুড়ায় পিস্তলসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার

১১

ডিভোর্স নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে সালমান খান

১২

বিছানার ওপর পড়ে ছিল সুমির অর্ধগলিত মরদেহ

১৩

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, পাল্টা হুঁশিয়ারি ইসরায়েলের

১৪

যে বিষয়টি গোপন রাখতে চান শান্ত

১৫

‘ইরানের সক্ষমতায় বিস্মিত ইসরায়েল’

১৬

বড় সুখবর পেলেন শিক্ষকরা 

১৭

রণবীরের নায়িকা হচ্ছেন কি কৃতি স্যানন?

১৮

জবির সাবেক শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে প্রবেশে নতুন নির্দেশনা

১৯

লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা নন-এমপিও শিক্ষকদের

২০
X