কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৩ পিএম
আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই যেভাবে কাজ করে

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

উপমহাদেশের সবচেয়ে পুরোনো গুপ্তচর সংস্থা হিসেবে পরিচিত পাকিস্তানের আইএসআই তথা ইন্টার সার্ভিস ইন্টিলিজেন্স। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরনের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দেশের অভ্যন্তরে তাদের কার্যক্রম না চালালেও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আইএসআই। শুধু তাই নয় রাজনৈতিক নজরদারির অভিযোগও রয়েছে সামরিক এ গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে। চলুন জেনে নেওয়া যাক দুর্ধর্ষ এ গোয়েন্দা সংস্থার কার্যক্রম ও সাংগঠনিক কাঠামো নিয়ে।

আইএসআই’র মূল দায়িত্ব মূলত পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সংস্থাটিতে সামরিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি কাজ করে থাকেন প্রচুর বেসামরিক কর্মকর্তাও। যদিও তাদের উচ্চপদে দেখা যায় না।

আবার সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার করে থাকেন বেশিরভাগ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা, যদিও এতে বিমান ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তারাও কাজ করেন। আইএসআই’র মহাপরিচালকই বিদেশি গুপ্তচর সংস্থাসমূহ এবং ইসলামাবাদের দূতাবাসগুলোতে নিযুক্ত সামরিক অ্যাটাশেদের সঙ্গে যোগাযোগের মূল মাধ্যম হিসাবে কাজ করেন। একইভাবে তিনি পর্দার আড়ালে থেকেই প্রধানমন্ত্রীর গোয়েন্দাবিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেন।

আইএসআই পাকিস্তানের ৩টি সামরিক বাহিনীর নিজস্ব গোয়েন্দা বাহিনীর মতোই কাজ করে থাকে। তবে সামরিক বাহিনীগুলোর অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার তুলনায় আইএসআইকে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে প্রভাবশালী ও সবচেয়ে শক্তিশালী গুপ্তচর সংস্থা বলে বিবেচনা করা হয়। কয়েক বছর আগে ওয়াশিংটনভিত্তিক ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএসআইতে ১০ হাজার অফিসার ও কর্মচারী রয়েছেন। আইএসআইতে ছয় থেকে আটটি বিভাগ রয়েছে।

আইএসআইয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ জয়েন্ট কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো বা জেসিআইবি। সংস্থাটির উপমহাপরিচালক বিদেশের মাটিতে ‘জেসিআইবি’-র কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করেন। এই বিভাগটির দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে বিদেশে কর্মরত পাকিস্তানি কূটনীতিকদের ওপর নজরদারি করা। একই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া, চীন, আফগানিস্তান ও সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া দেশগুলোতে গুপ্তচরবৃত্তি চালানো।

জেসিআইবির ৪টি অধিদপ্তর রয়েছে। একটি বিভাগ বিদেশি কূটনীতিক ও বিদেশিদের ওপরে ব্যক্তিগতভাবে নজরদারির করা হয়। আরেকটি বিভাগ অন্য দেশের রাজনীতি সম্পর্কিত গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে। তৃতীয় বিভাগ এশিয়া, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে, চতুর্থ বিভাগটি প্রধানমন্ত্রীর গোয়েন্দাবিষয়ক সহকারী হিসেবে কাজ করেন। এই বিভাগটি আইএসআই কর্মকর্তাদের ওপরে নজরদারি ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের তথ্য সংগ্রহ করে। পাকিস্তানের সব বড় শহর অঞ্চলে এই বিভাগের কার্যালয় আছে।

আইএসআইয়ের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ অধিদপ্তর হল জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো তথা জেআইবি। এটি স্পর্শকাতর রাজনৈতিক বিষয়গুলোর ওপরে নজর রাখে। এটি ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, আমেরিকা, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করে এবং এজেন্টদের মাধ্যমে আইএসআই সদর দপ্তরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বুধবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১২ দল ও সমমনা জোটের সঙ্গে গণতন্ত্র মঞ্চের বৈঠক

১৭১ রোহিঙ্গাকে আটক করে ক্যাম্পে ফেরত পাঠাল বিজিবি

গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) খালেদ হোসাইনের নেতৃত্বে নতুন সদস্যদের গণসংহতি আন্দোলনে যোগদান

গাজীপুরে প্রবাসী বিএনপি নেতা পারভেজের প্রার্থিতা ঘোষণা

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইমাম প্রশিক্ষণ দেবে তুরস্কের দিয়ানাত ফাউন্ডেশন

স্বপ্নদ্রষ্টার হাত ধরে ল্যাবএইড এআইয়ের উদ্বোধন

মতবিনিময় সভায় যুব নেতারা / জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে 

দুর্গাপূজা নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যে উদ্বেগ ঐক্য পরিষদের 

মিয়ানমারে বৌদ্ধদের উৎসবে জান্তার বিমান হামলায় নিহত ৪০

১০

আ.লীগের কর্মী-সমর্থকদের জন্য কেঁদে কেঁদে দোয়া করলেন হাদি

১১

তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারে ভুল উদ্ধৃতি সংশোধনের আহ্বান টিআইবির

১২

‘আবরারের স্মৃতিস্তম্ভ নিয়ে অনেকের গাত্রদাহ দেখেছি’

১৩

সৌন্দর্যবর্ধনে সাভার উপজেলা প্রশাসনের নানা উদ্যোগ

১৪

ছেলের দায়ের করা মামলায় বাবাসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

১৫

ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে কোরআন অবমাননা, সিএমপির জরুরি সতর্কবার্তা

১৬

জাতীয়করণ নিয়ে বেসরকারি শিক্ষকদের প্রতি তারেক রহমানের বার্তা

১৭

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

১৮

খেলা শেষ হতেই রেফারির ওপর হামলা

১৯

জোর করে পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের জন্য সুখবর

২০
X