পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। পৃথক অভিযানে তারা নিহত হন।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রদিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ বিভাগ (আইএসপিআর) জানিয়েছে, পোপন তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়েছে। এতে কেচ জেলার তুরবাত এলাকার কাছে চালানো অভিযানে ৩ সন্ত্রাসী নিহত হন। অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী ও সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। এতে তিন সন্ত্রাসী নিহত হয় এবং তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
আইএসপিআর জানিয়েছে, নিহত সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা ও বেসামরিক নাগরিক হত্যাসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল।
নিরাপত্তা বাহিনী এলাকাটিতে আরও সন্ত্রাসী উপস্থিতির আশঙ্কায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান (স্যানিটাইজেশন অপারেশন) পরিচালনা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সফল অভিযানের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বাহিনীর পেশাদারত্ব ও সাহসিকতার প্রশংসা করেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারের অটল অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা বেলুচিস্তানের শান্তি ও উন্নয়নের শত্রু। সরকার উন্নয়নের যাত্রা অব্যাহত রাখবে। জাতি নিরাপত্তা বাহিনীর পাশে আছে।
অন্যদিকে জিয়ারত জেলার ছোটির এলাকায় চালানো আরেক অভিযানে ৭ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত চালানো এই অভিযানে চোটির ও সানজাভি এলাকার মাঝামাঝি স্থানে সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর গুলি চালায়। বাহিনীও পাল্টা গুলি ছোড়ে।
দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা গুলিবিনিময়ে সন্ত্রাসীরা হ্যান্ড গ্রেনেডও ব্যবহার করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে ৭টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
জিয়ারতের উপকমিশনার জাকাউল্লাহ দুররানি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহতদের মরদেহ জিয়ারতের জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন