টানা বেশ কয়েক দিনের হামলা, পাল্টা হামলা ও উত্তেজনার পর সম্প্রতি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে ভারত-পাকিস্তান। এরপর উভয় দেশের সামরিক কর্মকর্তারা নিয়মিত একে-অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এমনকি দ্বিতীয় মেয়াদে বাড়ানো হয়েছে যুদ্ধবিরতির মেয়াদও। এমন নানা প্রচেষ্টায় ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পারদও কমে এসেছে অনেকটাই। তবে দেশ দুটির সীমান্তে চলমান সামরিক উত্তেজনার মধ্যে এবার চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন ভারতের সেনাবাহিনীর শীর্ষ এক কর্মকর্তা।
সেনাবাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষা শাখার মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুমের আইভান ডি’কুনহা দাবি করেছেন, পাকিস্তানের পুরো ভূখণ্ড ভারতের হামলার সীমার মধ্যে রয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘাতের প্রেক্ষাপটে তিনি ভারতের সামরিক সক্ষমতা নিয়ে এমন মন্তব্য করেন।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (২০ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি’কুনহা দাবি করেন, পাকিস্তানের পুরো ভূখণ্ডই আমাদের হামলার আওতায়। ওরা যদি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জেনারেল হেডকোয়ার্টার রাওয়ালপিন্ডি থেকে খাইবার পাখতুনখাওয়াতে সরিয়েও নেয়, তাহলেও ওদের অতল গহ্বরে আশ্রয় নিতে হবে।
এর আগে গত ১০ মে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায় প্রথম যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প তার ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ স্যোশালে শেয়ার করা এক পোস্টে জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাত ধরে আলোচনার পর, আমি আনন্দের সাথে ঘোষণা করছি যে, ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। সাধারণ বুদ্ধিমত্তা ও অসাধারণ বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়ার জন্য উভয় দেশকে আমি অভিনন্দন জানাই। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ দেওয়ার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ!’
পরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, আমি ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত যে, ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে এবং উভয় দেশ ‘নিরপেক্ষ একটি স্থান’ আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে রুবিও বলেছেন, গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে তিনি এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং শাহবাজ শরিফ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর, সেনাপ্রধান আসিম মুনির এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, অসীম মালিকসহ ঊর্ধ্বতন ভারতীয় ও পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সাথে’ আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং শরিফের প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা এবং রাষ্ট্রনায়কত্বের জন্য আমরা তাদের প্রশংসা করি।’
মন্তব্য করুন