এবার কারাগারে ফোন ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) পাকিস্তানের একটি বিশেষ আদালত তাকে ফোন ব্যবহারের অনুমতি দেন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারাগারে ছেলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারবেন ইমরান খান। দেশটির একটি বিশেষ আদালত অ্যাটক কারাগারে এই সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
রাষ্ট্রীয় গোপন নথির মামলায় শুনানি চলাকালে বিশেষ আদালত এ নির্দেশ দেন। এর আগে বিচারক আবুয়াল হাসনাত জুলকারনাইনের কাছে ছেলের সাথে ফোনে কথা বলার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন ইমরান খান।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, আবেদনে ইমরান খানের আইনজীবী ব্যরিস্টার উমর খান নিয়াজি উল্লেখ করেন যে ইমরান খান তার ছেলে সুলেমান খান ও কাসিম খানের সাথে টেলিফোন বা হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করার অনুমতি চেয়েছেন।
শুনানিতে আইনজীবী বলেন, ছেলের সাথে যোগাযোগ করার ব্যাপারে ইমরান খানের আইনি অধিকার রয়েছে। এজন্য এ দাবি অনুমোদনের গ্রহণযোগ্যতা রাখে। এজন্য ছেলে কাসিম ও সুলেমানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুমতি দিতে অ্যাটক কারাগারের সুপারেন্টেন্ডেটকে নির্দেশ দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।
শুনানিশেষে বিচারক জুলকারনাইন এ আবেদন গ্রহণ করেন এবং ছেলেদের সাথে কথার বলার সুযোগ দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা দেন।
এর আগে কারাগারে ইমরান খানের অবস্থার অবনতি হয়েছে বলে দাবি করেন তার স্ত্রী বুশরা বিবি। তিনি বলেন, বর্তমানে কারাগারে তার শারীরিক অবস্থা মারাত্মক হুমকির মুখে রয়েছে। তার এ দাবি আমলে নিয়ে পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল মানসুর আওয়ান কারা কর্তৃপক্ষকে তার শারীরিক অবস্থার প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে অ্যাটক কারাগারে বন্দি আছেন ইমরান খান। তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তার সাজা স্থগিত হলেও অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের (গোপন নথি) মামলার শুনানির জন্য প্রতিষ্ঠিত বিশেষ আদালত তাকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
সাইফার বা তারবার্তায় একটি কূটনৈতিক নথি ছিল। ইমরান খানের দাবি, তিনি এই তারবার্তাটি হারিয়ে ফেলেছেন। পিটিআইয়ের অভিযোগ, ওই তারবার্তায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহায়তায় ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি সম্মিলিত বার্তা ছিল। এই একই মামলায় পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশির বিরুদ্ধেও বিচারকাজ চলছে।
সরকার থেকে বিদায় নেওয়ার পর থেকে একের পর এক আইনি জটিলতায় পড়ছেন ইমরান খান। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ১৫০টির বেশি মামলা রয়েছে। এমনকি বেশ কয়েকটি মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
মন্তব্য করুন