কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৫, ০৩:৩৯ পিএম
আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পাকিস্তানে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, নিহত কমপক্ষে ৫০০

পাকিস্তানে বন্যা পরিস্থিতির চিত্র। সংগৃহীত ছবি
পাকিস্তানে বন্যা পরিস্থিতির চিত্র। সংগৃহীত ছবি

ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ। পানির তোড়ে প্রায় নিশ্চিহ্ন বুনের এলাকার বেশন্ত্রী গ্রাম। যেখানে মৃতের সংখ্যা এতটাই বেশি যে, দাফনে শামিল হওয়ার মতো লোকও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় কাজ করছে পাকিস্তানের বিভিন্ন এলাকার উদ্ধারকারী দল।

সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।

জুন থেকে শুরু হওয়া বন্যায় দেশটিতে অন্তত ৫০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। যার মধ্যে অর্ধেকই শিশু। পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অধিকাংশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বাড়িঘর ধসের ফলে। যারা বেঁচে আছেন তারা এখন মারাত্মকভাবে পানিবাহিত রোগে ভুগছেন।

২৫ কোটি মানুষের আবাসস্থল পাকিস্তান বিশ্বের মধ্যে জলবায়ুর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি। যদিও দেশটি বৈশ্বিকভাবে মাত্র শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ তাপ উৎপাদন করে। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্তের দিক থেকে ভয়াবহ অবস্থায় রয়েছে।

চলতি বছরের মধ্যে গত সপ্তাহে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় ১৮০ জনের মৃত্যু হয়। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা। বেশির ভাগ মৃত্যু হয় উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখাওয়াতে।

দুঃখজনকভাবে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা একের পর এক বন্যায় পাকিস্তানে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে।

জুলাই মাসের মাঝামাঝি পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ পাঞ্জাবে তীব্র বর্ষণ হয়, গ্রামগুলো তলিয়ে যায় এবং মাঠ পানির নিচে চলে যায়।

এছাড়া ইসলামাবাদের কাছে অবস্থিত রাওয়ালপিন্ডি শহরে প্রায় ৯ ইঞ্চি বৃষ্টি পড়ে, যা রাস্তাগুলোকে প্রবহমান নদীর মতো বানিয়ে দেয়, বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তলিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি কিছু এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে।

আরও পড়ুন: ভালো স্বামী বানাতে খোলা হলো বিশেষ স্কুল, যা শেখানো হয়

পাকিস্তান একটি হিমবাহ সমৃদ্ধ দেশ এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই প্রাচীন বরফের নদীগুলো দ্রুত গলে যাচ্ছে, যা বন্যার ঝুঁকি আরও বাড়াচ্ছে।

পাকিস্তানই নয়, ভারত শাসিত কাশ্মীরেও বন্যার তাণ্ডব চলছে। হিমালয়ের শহর চাশোতিতে কমপক্ষে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ২০০-এর বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে পানির একটি প্রবাহ হিমালয়ের উত্তর ভারতের ধরালি গ্রামে ঢুকে পড়লে সেখানে চারজনের মৃত্যু হয় এবং নিখোঁজ হয় বহু মানুষ।

এর আগে ২০২২ সালে বর্ষা মৌসুমে পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় ১৭০০-এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। ঘরবাড়ি ছাড়া হয় হাজার হাজার মানুষ। প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তির ক্ষতি হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অধ্যাপক বারকাতের মুক্তি দাবি ১১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-বুদ্ধিজীবীর

নির্বাচন নিয়ে এখনই পরীক্ষা-নিরীক্ষা নয় : আলাল

মার্কিন প্রতিনিধিদের ভারত সফর বাতিল

মহাখালীতে পেট্রল পাম্পে ভয়াবহ আগুন

ইরানের পাশে রাশিয়া-চীন, ইউরোপের তিন দেশের সঙ্গে উত্তেজনা চরমে

কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরু অক্টোবরে

ছোট্ট যে আমলে মাফ হয় ১০০ গোনাহ

আসন ভাগাভাগি নিয়ে কী বললেন নজরুল ইসলাম খান

অঙ্কনকে অধিনায়ক করে চারদিনের ম্যাচের দল ঘোষণা

ভরাডুবি হবে বলেই কিছু খুচরা পার্টি নির্বাচন চাচ্ছে না : দুদু

১০

আয়কর রিটার্ন নিয়ে এনবিআরের নতুন নির্দেশনা জারি

১১

দুই অধিদপ্তরে নতুন ডিজিসহ প্রশাসনিক পদে রদবদল

১২

ক্রিকেট ব্যাটে ইয়াবা বহন, বিমানবন্দরে আটক দুই যুবক

১৩

আম কি ডায়াবেটিসের জন্য ভালো? গবেষণায় উঠে এলো নতুন তথ্য

১৪

জবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ

১৫

দুদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৫ টাকা

১৬

পৃথক বাণিজ্যিক আদালত প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব প্রধান বিচারপতির

১৭

ফারুকীর শারীরিক অবস্থা জানিয়ে মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি

১৮

তারকারা অজান্তেই নিজস্ব সত্তা হারিয়ে ফেলেন : সোনাক্ষী সিনহা

১৯

মেট্রোরেল লাইন-১ / খরচ বেড়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা, ব্যাখ্যা দিল কর্তৃপক্ষ 

২০
X