আফগানিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা ঘিরে সীমান্তে নতুন সংঘাতের সূত্রপাত হয়েছে। এতে দেশটির দুই শতাধিক সেনা হত্যার দাবি করেছে পাকিস্তান।
রোববার (১২ অক্টোবর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সীমান্ত অভিযানে ২০০-রও বেশি তালেবান ও অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠেীর সেনা নিহত হয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য ও ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনায় দেখো গেছে, পাকিস্তানের হামলায় ২০০-এর বেশি তালেবান ও সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। আহতদের সংখ্যা নিহতদের চেয়ে অনেক বেশি।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, তালেবানদের চৌকি, ঘাঁটি, সদর দপ্তর এবং সন্ত্রাসী সহায়তা নেটওয়ার্কে বড় ধরনের অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষয়ক্ষতি কৌশলগত স্তর থেকে শুরু করে সামরিক কার্যক্রমের গভীর স্তর পর্যন্ত বিস্তৃত।
এদিকে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আফগানিস্তানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ দুই সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে পাকিস্তানের অন্যতম দুটি গুরুত্বপূর্ণ তোরখান ও চামান সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রোববার এসব সীমান্ত বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৩টি অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো খারলাচি, আঙ্গুর আড্ডা এবং গোলাম খান।
রয়টার্স জানিয়েছে, সীমান্ত বন্ধের বিষয়ে আফগাস্তানের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। আফগানিস্তান একটি স্থলবেষ্টিত দেশ, যার পাকিস্তানের সঙ্গে প্রায় দুহাজার ৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।
পাকিস্তান সরকার দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে আফগান মাটিকে ব্যবহার করে টিটিপি পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে। তবে এ অভিযোগ আফগান তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ রোববার এক বিবৃতিতে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আফগান মাটি টিটিপি বা অন্যকোনো গোষ্ঠীকে ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না।
তালেবান সরকারের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমাদের বাহিনী পাকিস্তানি সেনাদের ২৫টি পোস্ট দখল করেছে। এতে ৫৮ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছে।
তিনি আরও দাবি করেন, আফগানিস্তানের সব সরকারি সীমান্ত ও নিয়ন্ত্রণরেখা এখন সম্পূর্ণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং অবৈধ কর্মকাণ্ড বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বন্ধ করা হয়েছে।
আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, সীমান্তে প্রতিশোধমূলক ও সফল অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন