পাকিস্তনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রোববার (২৬ নভেম্বর) আদিয়ালা কারাগারে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) একটি দল আল কাদির ট্রাস্টের ১৪০ মিলিয়ন পাউন্ডের মামলায় ঘণ্টাব্যাপী জিজ্ঞাসাবাদ করে। সোমবার (২৭ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের সঙ্গে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) একটি দল আদিয়ালা কারাগারে সাক্ষাৎ করে। এসময় তারা আল কাদির ট্রাস্টের মামলায় তার সম্পৃক্ততার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
এনএবির এক সিনিয়র কর্মকর্তা ডনেকে জানান, কারাগারে ইমরান খানকে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গত ১৫ নভেম্বর থেকে এ মামলায় দুর্নীতিবিরোধী নজরদারিকারী কর্মকর্তারা তার সাথে কারাগারে দেখা করছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ইমরান খান ও তার স্ত্রী ৫০ বিলিয়ন রুপির বৈধতা দিয়েছিলেন। এর বিপরীতে তারা টাউন লিমিটেড নামের আবাসিক কোম্পানির কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও ঘুষ নিয়েছিলেন। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে সমঝোতা চুক্তিসংক্রান্ত তথ্য গোপন করে মন্ত্রিসভাকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তোশাখানা মামলায় তিন বছরের সাজা দেওয়ার পর পর তাকে লাহোরের জামান পার্কের বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করে পাঞ্জাব পুলিশ।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে এই তোশাখানা দুর্নীতি মামলা দায়ের করে ইসিপি। মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তোশাখানা থেকে প্রাপ্ত উপহারের তথ্য ইসিপির কাছে ইচ্ছে করে গোপন করেছেন ইমরান। সাধারণত বিদেশি সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানদের দেওয়া উপহার তোশাখানায় রাখা হয়। পরে এ মামলায় গত ১০ মে তাকে অভিযুক্ত করা হয়।
পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বর্তমানে প্রায় ১৮০টি মামলা রয়েছে। নিজের এসব মামলাকে তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও অভিহিত করেছেন। এ ছাড়া এসব অভিযোগ অস্বীকারও করেছেন তিনি।
মন্তব্য করুন