পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে দেশটির সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করেছে বলে দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একজন কংগ্রেসম্যান। ডেমোক্রেট পার্টি থেকে নির্বাচিত এই কংগ্রেসম্যানের নাম রোহিত খান্না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি দাবি করেছেন, জনগণের পছন্দকে বানচাল করতেই ভোটে কারচুপি করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।
এক্সে নিজের ভেরিফায়েড হ্যান্ডেলে রোহিত খান্না লিখেছেন, ‘পাকিস্তান একটি সংকটময় মুহূর্ত পার করছে। জনগণের ইচ্ছাকে বদলে দিতে দেশটির নির্বাচনে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ ও কারচুপির প্রমাণ দেখে আমি উদ্বিগ্ন। সব অভিযোগ তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হবে না কোনো বিজয়ী প্রার্থীকে স্বীকৃতি দেওয়া।’
এদিকে রোহিত খান্নার ওই টুইটে ইমরান খানের এক্স আইডি থেকে উত্তর দেওয়া হয়েছে। সেখানে রোহিত খান্নাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবারের ভোটে জালিয়াতির কিছু ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি ইমরান খান বলেছেন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে এই অঙ্গীকারের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়। পাকিস্তানের এবারের নির্বাচনে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ মিলিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৭ হাজারের বেশি প্রার্থী। ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৮০ লাখ। তাদের ভোটেই নির্ধারিত হচ্ছে আগামী পাঁচ বছর পরমাণু শক্তিধর এই দেশটির শাসন ক্ষমতায় কারা থাকবেন।
ভোটগ্রহণের দুদিন পার হলেও এখানো সব আসনের ফল ঘোষণা করতে পারেনি দেশটির নির্বাচন কমিশন ইসিপি। এ ছাড়া শুরুতে ১২-১৩ ঘণ্টা ফল প্রকাশে দেরি করায় বিতর্কের মুখে পড়ে ইসিপি। ফলাফল প্রকাশে এমন বিলম্ব নজিরবিহীন বলছেন বিশ্লেষকরা। এমনকি ভোটের দিন দেশটির মোবাইল সেবা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়।
এখন পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, নওয়াজ শরিফ কিংবা বিলাওয়াল ভুট্টোর চেয়ে এখনো অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন ইমরান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তবে পিছিয়ে থাকলেও জোট করে সরকার গঠনের কথা জানিয়ে দিয়েছে নওয়াজের পিএমএল-এন এবং বিলাওয়ালের পিপিপি। দল দুটি নির্বাচনে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
মন্তব্য করুন