কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৮ পিএম
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পাকিস্তানের নির্বাচনে ইসলামপন্থিরা কেন পিছিয়ে?

প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

গেল বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন। ওইদিন স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় ভোটগ্রহণ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত ঘোষিত হয়নি চূড়ান্ত ফল। দেশটির জাতীয় পরিষদে সরাসরি নির্বাচিত আসন সংখ্যা ২৬৬। শনিবার রাত পর্যন্ত ২৫২ আসনের ফল জানা গেছে। তাতে দেখা গেছে, ১০০ আসনে জয়ী হয়েছেন ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নওয়াজ শরিফের মুসলিম লীগ পেয়েছে ৭৩টি আসন। আর বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপলস পার্টি পেয়েছে ৫৪টি আসন। সেখানে ইসলামপন্থি দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামি (এফ) মাত্র দুটি আসন পেয়েছে।

পাকিস্তানে এবারের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটা দিক স্পষ্ট হয়েছে। তা হলো দেশটিতে ধর্মপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোর গ্রহণযোগ্যতা তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে।

পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় ইসলামপন্থি দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম প্রধান মাওলানা ফজলুর রেহমান পিটিআই সমর্থিত প্রার্থির কাছে হেরে গেছেন। ইসলামপন্থি আরেক দল জামায়াতে ইসলামী প্রধান সিরাজুল হকও হেরেছেন পিটিআই সমর্থিত আরেক প্রার্থীর কাছে। পুরো নির্বাচনে এখন পর্যন্ত জমিয়তের দুটি আসন ছাড়া বাকি ইসলামপন্থিরা কোনো আসন পাননি।

২০১৮ সালে যেখানে মাত্র ১২টি ধর্মপন্থি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল, সে তুলনায় এবার ২৩টি দল অংশ নিয়েছে। এবারের নির্বাচনের ফলের মধ্যদিয়ে তাদের গ্রহণযোগ্যতা অবনতির চিত্র স্পষ্ট হয়েছে। সমালোচকরা এর পেছেন একাধিক কারণ দেখছেন। বিশেষত তরুণ ভোটার সংখ্যা অনেক বেড়েছে, যা নির্বাচনে নির্ণায়ক ভূমিকা রেখেছে। দেশটিতে ৫ কোটি ৬৮ লাখ তরুণ ভোটার রয়েছে, যারা মোট ১৩ কোটি ভোটারের ৪৫ শতাংশ। মনে করা হচ্ছে, ইসলামপন্থি দলগুলোর গ্রহণযোগ্যতা অবনতির ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা থাকতে পারে। তবে ২০১৩ সালের পর থেকে দেশটিতে ধীরে ধীরে ইসলামপন্থি দলগুলোর ভোটার কমেছে।

দীর্ঘদিন ধরে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। বিশেষত ইসলামপন্থি দলগুলোর ব্যাপক সরব থাকার কারণে বহুবার দেশটিতে রাজনৈতিক সহিংসতা দেখা দিয়েছে। ইসলামপন্থি দাবিদার রাজনৈতিক সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী কর্তৃক পাকিস্তানে গত বছর নিহত হয়েছে এক হাজারের বেশি মানুষ। এটি ইসলামপন্থি দলগুলোর ভোট না পাবার বড় একটি কারণ হতে পারে।

একের পর এক রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে দেশটিতে ইসলামপন্থি দলগুলোর ওপর মানুষের আস্থা দিন দিন কমেছে। এবারের নির্বাচনেও তার ফল স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। লক্ষ্যণীয় যে, ভারতের জনগণ যেখানে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির দিকে ঝুঁকছে, সেখানে পাকিস্তানের জনগণ এ ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে চাচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে।

সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এবারের নির্বাচনের পরও কোনো একক দল সরকার গঠন করতে পারছে না। সেক্ষেত্রে জোট সরকারের কাছেও ইসলামপন্থি দলগুলো উপেক্ষিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু এরই মধ্যে দেশবাসী ব্যালটের মধ্য দিয়ে সেই বার্তা দিয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোও নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে জনগণের সেই সিদ্ধান্তকে কাজে লাগাতে পারেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আ.লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ২১

তারেক রহমানের বক্তব্য বিকৃত করছে একটি গোষ্ঠী : আবিদ

জামায়াত কী হিন্দুদের স্বর্গের টিকিটও দেবে : সেলিম জাহাঙ্গীর

ঢাকা-১৮ আসনে কফিল উদ্দিনের উদ্যোগে উঠান বৈঠক

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ / রাজনৈতিক হয়রানির অভিযোগ তুলে হত্যা মামলা প্রত্যাহারের পাঁয়তারা 

নৌকা উল্টে  কর্ণফুলীতে ভেসে গেল সাড়ে ১২ টন মাছ

গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েল-হামাস পরোক্ষ আলোচনা শুরু

নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকারবিরোধী : নীরব

বজ্রপাত নিয়ে বিশেষজ্ঞের সতর্কতা

প্রথমবার প্রকাশ্যে আসছেন ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের নেতা

১০

নতুন ২ জাতীয় দিবসের ছুটি নিয়ে যা জানা গেল

১১

সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

১২

নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেওয়া হবে না : পাপিয়া

১৩

ভারতের ভিসা নিয়ে সুখবর দিলেন বিক্রম মিশ্রি

১৪

স্ত্রীর অভিযোগের জবাব দিলেন আবু ত্বহা আদনান

১৫

শেখ রেহানার পরিবারের বিরুদ্ধে ৩ জনের সাক্ষ্য

১৬

আকাশে ফানুসের জ্যোৎস্না, হৃদয়ে প্রবারণা পূর্ণিমার আলো

১৭

ঢাকা অভিমুখে লং মার্চের হুঁশিয়ারি হেফাজতের

১৮

আলী পেপার মিলসের মালিকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

১৯

ভাড়াটে লোক দিয়ে নিজ দোকানেই ডাকাতি

২০
X