গত ৮ তারিখ পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনের পর থেকে দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই ঘোলাটে হয়ে পড়ছে। তবে এর আগে থেকেই পাকিস্তানে চলছিল রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা। ২০২২ সালে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুতির মাধ্যমে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা শুরু হয় পাকিস্তানে। এমন পরিস্থিতিতে বহু প্রভাবশালী নাগরিক পাকিস্তান ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তারা নিজেদের সম্পদও পাকিস্তান থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন।
রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় পাকিস্তান ছাড়া প্রভাবশালী নাগরিকরা বেশিরভাগই দুবাই চলে যাচ্ছেন। দুবাই নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্যের নিরাপদ আশ্রয় গড়ে তুলছেন। পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডন এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করেছে।
গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের ভোট হয়েছে। ভোটগ্রহণের তিন দিন পর ২৬৫ আসনের মধ্যে অবশেষে ২৬৪ আসনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। একটি আসনে ভোট স্থগিত করা হয়। আর অন্য একটি আসনে ফল স্থগিত থাকার ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। ফলে ২৬৪ আসনে ফল ঘোষণা করা হয়েছে।
আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ৯৭ আসনে জয় পেয়েছেন ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপরই পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ বা পিএমএল-এন ৭৬ আসনে, পাকিস্তান পিপলস পার্টি ৫৪ আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য ছোট দল পেয়েছে ৩৭টি আসন।
ফল ঘোষণা শেষ হওয়ায় এবার নাটকের পরবর্তী দৃশ্য মঞ্চস্থ হচ্ছে দেশটিতে। জোট গঠন করতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে বড় দলগুলো। তবে নির্বাচন ঘিরে পরমাণু শক্তিধর দেশটিতে কোনো অচলাবস্থা সৃষ্টি হলে সামনে বড় ধরনের অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে পারে পাকিস্তান। এমনকি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের জেরে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের সম্ভাবনা পর্যন্ত উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কেননা দেশটির ৭৬ বছরের ইতিহাসে প্রায় ৩০ বছর শাসন করেছে সামরিক বাহিনী।
মন্তব্য করুন