ইসরায়েলের প্রতিবাদে বিভিন্ন দেশে শুক্রবার বিক্ষোভ পালিত হয়েছে। ইরান, যুক্তরাজ্য, ইরাক লেবাননসহ বিভিন্ন জায়গায় এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কর্মসূচি পালনকালে ফিলিস্তিনপন্থিরা যুক্তরাজ্যের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। এ সময় দুটি বিমানে হামলা করে আন্দোলনকারীরা।
শুক্রবার (২০ জুন) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইংল্যান্ডের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত রয়্যাল এয়ার ফোর্স (আরএএফ) ঘাঁটিতে প্রবেশ করে দুটি সামরিক বিমান ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বিক্ষোভকারীরা। যুক্তরাজ্য সরকারের গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের সমর্থনের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
বিক্ষোভকারী প্ল্যাটফর্ম প্যালেস্টাইন অ্যাকশন জানিয়েছে, তাদের দুই সদস্য অক্সফোর্ডশায়ারের আরএএফ ব্রিজ নর্টন সামরিক ঘাঁটিতে প্রবেশ করে ভয়েজার বিমানের ইঞ্জিনে লাল রঙ স্প্রে করে এবং ক্রাউবার দিয়ে আক্রমণ করে।
গ্রুপটি শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রকাশ্যে ইসরায়েলের নিন্দা সত্ত্বেও ব্রিটেন সামরিক পণ্য পাঠানো, গাজার উপর গুপ্তচর বিমান উড়ানো এবং মার্কিন/ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানে জ্বালানি সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। তারা এক্স-এ ঘটনার একটি ভিডিও পোস্ট করেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ব্রিটেন শুধু সহযোগী নয়, এটি গাজায় গণহত্যা এবং মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধাপরাধে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দুজন ব্যক্তি ব্রিজ নর্টন ঘাঁটির মধ্যে বৈদ্যুতিক স্কুটারে দ্রুত চলাচল করছে। তাদের একজন পুনর্ব্যবহৃত ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহার করে বিমানের টারবাইন ইঞ্জিনে লাল রঙ স্প্রে করছে।
গ্রুপটি জানিয়েছে, লাল রঙ ‘ফিলিস্তিনি রক্তপাতের প্রতীক’ হিসেবে রানওয়েতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ঘটনাস্থলে একটি ফিলিস্তিনি পতাকা রেখে আসা হয়েছে। তারা আরও দাবি করেছে যে, কর্মীরা সামরিক ঘাঁটি থেকে অচিহ্নিতভাবে বেরিয়ে যেতে এবং গ্রেপ্তার এড়াতে সক্ষম হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার এক্স-এ এক পোস্টে এই ‘ভাঙচুর’কে ন্যক্কারজনক বলে নিন্দা করেছেন। এছাড়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ব্রিটেনের শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধিত্ব করে। তারা আমাদের জন্য তাদের জীবন বিপন্ন করে এবং তাদের কর্তব্য, নিষ্ঠা এবং নিঃস্বার্থ ব্যক্তিগত ত্যাগ আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। তাদের সমর্থন করা আমাদের দায়িত্ব।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী জন হিলি এ ঘটনার তদন্ত এবং দেশের সামরিক ঘাঁটিগুলোতে বৃহত্তর নিরাপত্তা পর্যালোচনার নির্দেশ দিয়েছেন।
BREAKING: Palestine Action break into RAF Brize Norton and damage two military aircrafts. Flights depart daily from the base to RAF Akrotiri in Cyprus. From Cyprus, British planes collect intelligence, refuel fighter jets and transport weapons to commit genocide in Gaza. pic.twitter.com/zzmFqGKW8N — Palestine Action (@Pal_action) June 20, 2025
মন্তব্য করুন