চলতি মাসের (আগস্ট) শেষদিকে ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ছাড়ার পরিকল্পনা করছে জাপান। সোমবার (৭ আগস্ট) দেশটির সংবাদমাধ্যম আশাষি সিনবুন পরিচয় গোপন রেখে সরকারি এক কর্মকতার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে, আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ন শুক ইয়লের সাথে সাক্ষাৎ করবেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। সাক্ষাতে তিনি তাদের তেজস্ক্রিয় পানি সমুদ্রে মিশলে তা কতটা নিরাপদ হবে সে বিষয়ে অবহিত করবেন। এরপর এ পানি সমুদ্রে ছাড়া হতে পারে।
আরও পড়ুন : উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি মোকাবিলায় তিন দেশের মহড়া
এর আগে, গত ৪ জুলাই সুনামিতে বিধ্বস্ত জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে বর্জ্যপানি সাগরে ছাড়ার অনুমতি দেয় আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। ওই দিন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আইএইএর প্রধান রাফায়েল ম্যারিয়ানো। এ সময় তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রীর হাতে ফুকুশিমা পারমাণবিক কেন্দ্রের বর্জ্যপানি সাগরে ছাড়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত ছাড়পত্র হস্তান্তর করেন।
সাক্ষাতের পর জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমা হায়াশির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন আইএইএ প্রধান। তিনি জানান, এ বিষয়ে দু'বছর কাজ করেছে আইএইএ।
আইএইএ জানিয়েছে, বর্জ্যপানি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনেই সাগরে ছাড়ার বিষয়ে পরিকল্পনা করেছে জাপান। এই তেজস্ক্রিয় পানি সাগরে ছাড়লে পরিবেশের ওপর খুব একটা প্রভাব পড়বে না।
এদিকে ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বর্জ্যপানি সাগরে ছাড়া নিয়ে সোচ্চার ছিল জাপানের আশপাশের দেশগুলো। এ নিয়ে আপত্তিও তুলেছিল বেইজিং। এছাড়া জাপানের মৎস্যজীবী সমিতিও আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল।
মন্তব্য করুন