ওমানের মাসকটে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরোক্ষ পরমাণু আলোচনায় ‘উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন’ এসেছে বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। রোববার ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরাঘচি জানান, ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আল-বুসাইদির মধ্যস্থতায় হওয়া আলোচনাকে তিনি ‘কেবল কথাবার্তার বাইরে এগিয়ে যাওয়া’ হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা পারস্পরিক বোঝাপড়ায় বাস্তব অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেছি।’ আগামী সপ্তাহে আরও একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
তবে আলোচনা এগোলেও ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম যে কোনোভাবেই আলোচনার বিষয় নয়—সেটি স্পষ্ট করে দিয়েছেন আরাঘচি।
মাসকটের এই বৈঠক ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পরোক্ষভাবে অনুষ্ঠিত চতুর্থ দফার আলোচনা। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক ছিল সবচেয়ে ‘বিতর্কিত ও কঠিন’ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর সম্পূর্ণ বন্ধ এবং ধ্বংসের দাবি জানানো হয়। তেহরান বরাবরই এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে এসেছে।
ইরান জোর দিয়ে বলছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি শুধু বেসামরিক এবং এটি পরমাণু বিস্তার রোধ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তির আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এ দাবিকে পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারছে না। মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সমঝোতা অর্জনে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রগুলো ভেঙে ফেলা ‘অত্যন্ত জরুরি’।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—কূটনীতি ব্যর্থ হলে সামরিক পথও খোলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন