কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৫, ০৮:০৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শত বিলিয়ন খরচে ট্রাম্পের স্বপ্নের ঢাল ‘গোল্ডেন ডোম’

ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দেশটির আইনপ্রণেতারা ‘গ্লোল্ডেন ডোম’ প্রকল্প দেখছেন। ছবি  : সংগৃহীত
ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দেশটির আইনপ্রণেতারা ‘গ্লোল্ডেন ডোম’ প্রকল্প দেখছেন। ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি স্বপ্নের প্রকল্প হচ্ছে ‘গোল্ডেন ডোম’। এটি হবে একটি আধুনিক মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা পুরো যুক্তরাষ্ট্রকে দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র থেকে রক্ষা করবে। তবে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে খরচ হতে পারে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি - যা বাংলাদেশি টাকায় দাঁড়ায় প্রায় ৫৫ লাখ কোটি টাকা!

সোমবার (১৯ মে) সংবাদমাধ্যম সিএনএন প্রকাশিত এক বিশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পেন্টাগন (মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর) ইতোমধ্যে ট্রাম্পের কাছে তিনটি বাজেট বিকল্প তুলে ধরেছে- ছোট, মাঝারি এবং বড়। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ট্রাম্প এদের মধ্যে একটি বেছে নেবেন। এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করবে, প্রকল্পের অর্থায়ন, বাস্তবায়ন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা।

এদিকে ২০২৬ সালের বাজেটে ‘গোল্ডেন ডোম’-এর জন্য ২৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। তবে কংগ্রেসের বাজেট অফিস বলছে, প্রকল্পটি সম্পূর্ণ বাস্তবায়নে খরচ হতে পারে ২০ বছরে ৫০০ বিলিয়নেরও বেশি।

এই প্রকল্প একা সরকারের পক্ষে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। এজন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর দরকার হবে। এলন মাস্কের কোম্পানি SpaceX ছাড়াও Anduril ও Palantir নামে আরও দুটি প্রযুক্তি কোম্পানি ইতোমধ্যে চুক্তির জন্য লবিং শুরু করেছে। তারা প্রতিরক্ষা সচিবকে প্রস্তাবও দিয়েছে।

এমনকি, এই প্রকল্পে নজর রাখার জন্য নিয়োগ দেওয়া হবে একজন ‘গোল্ডেন ডোম জার’- যিনি পুরো ব্যবস্থাটি তদারকি করবেন। এই পদে জেনারেল মাইকেল গেটলাইনকে বিবেচনা করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবার দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উচিত ইসরায়েলের ‘আয়রন ডোম’-এর মতো একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুটি প্রকল্প একেবারে ভিন্ন। আয়রন ডোম ছোট এলাকা সুরক্ষায় ব্যবহৃত হয়, আর ট্রাম্পের গোল্ডেন ডোম মহাকাশ থেকে পুরো যুক্তরাষ্ট্রকে রক্ষা করবে- যা প্রযুক্তি ও ব্যয়ের দিক থেকে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।

যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস ফোর্সের কর্মকর্তারা বলছেন, এখনো পুরো প্রকল্পটি পরিকল্পনা ও নকশা পর্যায়ে রয়েছে। কিছু প্রাথমিক অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হলেও বাস্তবায়নের জন্য সময়, গবেষণা ও ব্যাপক সমন্বয়ের দরকার।

প্রকল্পটি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক চলছে। অনেকে বলছেন, এলন মাস্কের সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠতার কারণে SpaceX বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। আবার ট্রাম্পের দেওয়া সময়সীমা অনুসারে প্রকল্পের পরিকল্পনা মার্চে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তা জমা পড়ে প্রায় এক মাস পরে।

‘গোল্ডেন ডোম’ হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রতিরক্ষা প্রকল্পগুলোর একটি। এটি সত্যি বাস্তবায়নযোগ্য কি না, তা এখনো প্রশ্নের মুখে। তবে ট্রাম্প প্রশাসন এটি শুরু করার জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বাড়ল আকরিক লোহার দাম 

মেলবোর্ন স্টেডিয়ামে বিপিএল খেলা পাক ক্রিকেটারের নামে স্ট্যান্ড

কাঁচা মাছ চিবিয়ে খান তিনি

যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী বহুমাত্রিক যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

পারমাণবিক অস্ত্রাগার উন্নত করছে চীন, নেপথ্যে কী?

কিউবা মিচেল-তপুদের দায়িত্বে আর্জেন্টাইন কোচ

গোপনে বিয়ে করলেন জিয়া মানেক

উপদেষ্টা মাহফুজের বাবা ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক নির্বাচিত 

রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে একই পরিবারের দগ্ধ ৩

উড্ডয়নের সময় এফএ-১৮ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত, ককপিটে ছিলেন ২ পাইলট

১০

ভবদহের চার দশকের দুঃখের অবসান হতে যাচ্ছে

১১

এইচএসসি পাসেই এনজিওতে চাকরির সুযোগ

১২

সালমানকে নিয়ে অভিমান প্রকাশ করলেন ঐশ্বরিয়া

১৩

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রথম ভর্তি পরীক্ষা আজ

১৪

এশিয়া কাপে কোন বোলারকে মিস করবে ভারত, জানালেন হরভজন

১৫

গণমাধ্যমের অনুকরণে স্যাটায়ার পেজে বিভ্রান্তি

১৬

ধূমপান না করেও ফুসফুসের ক্যানসার হতে পারে, যে লক্ষণ দেখে বুঝবেন

১৭

ডাকসুর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কারা এগিয়ে 

১৮

ডাকসুর ভিপি-জিএস প্রার্থীদের পরিচয়

১৯

কলম্বিয়ায় হেলিকপ্টার ও বিমানঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ১৮

২০
X