মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন ১২ দেশের নাগরিক। এ ছাড়া আরও সাত দেশের নাগরিকদের মেনে চলতে হবে কঠোর বিধিনিষেধ। বুধবার (৪ জুন) ট্রাম্প নির্বাহী আদেশ জারি করলেও তা কার্যকর হবে আগামী সোমবার।
তবে এ সময়ের আগে ইস্যু হওয়া ভিসা বাতিল হবে না। নিরাপত্তাজনিত কিছু ধাপ অতিক্রম করে ভ্রমণেচ্ছুরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন।
ট্রাম্প তার আদেশে বলেছেন, আমাকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, কলোরাডোর বোল্ডারে একটি ইসরায়েলপন্থি সমাবেশে সাম্প্রতিক হামলা প্রমাণ করে যথাযথভাবে যাচাই না করা বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশের ফলে আমাদের দেশ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তাদের জন্য চরম বিপদে আমরা। আমাদের দেশে লাখ লাখ অবৈধ অভিবাসী রয়েছে, যাদের এখানে থাকা উচিত নয়। আমরা ইউরোপে যা ঘটেছে তা আমেরিকায় ঘটতে দেব না। খুব সহজভাবে যেসব দেশ থেকে আমরা নিরাপদে এবং নির্ভরযোগ্যভাবে প্রবেশকারীদের যাচাই করতে পারি না, সেসব দেশ থেকে উন্মুক্ত অভিবাসন আমরা অনুমতি দিতে পারি না। যারা আমাদের ক্ষতি করতে চায় তাদের আমরা আমাদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দেব না।
সম্পূর্ণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়া দেশগুলো হলো- আফগানিস্তান, চাদ, কঙ্গো, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, মিয়ানমার, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।
আংশিক বিধিনিষেধের আওতায় থাকবে যেসব দেশের নাগরিক- বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান ও ভেনেজুয়েলা।
মন্তব্য করুন