বিক্ষোভ দমনে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্য এ মামলা দায়ের করে। ট্রাম্প প্রশাসনের ন্যাশনাল গার্ডের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ এবং অভিবাসন প্রয়োগকারী এজেন্টদের সুরক্ষার জন্য লস অ্যাঞ্জেলসে সৈন্য মোতায়েনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে মামলাটি করা হয়। সেখানে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাজ্যের কর্তৃত্ব এবং সম্পদের অভূতপূর্ব দখল করার অভিযোগ করা হয়েছে।
সান ফ্রান্সিসকোর ফেডারেল জেলা আদালতে দায়ের করা ২২ পৃষ্ঠার অভিযোগে বলা হয়, ট্রাম্প ফেডারেল আইন এবং সংবিধান উভয়ই লঙ্ঘন করছেন। রাজ্য বিচারিক আদেশ চাচ্ছে, যা ন্যাশনাল গার্ডের মোতায়েনের অবসান ঘটাবে এবং গভর্নর গ্যাভিন নিউসমের কাছে নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেবে।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বারবার জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করে আইনানুগ নির্বাহী কর্তৃত্বের সীমা অতিক্রম করেছেন। শনিবার (৭ জুন) তিনি স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকা ক্ষমতা দখল করেছেন। ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের সার্বভৌমত্বের মূল্যে এবং রাজ্যের ন্যাশনাল গার্ডের কমান্ডার-ইন-চিফ হিসেবে গভর্নরের কর্তৃত্ব ও ভূমিকাকে উপেক্ষা করে ট্রাম্প নির্দেশ জারি করেছেন।
এ বিষয়ে আরও জানতে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস বিচার বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু মামলার বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বিচার বিভাগ।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে লস অ্যাঞ্জেলেসে চলমান বিক্ষোভে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ট্রাম্প প্রশাসন প্রায় ৭০০ মেরিন সেনা ও চার হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেছেন। মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলসে অস্থায়ীভাবে প্রায় ৭০০ মেরিন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। অতিরিক্ত ন্যাশনাল গার্ড সদস্যরা সেখানে না পৌঁছানো পর্যন্ত তারা সেখানে থাকবেন।
টানা চতুর্থ দিনের মতো লস অ্যাঞ্জেলেসে বিক্ষোভ চলছে। শত শত মানুষ একটি ফেডারেল ডিটেনশন সেন্টারের সামনে জড়ো হয়েছে, যেখানে অভিবাসীদের আটকে রাখা হয়েছে।
মন্তব্য করুন