মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সামরিক হামলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার জন্য আরও দুই সপ্তাহ সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন ল্যাভিট।
তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দুই সপ্তাহের এ সময়সীমা হতে পারে একটি কৌশল বা ছল। শুক্রবার (২০ জুন) বিশ্লেষকের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
আলজাজিরার জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা মনে করেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হয়তো দুই সপ্তাহের ঘোষিত সময়সীমার মধ্যেই ইরানে হামলা চালাতে পারেন। তিনি (ট্রাম্প) এই সময়সীমাকে হয়তো একটা কৌশল বা ছল হিসেবে ব্যবহার করছেন, যাতে তার আসল পরিকল্পনা আড়াল থাকে এবং তিনি হয়তো আগামীকালই সেই হামলা চালাতে পারেন।’
বিশারা আরও বলেন, ‘ট্রাম্প হয়তো এখন সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করছেন, যাতে শুক্রবার ইরান ও ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে যেসব আলোচনা হওয়ার কথা আছে, সেগুলোর ফলাফল দেখা যায়।’
তার ভাষায়, ‘যদি অতিরিক্ত ব্যাখ্যা করি, তবে বলতে হয়- তিনি ইউরোপীয়দের একটু সময় দিচ্ছেন যাতে সবাই নিজের মুখরক্ষা করতে পারে।’
বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারার মতে, ‘ট্রাম্পের ঘোষিত দুই সপ্তাহের সময়সীমা হতে পারে একটি কৌশলগত চমক, যার মাধ্যমে তিনি হয়তো হঠাৎ করেই হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন, অথবা ইউরোপীয় কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে সাময়িক সময় দিচ্ছেন, যাতে যুদ্ধ এড়ানোর সুযোগ থাকে।’
গত সপ্তাহে ইসরায়েল ইরানে বড় ধরনের হামলা শুরু করার কয়েক ঘণ্টা আগেই ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন।
মন্তব্য করুন