আমেরিকার সঙ্গে ইসরায়েল বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইয়্যেদ আব্বাস আরাঘচি। তিনি বলেন, ইসরায়েলের হামলা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনীতিকভাবে বিশ্বাসঘাতকতা।
শুক্রবার (২০ জুন) জর্ডানের সংবাদমাধ্যম রয়া নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইরানে ইসরায়েলের হামলা যুক্তরাষ্ট্রে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। তিনি এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, তেহরান এবং ওয়াশিংটন ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে একটি ‘অত্যন্ত সম্ভাবনাময় চুক্তির’ পথে ছিল।
জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের আগে আরাঘচি বলেন, আমরা যখন একটি চলমান কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্যে ছিলাম, তখনই আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে।
জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে বক্তব্যকালে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই হামলা এমন এক সময়ে চালানো হয়েছে, যখন আমরা আমেরিকার সঙ্গে ১৫ জুন একটি সম্ভাবনাময় শান্তিপূর্ণ চুক্তি নিয়ে আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এটি কূটনীতির প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা এবং আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ ব্যবস্থার ওপর এক নজিরবিহীন আঘাত।
এর আগে আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি অংশ নেবে কিনা- সে বিষয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এমন সিদ্ধান্তে ‘গভীর হতাশা’য় পড়ছেন নেতানিয়াহু।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজের কলামিস্ট ও লেখক গিডিয়ন লেভি আল জাজিরাকে বলেছেন, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার জোট ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িত হওয়ার সিদ্ধান্তের জন্য ট্রাম্পের কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষার পরামর্শে ‘গভীর হতাশা’য় পড়েছেন।
তিনি বলেন, এই বাস্তবতায় দুই সপ্তাহ অনন্তকাল এবং যদি তিনি সত্যিই দুই সপ্তাহ বোঝাতে চান এবং এটি কোনো প্রতারণা না হয়, তাহলে মার্কিনদের এই যুদ্ধে জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমেই কমছে। কিন্তু নেতানিয়াহু চান, ট্রাম্প যেন যত দ্রুত সম্ভব এই যুদ্ধে যুক্ত হন।
লেভি আরও বলেন, দীর্ঘমেয়াদে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করতে এবং তার আক্রমণাত্মক ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত করতে সফল হলেও, ইসরায়েলিরা নিজেদের আর নিরাপদ বোধ করবে না।
কোনো কিছুই সমাধান হবে না কারণ ইরান তার ক্ষমতা ফিরে পেতে পারে উল্লেখ করে গিডিয়ন লেভি বলেন, ইসরায়েলের অনেক নিরাপত্তা সমস্যা রয়েছে, যা এখনই শেষ হবে না, যেমন গাজা ইস্যু।
মন্তব্য করুন