বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩৪ এএম
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:৩২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
নিউ ইয়র্ক টাইমস থেকে

ইসরায়েলের পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হামলা!

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

ইসরায়েলি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে আঘাত করেছিল গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলার সময় একটি রকেট ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতে হামলা করতে সক্ষম হয়। সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসের হামলায় ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষতি না হলেও এগুলোর কাছাকাছি স্থানে আগুন ধরে গিয়েছিল। মধ্য ইসরায়েলের সেদত মিচা নামের স্থানে এ হামলা চালায় হামাস। জায়গাটিতে আরও অনেক ধরনের স্পর্শকাতর অস্ত্র মজুদ করা ছিল বলে জানায় নিউ ইয়র্ক টাইমস।

ইসরায়েল তাদের কাছে থাকা পরমাণু অস্ত্র মজুদের ব্যাপারে কখনোই খোলাসা করে কিছু বলেনি। তবে ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টস নিউক্লিয়ার ইনফরমেশন প্রজেক্টের পরিচালক কান্স ক্রিস্টেনসেন দাবি করেছেন, ইসরায়েলের কাছে ২৫ থেকে ৫০টি পরমাণু-সক্ষমতার জেরিকো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপক রয়েছে।

ক্রিস্টেনসেন আরও বলেন, ওয়ারহেডগুলো সম্ভবত ঘাঁটিটি থেকে দূরে একটি পৃথক স্থানে রাখা হয়েছিল। ফলে এ আক্রমণের সময় হুমকির মুখে পড়েনি।

ইসরায়েলি পারমাণবিক অস্ত্র মজুদের সম্ভাব্য জায়গায় হামাসের এ হামলার খবর এতদিন অপ্রকাশিত ছিল। তবে এটা অস্পষ্ট হামাসের যোদ্ধারা জানত কিনা যে তারা কোথায় হামলা করেছে। কেননা ঘাঁটিটি একটি সাধারণ সামরিক স্থাপনার মত দেখতে। এ বিষয়ে হামাস কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

তবে ইসরায়েলের সবচেয়ে স্পর্শকাতর সামরিক স্থাপনায় সাত অক্টোবরের হামলায় এটা স্পষ্ট- দেশটির নিবিড়ভাবে সংরক্ষিত অস্ত্রগুলো অন্যান্য যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন বড় হুমকিতে রয়েছে।

সতর্কীকরণ অ্যালার্ম ডেটা অনুসারে, সেদত মিচার আশপাশের অঞ্চলে কয়েক ঘণ্টা ধরে রকেট হামলা চলে। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের আয়রন ডোম এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের মাধ্যমে কতগুলো রকেট আটকানো হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। তবে এটা স্পষ্ট যে, কিছু রকেট আয়রোনডোম এর সুরক্ষা ভেদ করে ঢুকে পড়ে এবং এক সময়ে ইন্টারসেপ্টর মিসাইল ফুরিয়ে যায়।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক মুখপাত্র নিউইয়র্ক টাইমসের এ অনুসন্ধানের বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। তবে ৭ অক্টোবরের পর থেকে দেখা গেছে ইসরায়েল সেদত মিচার হামলার বিষয়ে সতর্ক হয়েছে এবং রকেট হামলার স্থানের আশেপাশে প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে।

নিউ ইয়র্ক টাইমস সেদত মিচাতে আক্রমণের ফলে সৃষ্ট আগুন শনাক্ত করতে নাসার স্যাটেলাইট ইমেজ ব্যবহার করে। সেখানে দেখা গেছে অন্তত ২০০৪ সাল থেকে এ ঘাঁটিতে একই মাত্রার কোনো আগুন লাগেনি।

আক্রমণের আরও প্রমাণ পাওয়া যায় স্যাটেলাইট চিত্র, রকেট অ্যালার্ম রেকর্ড এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলোতে। এতে রকেটের মাধ্যমে সৃষ্ট আগুনের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রচেষ্টাও প্রকাশ পেয়েছে।

গাজার ২৫ মাইল উত্তর-পূর্বে এবং জেরুজালেমের ১৫ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত এ ঘাঁটির সীমানায় রকেট হামলা চালানো হয়।

৭ অক্টোবর সকাল ১০ টার দিকে জেরিকো ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জায়গায়, একটি বড় রাডার সিস্টেমে এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ব্যাটারি রাখার স্থানে রকেট হামলা চালানো হয়। ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণে দ্রুত ঘন, শুকনো গাছপালাগুলোতে আগুন শুরু করে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

ঘটনাপ্রবাহ: ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দলকে জিতিয়ে রেকর্ডের পাতায় নাসুম

আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রধান চালিকাশক্তি হতে পারে ভারত-বাংলাদেশ

রাহুল গান্ধীকে ‘পাকিস্তানের ডার্লিং’ বললেন ভারতের মন্ত্রী

আফগানদের হারিয়ে এশিয়া কাপে টিকে রইল বাংলাদেশ

মোদির জন্মদিনে ট্রাম্পের ফোন

ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ ঘোষণা

পাকিস্তানের এশিয়া কাপ অভিযানে নতুন বিতর্ক!

বিএনপি-যুবদলের তিনজনকে অব্যাহতি

রাব্বানীর জিএস পদ অবৈধের সুপারিশে রাশেদের প্রতিক্রিয়া

বাংলাদেশ পুলিশকে চীন দূতাবাসের কম্পিউটার উপহার

১০

নানা কর্মসূচিতে রাজধানীতে বিশ্ব নরসুন্দর দিবস পালিত

১১

সেতু বিভাগের সচিবের জিআইসিসি সম্মেলনে অংশগ্রহণ

১২

জামায়াতের সঙ্গে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদলের বৈঠক

১৩

ঘুমের মধ্যেই না ফেরার দেশে অস্কারজয়ী রবার্ট রেডফোর্ড

১৪

ভাঙ্গায় সরকারি দপ্তরে নাশকতাকারীদের বিচারের দাবিতে বিএনপির শান্তি মিছিল

১৫

গলায় বাদাম আটকে নবম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু

১৬

‘ঋণে জর্জরিত মানুষটির চল্লিশা যারা খেলেন, খাবার কীভাবে তাদের পেটে নামল’

১৭

এবার দেশের বাজারে আরও বাড়ল স্বর্ণের দাম

১৮

পৃথক ফৌজদারি ও পারিবারিক আদালত প্রতিষ্ঠা করল সরকার

১৯

আলোচনার মাধ্যমে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সম্ভব : গণতন্ত্র মঞ্চ

২০
X