কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৩ জুলাই ২০২৩, ১২:২০ পিএম
আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২৩, ১২:৪৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হঠাৎ কী হলো যুক্তরাষ্ট্রের, কেন ধ্বংস করছে সব রাসায়নিক অস্ত্র

চুক্তির তিন দশক পর গত শুক্রবার সব রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
চুক্তির তিন দশক পর গত শুক্রবার সব রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গত শুক্রবার তিনি বলেন, ‘এই পদক্ষেপের ফলে রাসায়নিক অস্ত্রের ভয়াবহতা থেকে বিশ্বকে মুক্ত করার পথে একধাপ অগ্রসর হলাম আমরা।’

নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত এক চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তিতে রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন, মজুত ও যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি মজুত রাখা অস্ত্রভান্ডার ধ্বংসেরও উল্লেখ ছিল।

ওই সম্মেলনের তত্ত্বাবধায়ক ছিল রাসায়নিক অস্ত্রবিরোধী আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা ‘অরগানাইজেশন ফর দ্য প্রহিবিশন অব কেমিক্যাল ওয়েপনস’(ওপিসিডব্লিউ)। যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৯৩টি দেশ ওই আন্তর্জাতিক চুক্তিতে সম্মত হয়। এই চুক্তির তিন দশক পর অবশেষে বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, তারা আমেরিকার সবশেষ রাসায়নিক অস্ত্রভান্ডারটি ধ্বংস করেছেন।

আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, রকেট থেকে সারিন নামে অতি বিষাক্ত তরল রাসায়নিক নিষ্ক্রিয় করার পর সেটিকে ধ্বংস করা হয়েছে। রাসায়নিক অস্ত্র হিসাবে বিবর্ণ, গন্ধহীন ওই তরল ব্যবহৃত হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমের দাবি।

এ কাজের দায়িত্বে ছিলেন ‘ডিফেন্স ফর থ্রেট রিডাকশন অ্যান্ড আর্মস কন্ট্রোল’-এর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কিংস্টন রাইফ। তিনি বলেন, ‘আমাদের শতভাগ রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে।’

নব্বইয়ের দশকের শেষে দেশে মজুত রাসায়নিক অস্ত্রভান্ডার ধ্বংসের অনুমোদন দেয় মার্কিন সিনেট। সেই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর ১৯৯৭ সালে সে দেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন বলেছিলেন, ‘গোটা বিশ্বের উচিত আমাদের পথ অনুসরণ করা।’

তবে বাস্তবে উল্টো পথে হেঁটেছে মার্কিন প্রশাসন। বিশ্বজুড়ে নানা সময়েই বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক অস্ত্র নিষ্ক্রিয় করা হলেও দেখা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরের তিন দশক পর তা কার্যকর করেছে তারা।

এ পদক্ষেপে কেন এত দেরি হলো, এমন প্রশ্নে কপলো জানান, রাসায়নিক অস্ত্রভান্ডার ধ্বংসের কাজ এত সহজ নয়। এ ধরনের অত্যন্ত বিষাক্ত রাসায়নিক বিস্ফোরক ঠেসে পুরে দেওয়া কামান, রকেট অথবা বোমায়। সেগুলোকে বার করার প্রক্রিয়াটি সরল নয়।

তিনি আরও জানান, রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করার প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল। সেগুলো ধ্বংস করার জন্য এমন স্থান বেছে নিতে হবে, যাতে আশপাশের অঞ্চলের পরিবেশে এর প্রভাব না পড়ে। সে জন্য বিশেষ প্রযুক্তিরও প্রয়োজন।

প্রশাসনে রদবদলেও এ ধরনের অস্ত্র ধ্বংস করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে। কপলো বলেন, ‘নেতৃত্বে বারবার বদলের জেরে রাসায়নিক অস্ত্রভান্ডার ধ্বংসের কাজ যে গতিতে করা উচিত ছিল, তা হয়নি। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় অর্থও যথাসময়ে পাওয়া যায়নি।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অভিযানেও থামানো যাচ্ছে না জেলেদের

শহিদুল আলমের ফ্রিডম ফ্লোটিলা জাহাজ আটক করেছে ইসরায়েল

‘সৈনিক লীগের সভাপতি থেকে মুরগির ফার্মের মালিকও টিভির লাইসেন্স পেয়েছে’ 

মাদকসেবীসহ ৩ জনের কারাদণ্ড

নতুন দুটি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুমোদন, বিস্ফোরক মন্তব্য নুরের 

আফগানিস্তান-বাংলাদেশ ওয়ানডে লড়াই শুরু আজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মরুর ফল চাষে সাফল্য

সালমানের ফার্ম হাউস নিয়ে যা বললেন রাঘব

ইরানের আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে ইসরায়েলের বিস্ফোরক দাবি

বদলে গেল আর্জেন্টিনা-পুয়ের্তো রিকো ম্যাচের ভেন্যু

১০

ভাত-ভর্তা প্রিয় বাঙালিদের জন্য ১১ পদের রেসিপি

১১

চট্টগ্রাম-রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি মহাসড়ক অবরোধ

১২

অ্যান্টিভেনম দিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি সোহেলের

১৩

মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য যে উদ্যোগ নিল বিসিবি

১৪

কমলালেবু কাণ্ডে বিতর্কে অক্ষয়

১৫

৮ অক্টোবর : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৬

ভারতীয় আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তেই কপাল পুড়ল বাংলাদেশের

১৭

পুকুরে মিলল ভাই-বোনের মরদেহ, মায়ের দাবি হত্যা

১৮

হার্ট ব্লকের ঝুঁকিতে যারা

১৯

দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণে বাধা, ঘুরিয়ে দেওয়া হলো ১৫ ফ্লাইট

২০
X