রাফায় অভিযানের বিষয়ে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। তবে দেশটির এ অভিযানের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (১০ মে) দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৯ মে) হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিবরি এক সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, ইসরায়েল রাফায় অভিযান চালালে তা হামাসের জন্য কৌশলগত জয় এনে দিতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা মনে করছি, রাফায় বড় ধরনের যে কোনো অভিযান প্রকৃতপক্ষে সমঝোতা আলোচনার টেবিলে হামাসের হাত শক্তিশালী করবে নয়তো এর মাধ্যমে ইসরায়েলের অবস্থান আরও পোক্ত হবে।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঘোষণা দেন, রাফায় ইসরায়েল অভিযান চালালে দেশটিতে সামরিক সরঞ্জাম পাঠানো স্থগিত করবে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্টের এমন ঘোষণার এক দিন পর জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র এমন সতর্কবার্তা দিলেন।
এর আগে রয়টার্স জানায়, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দীর্ঘ সাত মাস ধরে যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধ শুরুর এক মাসের মাথায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাত দিনের একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও আর কোনো চুক্তি আলোর মুখ দেখেনি। দীর্ঘদিন যুদ্ধবিরতি আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ে থাকার পর গত সপ্তাহে আলোচনায় নতুন গতি আসে। একপর্যায়ে মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজিও হয় হামাস। তবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি রাজি হলেও ইসরায়েলের টালবাহানায় শেষ পর্যন্ত কোনো চুক্তি ছাড়াই এবারের কায়রো আলোচনা শেষ হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মঙ্গলবার থেকে কায়রোতে হামাস, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারের প্রতিনিধিদল বৈঠক করছে। মিসরের রাজধানীতে এই আলোচনায় কিছু অগ্রগতি হলেও কোনো চুক্তিতে পৌঁছানো যায়নি। দুটি মিসরীয় নিরাপত্তা সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।
হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য ইজ্জাত এল-রিশেক বলেছেন, মধ্যস্থতাকারীদের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের অনুমোদনের বিষয়ে আবারও আশ্বস্ত করে হামাসের প্রতিনিধিদল কায়রো ত্যাগ করেছে। এই প্রস্তাবে গাজায় বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি এবং ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে।
তবে বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে একজন সিনিয়র ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, গাজায় যুদ্ধ বন্ধে কায়রোতে পরোক্ষ আলোচনার সর্বশেষ দফা শেষ হয়েছে। এখন পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফা এবং গাজা উপত্যকার অন্যান্য অংশে তাদের অভিযান চালিয়ে যাবে ইসরায়েল।
নতুন যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তির বিষয়ে হামাসের প্রস্তাব নিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে তেল আবিব নিজেদের আপত্তি জমা দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন