ইংরেজিতে যাকে বলে ‘ফডার’, বাংলায় সেটা গবাদি পশুর প্রিয় খাবার ঘাস। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে উচ্চফলনশীল ঘাস চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ নিয়ে লিখেছেন বাকৃবি প্রতিনিধি তানিউল করিম জীম
পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মাজিদুল ইসলাম বললেন, আগে প্রাকৃতিক চারণভূমি ছিল। গবাদি পশুর খাবারের অভাব ছিল না। এখন তা কমেছে। বর্ধিত হারে দুধ-মাংস উৎপাদনের স্বার্থে গবাদি পশুর জন্য এখন উচ্চফলনশীল সবুজ ঘাসের আবাদ করতে হয়।
মাজিদুল আরও জানালেন, উচ্চফলনশীল হরেকরকম ঘাস রয়েছে। যেমন—জার্মান, নেপিয়ার, জারা কিংবা পারা। একজন কৃষি বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হিসেবে একাডেমিক পড়াশোনার সুবাদে আমাদের সুযোগ হয়েছে মাটির সংস্পর্শে আসার। হাতেকলমে শেখার সুযোগ হয়েছে হরেকরকম ঘাস নিয়ে। এর মধ্যে অন্যতম অতি পরিচিত ঘাস হচ্ছে নেপিয়ার ও সুইটঘাস। জলাবদ্ধ স্থান ছাড়া বাংলাদেশের সব জমিতে এমনকি পাহাড়ি ঢাল এবং সমুদ্র তীরবর্তী লোনা জমিতেও নেপিয়ারের চাষ করা যায়। প্রতি হেক্টরে ২৫-২৬ হাজার কাটিং লাগানো যায়।
তিনি বলেন, ‘একাডেমিক শিক্ষার অংশ হিসেবে কীভাবে ঘাস উৎপাদন করতে হয় তা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমাদের হাতেকলমে শেখানো হয়। ব্যাচের ১৮০ জন মিলে এ প্রশিক্ষণের কাজ করেছি। তিনজন করে প্রায় ৬০টি ছোট ছোট টিমে ভাগ করা হয়েছিল। প্রতি টিমের জন্য ছিল আলাদা প্লট। সেই প্লটের আবার নামও দেওয়া হয়। ঘাস লাগানো থেকে শুরু করে আগাছা ওঠানো, ইউরিয়া সার দেওয়া পর্যন্ত সব কাজ আমরা নিজেরাই করেছি। আমার ৮০ বর্গফুটের প্লটে সুইটঘাস লাগিয়েছি। বাকিরা লাগিয়েছে রেড নেপিয়ার, জারা, সুইটঘাস। আমার প্লটটি ছিল একাডেমিক ভবন থেকে প্রায় ১.৫ কিলোমিটার দূরে পশুপালন অনুষদের পশ্চিম দিকে শাহজালাল পশু পুষ্টি গবেষণা ফিল্ডে।’
প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য ছিল ঘাসের চারার উৎপাদন কৌশল জানা, বৃদ্ধি ও উৎপাদন হার জানা।