বশির হোসেন, খুলনা
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৫১ এএম
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

খুলনায় ডেঙ্গু মোকাবিলায় উদ্যোগ নেই

শঙ্কায় নগরবাসী
খুলনায় ডেঙ্গু মোকাবিলায় উদ্যোগ নেই

খুলনায় মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু মোকাবিলায় তেমন কোনো উদ্যোগ নেই স্বাস্থ্য বিভাগ ও সিটি করপোরেশনের। এ ছাড়া খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও চালু করা হয়নি আলাদা কোনো ওয়ার্ড। উল্টো স্থবিরতা দেখা দিয়েছে মশা নিধন কার্যক্রমে। নগরীতে এডিস মশার লার্ভা শনাক্তের উদ্যোগ নেয়নি সিটি করপোরেশনও। এ অবস্থায় সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে শঙ্কিত নগরবাসী।

স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শুধু খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই গত এক মাসে ১৩৬ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। যেখানে চলতি বছর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসা নিয়েছে মাত্র ২৩৫ জন। আর মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। এদিকে খুলনা জেলায় গত এক মাসে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা নিয়েছে ১৭৫ জন।

খুলনার ডেঙ্গু রোগীদের প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এখানে আলাদা কোনো ডেঙ্গু ওয়ার্ড নেই। মেডিসিনের প্রতিটি ওয়ার্ডে দুটি সংরক্ষিত বেডের মাধ্যমে তাদের সেবা দেওয়া হয়। এ ছাড়া সরেজমিন হাসপাতালটিতে ঘুরে বারান্দা ও মেঝেতে অনেক ডেঙ্গু রোগী দেখা যায়।

রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, আলাদা ওয়ার্ড চালু না করায় অন্য রোগীদের সঙ্গেই ডেঙ্গু রোগীদের রাখা হচ্ছে। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। কারণ আক্রান্ত কাউকে কামড়ানোর পর সেই মশা কোনো সুস্থ মানুষকে কামড়ালে কিছু ক্ষেত্রে তারও ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে হাসপাতালটিতে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ডেঙ্গু পরীক্ষার প্রাথমিক কিট নেই। কবে আসবে তা-ও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। এতে হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গু পরীক্ষা ব্যাহত হচ্ছে।

সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, রোগীর চাপ এখনো সহনশীল আছে, সে কারণে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড করার বিষয়ে পরিকল্পনা নেই। ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট নেই বর্তমানে। চাহিদা দেওয়া আছে। আশা করি, শিগগিরই চলে আসবে।

এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে বারবার এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধকে গুরুত্ব দেওয়া হলেও খুলনার স্বাস্থ্য বিভাগ ও সিটি করপোরেশনের কার্যক্রমে ধীরগতি ও ক্ষেত্রবিশেষ স্থবিরতা চলছে। এ কারণে মশার প্রজনন বেড়েছে। এ ছাড়া নগরীতে এডিস মশার লার্ভা শনাক্তের কোনো উদ্যোগ নেয়নি সিটি করপোরেশন। কোনো এলাকায় মশার বংশ বিস্তার কেমন কিংবা লার্ভা বেশি কি না, সে বিষয়ে ধারণা নেই সংস্থাটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের।

এ ব্যাপারে খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, বৃষ্টির কারণে এখন মশা নিধনে লার্ভিসাইড ও এডাল্টিসাইড ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না। কারণ, এগুলো দিলে তা বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে যাবে। তবে এখন ফগার মেশিন দিয়ে উড়ন্ত মশা মারা হচ্ছে। বৃষ্টি কমলে লার্ভিসাইড ও এডাল্টিসাইড দেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হাটহাজারীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় গণদোয়া

জনসভায় হামলা-ভাঙচুর গণতন্ত্রের ওপর গভীর হুমকি : জেএসডি

একাধিক চাকরি করলে শিক্ষকদের এমপিও বাতিল

সিলেটকে বাংলাদেশের ১ম দুর্নীতিমুক্ত জেলা ঘোষণার উদ্যোগ

সাবেক সেনা কর্মকর্তার কাছে তারেক রহমানের দুঃখ প্রকাশ

বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ : টুকু

ঢাকায় নেত্রকোনা মুক্ত দিবস উদযাপন

এনসিপির প্রথম ধাপের মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা কাল

যুদ্ধবিমান ইউরোফাইটার টাইফুনের অনন্য যেসব শক্তিমত্তা

যাত্রীদের সুসংবাদ দিল মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ

১০

ব্যাংক কর্মীদের উৎসাহ বোনাস নিয়ে নতুন নির্দেশনা

১১

গুলিবিদ্ধ বিএনপি নেতার খোঁজ নিলেন জামায়াত নেতারা

১২

শাটল ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

১৩

চিকিৎসাধীন অবস্থায় চবি ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

১৪

‘বিএনপির নামে কেউ চাঁদাবাজি করলে টাকা ফেরত দিতেই হবে’

১৫

ময়লার গাড়িতে সরকারি ওষুধ পাচারের সময় দুই কর্মী আটক

১৬

রাশিয়ায় সামরিক বিমান বিধ্বস্ত, নিহত সব আরোহী

১৭

শারীরিক প্রতিবন্ধী আলিফের পাশে চট্টগ্রামের ডিসি

১৮

‘ইউরোফাইটার টাইফুন’ যুদ্ধবিমান কিনছে বাংলাদেশ

১৯

মসজিদের ভেতর বৃদ্ধের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

২০
X