বগুড়া পৌরসভার মেয়র ও জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা তার বিরুদ্ধে আনা ৬০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগটি মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। একটি সিন্ডিকেট তার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে তিনি জানান। গতকাল শনিবার বগুড়া পৌরসভার সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম বাদশা বলেন, আমার বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দাখিলকারী এম এ কে আজাদ ওরফে প্রিন্স মাহমুদ মূলত একজন দালাল। দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভায় বিভিন্ন ধরনের কাজ করে দেওয়ার নামে পৌর নাগরিকদের কাছে থেকে সে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। তার বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকেই অভিযোগ ছিল। শাহিন ট্রেডিং নামীয় একটি প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ও পৌরকর পরিশোধ করার জন্য তাদের কাছে থেকে প্রিন্স মাহমুদ ১৭ হাজার টাকা নেয়। এরপর ট্রেড লাইসেন্স ও পৌরকর জমা প্রদান-সংক্রান্ত রশিদে মিডল্যান্ড ব্যাংকের সিল এবং স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ধরা পড়ে। এ ব্যাপারে শাহিন ট্রেডিং বগুড়া সদর থানায় তার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করে। মিডল্যান্ড ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাসাবাড়ির নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রেও এম এ কে আজাদ বিভিন্ন নকশার আবেদনে উল্লিখিত রাস্তার পরিবর্তে ভিন্ন রাস্তা প্রদর্শন, অফিসে ঢুকে নথিপত্র ঘাঁটাঘাটি করায় গত বছরের ১৭ এপ্রিল তাকে পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
পরে শাহিন ট্রেডিংয়ের ট্রেড লাইসেন্স ফি ও পৌরকর জমা রশিদে ভুয়া সিল ও স্বাক্ষর ব্যবহার করায় চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি পৌরসভায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। তার অবাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টি তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং বিভিন্ন মাধ্যমে তদবির করে ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে সে আমাকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন ও হয়রানি করার উদ্দেশ্যে উল্লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে—যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমাকে রাজনৈতিকভাবে এবং সমাজে হেয়প্রতিপন্ন এবং আমার পরিবারের জন্য সম্মানহানিকর। তাই আমি অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলাসহ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন