কুড়িগ্রামের সব নদনদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার সকালে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ১৩ জুলাই থেকে ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যার সৃষ্টি হয়। তবে গত মঙ্গলবার থেকে ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমতে থাকলেও তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে। নদনদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় নিম্নাঞ্চলের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) শুক্রবারের তথ্য অনুযায়ী, জেলার সব নদনদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও ব্রহ্মপুত্র নদ অববাহিকায় উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার বেগমগঞ্জ, সাহেবের আগলা ও নয়ারহাট ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি আগামী দুদিন স্থিতিশীল থেকে ওই ইউনিয়নের চরাঞ্চলগুলোতে সাময়িক প্লাবন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামী ৭ দিন কুড়িগ্রামে বড় কোনো বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
চিলমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে সুখবর। কিন্তু তার ইউনিয়নে ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নের শাখাহাতি, কড়াইবরিশাল, গাজিরপাড়া, মোনতলাজুড়ে ৭ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন।
কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হলেও ব্রহ্মপুত্র নদ অববাহিকার নিম্নাঞ্চলের যাত্রাপুর, সাহেবের আগলা ও বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের শতাধিক বসতবাড়ি এখনো বন্যার পানিতে ডুবে আছে। এসব বন্যাকবলিত মানুষ সরকারিভাবে ১০ কেজি করে চাল পেয়েছেন। তাদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী প্রয়োজন বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ করে তিস্তা নদীর পানি সমতলে ২৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করেছিল। তবে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে জেলার সব নদনদীর পানি সমতলে হ্রাস পাচ্ছে। আগামী সাত দিন কুড়িগ্রামে বড় কোনো বন্যার সম্ভাবনা নেই।
মন্তব্য করুন