কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২২ জুলাই ২০২৩, ০১:০৩ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বন্যা পরিস্থিতি

কমছে নদনদীর পানি নিম্নাঞ্চলে স্বস্তি

কমছে নদনদীর পানি নিম্নাঞ্চলে স্বস্তি

কুড়িগ্রামের সব নদনদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার সকালে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ১৩ জুলাই থেকে ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বন্যার সৃষ্টি হয়। তবে গত মঙ্গলবার থেকে ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমতে থাকলেও তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে। নদনদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় নিম্নাঞ্চলের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) শুক্রবারের তথ্য অনুযায়ী, জেলার সব নদনদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও ব্রহ্মপুত্র নদ অববাহিকায় উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার বেগমগঞ্জ, সাহেবের আগলা ও নয়ারহাট ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি আগামী দুদিন স্থিতিশীল থেকে ওই ইউনিয়নের চরাঞ্চলগুলোতে সাময়িক প্লাবন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামী ৭ দিন কুড়িগ্রামে বড় কোনো বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

চিলমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে সুখবর। কিন্তু তার ইউনিয়নে ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নের শাখাহাতি, কড়াইবরিশাল, গাজিরপাড়া, মোনতলাজুড়ে ৭ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন।

কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হলেও ব্রহ্মপুত্র নদ অববাহিকার নিম্নাঞ্চলের যাত্রাপুর, সাহেবের আগলা ও বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের শতাধিক বসতবাড়ি এখনো বন্যার পানিতে ডুবে আছে। এসব বন্যাকবলিত মানুষ সরকারিভাবে ১০ কেজি করে চাল পেয়েছেন। তাদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী প্রয়োজন বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ করে তিস্তা নদীর পানি সমতলে ২৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করেছিল। তবে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। বর্তমানে জেলার সব নদনদীর পানি সমতলে হ্রাস পাচ্ছে। আগামী সাত দিন কুড়িগ্রামে বড় কোনো বন্যার সম্ভাবনা নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জাতীয় নির্বাচনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট খারিজ

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

মুক্তিযোদ্ধা দম্পতি হত্যাকাণ্ডে থানায় মামলা

সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যে থাইল্যান্ডের বিমান হামলা

৮ দিন ধরে নিখোঁজ হাফেজ সিফাত

কবে বিয়ে করছেন কেয়া? জানালেন নিজেই

ঢাকায় ৭ম আই-ইইই এসসিআই আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু বৃহস্পতিবার

মানুষ জামায়াতে ইসলামীকে আস্থার প্রতীক হিসেবে নিয়েছে : ড. মোবারক

দুপুরে নামাজের নিষিদ্ধ সময় কি ঠিক ১২টা?

ঢাবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার লাভলু ৩ দিনের রিমান্ডে

১০

৫ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, অতঃপর...

১১

কলাপাতায় মোড়ানো মরদেহ, বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য

১২

আমাকে একা রেখে চলে গেলে : হেমা

১৩

প্রায় ৩০ হাজার বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন হৃতিক

১৪

কাজ থাকলে মৌসুমী-মাহিরা দেশ ছাড়ত না : মিশা সওদাগর

১৫

সব অপরাধ বন্ধের ম্যাজিক আমার কাছে নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৬

তপশিল : রেকর্ডের জন্য বিটিভি-বেতারকে আহ্বান ১০ ডিসেম্বর

১৭

মানুষের ভালোবাসা ও দোয়ায় খালেদা জিয়া সুস্থ হবেন, প্রত্যাশা ফারুকের

১৮

অর্থনীতি নিয়ে বিভ্রান্তিকর বার্তা ছড়ানো হচ্ছে : প্রেস সচিব

১৯

ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে অস্ট্রেলিয়ার দুই রাজ্য 

২০
X