বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় গত সোমবার হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সমন্বয়কারী (স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন) জন কিরবি তার দেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
বাংলাদেশ সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ ও অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ছয় কংগ্রেস সদস্যের চিঠি দেওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে
জন কিরবি বলেন, ওই চিঠির বিষয়ে তারা অবগত। বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে তাদের অবস্থান দৃঢ়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে সম্প্রতি থ্রি সি ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ঘোষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশের নির্বাচনকে যারা বাধাগ্রস্ত করবে, তাদের ভিসা দেওয়া হবে না।
গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে যা বললেন বেদান্ত প্যাটেল : স্থানীয় সময় গত সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, “আমি অন্য কোনো দেশের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলব না। আমি শুধু বলব, যুক্তরাষ্ট্র সারা বিশ্বে গণতন্ত্রের প্রচার এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশের সরকার, রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যম সবাই আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছে। সেই অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র একটি নতুন নীতি ঘোষণা করেছে, যার অধীনে বাংলাদেশের বর্তমান বা সাবেক কর্মকর্তা, সরকারপন্থি বা বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং বাংলাদেশে ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার’ জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা হয়—এমন ব্যক্তিদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতেই নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। এ নীতি নির্দিষ্ট কোনো দল বা ব্যক্তির জন্য নয়।
এ সময় বেদান্ত প্যাটেলের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ছয় কংগ্রেসম্যানের চিঠি ও ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে এর প্রভাব নিয়ে। জবাবে প্যাটেল বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও গভীর করতে চাওয়ার ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসনের আগ্রহের কথা বলেন।
মন্তব্য করুন