সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় প্রিপেইড মিটারের রিচার্জ বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ৪২ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক। এতে তীব্র গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকায় শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা পড়েছেন বিপাকে। অনেক বাসিন্দা রান্না, পানি উত্তোলনসহ নিত্যদিনের কাজ করতে পারছেন না।
রোববার (১৩ জুলাই) রাত থেকে বিভিন্ন এলাকায় সার্ভার ডাউন থাকায় বিদ্যুৎ প্রিপেইড মিটার রিচার্জে সমস্যা দেখা দেয়। মোবাইল ব্যাংকিং থেকে হচ্ছে না রিচার্জ।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) কোনো কর্মকর্তাকে না পেয়ে উত্তেজিত বিদ্যুৎ গ্রাহকরা হইচই শুরু করলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
জানা যায়, রোববার থেকে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সিলেট নগরীর এ সমস্যার সমাধান হয়নি। অনেকেই রিচার্জে ব্যর্থ হয়ে বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করেন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গতকাল বিদ্যুৎ অফিসগুলোয় বাড়তে থাকে গ্রাহক উপস্থিতি। এ পরিস্থিতিতে অফিস থেকে তাদের কোনো সমাধান না দিয়ে, শুধু মিটার পরিবর্তনের ফরম ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন গ্রাহকরা। পরে কোনো কর্মকর্তাকে না পেয়ে উত্তেজিত বিদ্যুৎ গ্রাহকরা হইচই শুরু করলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিকেল সাড়ে ৩টায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ প্রকৌশলীর কার্যালয়ে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
বিক্ষুব্ধ গ্রাহকদের মধ্যে এক প্রবাসী বৃদ্ধা জানান, আমাদের কেন এ গরমে এত কষ্ট দেওয়া হচ্ছে বুঝতে পারছি না। টাকা দিয়েও কেন ইউনিট রিচার্জ করতে পারছি না।
সিলেট বিভাগীয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা যায়, সিলেট নগরীতে আগে বেসরকারি কোম্পানির এসটিএস প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হতো। বর্তমানে সর্বত্র পিডিবির সিটিএস মিটার স্থাপন করা হচ্ছে। এসটিএস কোম্পানির সঙ্গে সরকারের চুক্তির মেয়াদ প্রায় শেষের পথে। এর মধ্যে ওই মিটারগুলোয় কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে ত্রুটি সারানোর চেষ্টা চলছে। বিক্ষুব্ধ গ্রাহকের সংখ্যা বাড়তে থাকলে একপর্যায়ে নির্বাহী প্রকৌশলীসহ অফিসের সব কর্মকর্তা সুকৌশলে অফিস থেকে সটকে পড়েন।
সিলেট বিভাগীয় বিদ্যুৎ অফিসের সহকারী প্রকৌশলী মো. জারজিসুর রহমান রনি কালবেলাকে বলেন, সার্ভারে কিছু সমস্যা থাকায় এটা হয়েছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এ সমস্যা সমাধান হবে।
মন্তব্য করুন