বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ফকিরেরপুল ইয়াংমেন্স ক্লাবের ওপর খেলোয়াড় নিবন্ধনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ফিফা। পারিশ্রমিক ইস্যুতে উজবেকিস্তানের এক ফুটবলারের অভিযোগের ভিত্তিতে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কম্পিটিশন্স বিভাগ থেকে বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
চলতি বছরের ২২ মে থেকে পরবর্তী তিন মাসের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, যা শেষ হবে ২২ আগস্ট। ২০২৫-২৬ মৌসুমের দলবদল কার্যক্রম ১ জুন শুরু হয়েছে, শেষ হবে ১৫ আগস্ট। যার অর্থ চলতি দলবদল কার্যক্রমে কোনো ফুটবলার নিবন্ধন করতে পারবে না ক্লাবটি। চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ থেকে প্রমোশন নিয়ে গত মৌসুম প্রিমিয়ারে খেলেছে ফকিরেরপুল ইয়াংমেন্স ক্লাব। ১০ দলের লিগে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি অষ্টম স্থানে ছিল।
লিগ থেকে রেলিগেটেড হয়ে গেছে চট্টগ্রাম আবাহনী ও ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব। একটা সময় রেলিগেশন অঞ্চলে লড়াই করলেও শেষদিকে এসে প্রিমিয়ার লিগে টিকে থাকে ফকিরেরপুল ইয়াংমেন্স ক্লাব। নতুন মৌসুমে টিকে থাকার জন্য দল গড়াটা এখন চ্যালেঞ্জের মুখে।
আসন্ন মৌসুমের দলবদল জটিলতা এড়াতে দ্রুত বিষয়টি সমাধানের কথা বললেন ইয়াংমেন্স ফকিরেরপুল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আলী।
তিনি স্থানীয় এক গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘একজন খেলোয়াড়ের আর্থিক পারিশ্রমিক ইস্যুতে এমনটি হয়েছে। আমরা দ্রুত সেটি সমাধান করে আসন্ন মৌসুমের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে চাই।’
চলতি বছর এটি বাংলাদেশি ক্লাবের ওপর চতুর্থ নিষেধাজ্ঞার ঘটনা। তিন দফা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ওপর। প্রিমিয়ার লিগের সাবেক চ্যাম্পিয়নদের ওপর ১ জানুয়ারি দুটি আলাদা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, আরেকটি ৬ জানুয়ারি দেওয়া হয়। তিনটি নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ছিল তিন মাসের।
এ নিষেধাজ্ঞা অবশ্য শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে জটিলতায় ফেলতে পারেনি। কারণ, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ক্লাবটি ২০২৪-২৫ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। যে কারণে দলবদল নিষেধাজ্ঞাও ছিল অর্থহীন।
ফিফার খেলোয়াড় নিবন্ধন তালিকায় দীর্ঘমেয়াদি নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে বর্তমান বাফুফে সভাপতি তাবিথ এম আউয়ালের সাবেক ক্লাব ফেনী সকার। ২০২২ সালের ২ আগস্ট ফিফা ক্লাবটির ওপর খেলোয়াড় নিবন্ধনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। প্রত্যাহার করার আগ পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকার কথা। সেটা এখনো বহাল রয়েছে।
বিভিন্ন মহাদেশীয় ফুটবল সংস্থার অধীন ক্লাবগুলোর ওপর ফিফা ১ হাজার ৭৬টি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। সে তালিকায় এখনো আছে ফেনী সকার ক্লাবের ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা। সকার ক্লাবের দীর্ঘমেয়াদি নিষেধাজ্ঞা ছাড়া বাকি চারটি নিষেধাজ্ঞা তিন মাস মেয়াদি।
মন্তব্য করুন