কালবেলা প্রতিবেদক ও ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ১৫ মে ২০২৫, ০৯:১৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

সাম্য হত্যার কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা

ঢাবি ক্যাম্পাস দিনভর উত্তাল
সাম্য হত্যা
সাম্য। ছবি: সংগৃহিত

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে ছুরিকাঘাতে নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার মূল কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দাবি করে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, গ্রেপ্তার তিনজনই মাদকসেবী ও ‘বহিরাগত’। মঙ্গলবার রাতে সাম্য এবং তার বন্ধুরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ করলে বাইকে ধাক্কা লাগা নিয়ে গ্রেপ্তার ৩ জনসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর ওই দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করলে নিহত হন সাম্য। এসময় সাম্যের দুই বন্ধুও গুরুতর আহন হন। তবে প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, রমনা কালীমন্দিরের গেট দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কারা আগে প্রবেশ করবে—এ নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয় এবং পরে হামলার ঘটনা ঘটে। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে আর কোনো ঘটনা আছে কি না, সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

হত্যার ঘটনায় নিহত সাম্যের ভাই এস এ এম শরীফুল আলম বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহার এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য থেকে জানা যায়, নিহত সাম্য, বায়েজিদ ও রাফি তিন বন্ধু মিলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অভ্যন্তরীণ সড়ক হয়ে মুক্তমঞ্চের সামনে দিয়ে কালীমন্দিরের গেট দিয়ে ভেতর থেকে মোটরসাইকেলে বাইরে বের হচ্ছিলেন। এসময় মুক্তমঞ্চের উত্তর পাশে বহিরাগত একটি বাইকের সঙ্গে তাদের বাইকের ধাক্কা লাগে। এ ঘটনার জেরে বাগবিতণ্ডায় জড়ায় দুপক্ষ। অপর পক্ষে যোগ দেয় আরও তিনটি বাইকসহ প্রায় ১০ জনের একটি গ্রুপ। বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ঢাবির এই তিন শিক্ষার্থীর ওপর উপর্যুপরি হামলা চালায় বহিরাগতরা। পায়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতের ফলে সেখানেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সাম্য। তাৎক্ষণিক তাকে অন্য বন্ধুরা হাসপাতালে নিলে রাত ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালিদ মনসুর কালবেলাকে বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন মাদারীপুর সদরের এরশাদ হাওলাদারের ছেলে মো. তামিম হাওলাদার (৩০), কালাম সরদারের ছেলে পলাশ সরদার (৩০) ও ডাসার থানার যতীন্দ্রনাথ মল্লিকের ছেলে সম্রাট মল্লিক (২৮)।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার তিনজন মাত্র ১৫ দিন আগে মাদারীপুর থেকে ঢাকায় এসে ফুটপাতে হকারি শুরু করেছিলেন। তাদের একটি বাইক আছে। সারাদিন ফুটপাতে হকারি করার পর প্রতিদিন সন্ধ্যায় উদ্যানে এসে মাদক সেবন করতেন। তারা তিনজনই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ঘটনার সময় দুজন আহত হয়ে শেরেবাংলা নগর থানা এলাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিল। সেখান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে অন্যজনকে রাজাবাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে কথা কাটাকাটি থেকেই ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। তাদের কাছে আগে থেকেই ছুরি ছিল, নাকি তারা পরে ছুরি নিয়ে এসেছে, সে বিষয়গুলো তদন্তের পর বলা যাবে। এ ছাড়া এ ঘটনার পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না, সে বিষয়গুলোও আমরা খতিয়ে দেখেছি।

দিনভর উত্তাল ঢাবি: সাম্য হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে ঢাবি ক্যাম্পাস। হত্যার বিচার দাবিতে মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে বুধবার সারা দিন বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায়ী করে ভিসি এবং প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল। তবে সংগঠনটির এমন দাবিকে ‘লাশের রাজনীতি’ বলে অভিযোগ তুলেছে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। একই সুরে কথা বলেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ (বাগছাস) জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরাও।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এই দায়ভার কোনোভাবে এড়িয়ে যেতে পারেন না। আমরা দেখেছি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর তারা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। এ ব্যর্থতার জন্য আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, আপনারা (ভিসি, প্রক্টর) শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী সসম্মানে পদত্যাগ করুন। আগামীতে যদি ছাত্রদলের একজন কর্মীও হামলার স্বীকার হয় আর অন্তর্বর্তী সরকার কোনো পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে আমরা এই সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব।

বিক্ষোভে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকা কলেজ, ইডেন কলেজ, তিতুমীর কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ ও ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্রদলের এমন অবস্থানের ফলে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সংগঠনটি। শিক্ষার্থীদের গণ্ডি পেরিয়ে সংগঠনটির তীব্র সমালোচনা করেন জাতীয় নাগরিক পার্টি, ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের নাগরিকরা।

ফেসবুকভিত্তিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় গ্রুপ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদে তন্ময় মিরাজ নামের এক শিক্ষার্থী ছাত্রদলের সমালোচনা করে লিখেন, আজকে ছাত্রদলের সুযোগ ছিল! বিরাট সুযোগ ছিল সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিশাল মিছিল করার, প্রতিবাদ করার। কিন্তু তারা বেছে নিল নোংরা রাজনীতিটাই।

এক দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রক্টরের পক্ষে অবস্থান নিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। পাশাপাশি এ হত্যাকাণ্ডের পথ তৈরিতে যেসব সংগঠন কিংবা ব্যক্তিরা সময়ে সময়ে অবদান রেখেছে তাদেরও বিচার দাবি করেন সারজিস।

হত্যার তীব্র নিন্দা এবং সাম্যর খুনিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বহুদিন ধরে মাদক, চাঁদাবাজি ও অপরাধচক্রের নিরাপদ আস্তানায় পরিণত হয়েছে, এখন আর চোখ বুজে থাকার সময় নেই। এই উদ্যানের নিয়ন্ত্রণে জরুরি ভিত্তিতে কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা আর কোনো সাম্যকে হারাতে চাই না।

সাম্যের স্মৃতিচারণ ও গভীর শোক প্রকাশ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফেসবুকে লেখেন, ২০১৯ সালের দিকে ক্যাম্পাসে গেস্টরুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে কিংবা শিক্ষার্থীদের যে কোনো যৌক্তিক দাবির আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে যেসব মুখ সবসময় দেখা যেত, সাম্য তাদের একজন। তিনি আরও লিখেন, হত্যাকারীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে। তবে শুধু ব্যক্তি নয়—উদ্যানকেন্দ্রিক অপরাধ চক্র, মাদক চক্র এবং উদ্যানের অনিরাপদ পরিবেশও এ ঘটনার জন্য সমানভাবে দায়ী।

মশাল মিছিল: ঢাবি ক্যাম্পাস দিনভর উত্তাল থাকার পর রাতে উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে মশাল মিছিল করেছে ‘সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’। মিছিলটি উপাচার্যের বাসভবনের সামনে পৌঁছলে শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে আমি কে? সাম্য সাম্য’, ‘ক্যাম্পাসে লাশ পড়ে, প্রশাসন কী করে?’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাম্যের সহপাঠী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। মিছিলে বিভিন্ন বামপন্থি সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সাত সদস্যের কমিটি গঠন: সাম্য হত্যার ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানকে আহ্বায়ক এবং সহকারী প্রক্টর শারমীন কবিরকে কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে।

কমিটির অন্যরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকরামুল হক, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমান, হাজি মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম এবং ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তদন্ত) আইয়ুব আলী। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি পরিবারের: সাম্যের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। বুধবার বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে ছোট ভাইয়ের জানাজার আগে বড় ভাই আনোয়ারুজ্জামান সাগর বলেন, সাম্য আমার চেয়ে ১৬ বছরের ছোট। সে অষ্টম শ্রেণিতে থাকতে মাকে হারিয়েছি। সেই থেকে তাকে আগলে রেখেছি। কোনো কষ্ট বুঝতে দিইনি। অনেক স্বপ্ন নিয়ে তাকে সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে পাঠিয়েছি; কিন্তু এভাবে ভাইকে হারাতে হবে ভাবতেও পারিনি। কী কারণে ভাইকে প্রাণ হারাতে হলো তার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে উপাচার্যকে আহ্বান জানান তিনি।

জানাজায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

দাফন: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজা শেষে সাম্যের মরদেহ গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার সড়াতৈল গ্রামে নেওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।

কালবেলার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সাম্যের বাবা ফকরুল আলম ফরহাদ অবসরপ্রাপ্ত বিসিসিআই সার কারখানার কর্মকর্তা। তিনি ২০১২ সাল থেকে সপরিবারে ঢাকার মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকায় বাস করেন। তার চার সন্তানের মধ্যে সাম্য সবার ছোট। তার তিন ছেলে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত।

সাম্যের চাচা হাজি কায়সারুল আলম কায়েস বলেন, গত শুক্রবার ঢাকায় আমার বড় ভাতিজির গায়েহলুদ অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে সাম্যের সঙ্গে কথা হয়। জানতাম না, এটাই হবে তার সঙ্গে আমার শেষ কথা। সাম্যের কী অপরাধ ছিল যে, মা হারা ছেলেটিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো। এমন মেধাবী ভাতিজার মৃত্যু মেনে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ফাঁসি চাই।

বিচার চাইলেন মির্জা ফখরুল: সাম্য হত্যার বিচার চেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই হত্যার বিচার চান তিনি। পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম লেখেন, সে আর সোজা হয়ে দাঁড়াবে না, আর কোনো কনসার্টে যাবে না, গানের তালে নাচবে না, স্বপ্ন দেখবে না আর নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে। এটা শুধু একজন মানুষের হত্যা ছিল না, এটা ছিল হাজারো স্বপ্নের মৃত্যু। আমরা আমাদের ছেলে সাম্যের জন্য বিচার চাই। তিনি আরও লেখেন, আমাদের সন্তানের হত্যার বিচার চাই। জবাব দিতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতে অ্যাপলের কারখানা নিয়ে ট্রাম্পের তীব্র প্রতিক্রিয়া

এপিএস মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু

গরু নিয়ে গেছেন বিএনপি নেতা, বাছুর নিয়ে আদালতে নারী

নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যার দায়ে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন

উপদেষ্টাকে বোতল ছুড়ে মারার ঘটনাটি ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত : জবি শিক্ষার্থী

‘ছাত্রলীগ হইতে যাইয়েন না’

রোহিঙ্গা শিবিরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন

আরেক মুসলিম দেশের প্রতি পাকিস্তানের কৃতজ্ঞতা

অন্তর্বর্তী সরকারকে ডানে-বামে তাকিয়ে দেশ শাসন করতে বললেন রিজভী

ইউএনওর সভায় আ.লীগ নেতা

১০

কাশ্মীরে আবারও সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ, নিহত ৩

১১

এবার ‘বোতল-বোতল’ স্লোগানে জবি শিক্ষার্থীরা

১২

শ্রম বাজার নিয়ে বাংলাদেশকে বড় সুখবর মালয়েশিয়ার

১৩

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে রেকর্ড প্রাইজমানি, বাংলাদেশ পাবে কত?

১৪

সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে যেসব জায়গায় হতে পারে ঝড়

১৫

চলমান আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন সাবেক জবি শিক্ষার্থীরা

১৬

ঢাবির প্রশাসনিক ভবনে‌ জোরপূর্বক তালা দিল ছাত্রদল-বাম 

১৭

আইপিএলে খেলার অনুমতি পাচ্ছেন মোস্তাফিজ

১৮

টি সিরিজে ইশতিয়াক আহমেদের গান

১৯

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন ঘোষণা

২০
X