মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২২ আশ্বিন ১৪৩২
ইউসুফ আরেফিন
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৫৩ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

জনপ্রশাসন সচিব পাচ্ছে না সরকার!

জনপ্রশাসন সচিব পাচ্ছে না সরকার!

কিছুদিন আগেও যে পদটি ছিল প্রশাসনের কর্মকর্তাদের শীর্ষ আকাঙ্ক্ষা, ক্ষমতা, প্রতিপত্তি আর প্রভাবের কেন্দ্রবিন্দু—জনপ্রশাসন সচিবের সেই পদটিই যেন এখন ‘হট সিট’ থেকে ‘কাঁটার সিংহাসন’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের তিন নম্বর ক্ষমতাধর পদ হিসেবে পরিচিত পদটি গ্রহণে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না অনেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাই। নগ্ন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, বিভিন্ন মহলের তদবিরের চাপ, বদলি-পদোন্নতি ঘিরে বাণিজ্যের অভিযোগ এবং সর্বোপরি নিজ ‘ইমেজ সংকট’ ঝুঁকি বিবেচনায় এই আসনে বসতে এরই মধ্যে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন অন্তত সাত সচিব। অথচ এক সময়ের অতি লোভনীয় এই পদ পাওয়ার জন্যই চলত কোটি টাকার খেলা, অদৃশ্য তদ্বির আর ক্ষমতার অলিন্দে দৌড়ঝাঁপ।

শুধু প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যেই নয়, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক অঙ্গনেও আলোচিত একটি প্রশ্ন—কে হচ্ছেন পরবর্তী জনপ্রশাসন সচিব? সচিবালয়ে এ নিয়ে যেমন আগ্রহ তুঙ্গে, তেমনি নির্বাচনী সমীকরণে গুরুত্বপূর্ণ এই পদে কে আসছেন, তা ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে রয়েছে জোর কৌতূহল। কারণ, নির্বাচনী মাঠের আমলাদের রদবদল নির্ভর করে অনেকটাই এই সচিবের সিদ্ধান্ত ও প্রভাবের ওপর। তাই কোনো কোনো রাজনৈতিক দল পর্দার আড়ালে তাদের ‘পছন্দের আমলাকে’ এই পদে বসাতে তদবির চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। বিশেষ করে অন্যতম তিনটি রাজনৈতিক দল তাদের পছন্দের কর্মকর্তাকে এ পদে বসাতে ত্রিমুখী লড়াই চালাচ্ছে।

নানা বিতর্কের মধ্যে গত ২১ সেপ্টেম্বর সরিয়ে দেওয়া হয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমানকে। তাকে তুলনামূলক ‘কম’ গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে বদলির ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও দেশের প্রশাসনে রদবদল নিয়ন্ত্রণকারী এই মন্ত্রণালয়ে এখনো সচিব নিয়োগ দিতে পারেনি সরকার। জনপ্রশাসন সচিব হতে কয়েকজন সিনিয়র সচিবকে প্রস্তাব দেওয়া হলেও তারা ‘রাজি হননি’ বলে জানা গেছে। দেশের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে স্বল্প সময়ে বদলি হওয়া মোখলেস উর রহমানের ঘাড়ে যে পরিমাণ বদনামের বোঝা উঠেছে, তা বিবেচনায় জনপ্রশাসন সচিব হতে রাজি হচ্ছেন না জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। একের পর এক সাতজন সচিব প্রস্তাব ‘প্রত্যাখ্যান’ করেছেন। ফলে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জনপ্রশাসন সচিব নিয়োগে সর্বোচ্চ পেরেশানি পোহাতে হচ্ছে। একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা কালবেলাকে এমনটি জানিয়েছেন। যদিও এর আগে সচরাচর সরকারের সবচেয়ে আস্থাভাজন, যোগ্য ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের এ পদে বসানো হতো।

জনপ্রশাসন সচিব পদ ঘিরে এই টানাপোড়েনের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ গতকাল রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় মোবাইল ফোনে কালবেলাকে বলেন, ‘কেন নিয়োগ হচ্ছে না, এটা আমি বলতে পারব না। এটা জনপ্রশাসনের বিষয়।’

প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাব্যক্তি হিসেবে বিষয়টি সম্পর্কে তার অবগত থাকার কথা—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি এখন ব্যস্ত আছি, কথা বলতে পারব না।’ এরপর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

একই বিষয়ে বক্তব্য জানতে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্নার মোবাইল ফোনে কল করে কোনো সাড়া মেলেনি।

সরকারের দাায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, মোখলেস উর রহমানকে সরিয়ে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানোর পর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগকৃত ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বদলির পরিকল্পনা করে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। কিন্তু সালেহ আহমেদ জনপ্রশাসনের দায়িত্ব নিতে ‘অপারগতা’ প্রকাশ করেন। তিনি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার সপ্তম ব্যাচের কর্মকর্তা। পরে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হককে জনপ্রশাসন সচিব হতে বলা হয়। তিনিও জনপ্রশাসনে গেলে বিতর্কিত হতে পারেন—এমন আশঙ্কা থেকে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এহছানুল হক ৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা। মূলত এ ব্যাচের কর্মকর্তারাই বর্তমানে প্রশাসনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদও ৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা। জনপ্রশাসনের দায়িত্ব নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকেও বিবেচনায় নেওয়া হয়। তিনিও এ দায়িত্বকে ‘ঝামেলা’ মনে করে নিতে ‘অপারগতা’ প্রকাশ করেছেন। নাসিমুল গনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আগে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব ছিলেন। তিনিও ৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা।

দেশের প্রশাসন নিয়ন্ত্রণকারী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদকে। ৮৪ ব্যাচের এ কর্মকর্তাও জনপ্রশাসনে যেতে চাচ্ছেন না। তিনিও প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

এ অবস্থায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের চুক্তিভিত্তিক সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়াকে জনপ্রশাসন সচিব করার চিন্তা করা হয়। কিন্তু তিনিও এ পদে আসতে আগ্রহী নন বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদীকেও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের কর্তাব্যক্তিরা। কিন্তু স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দেশের দুটি বড় রাজনৈতিক দলের প্রশাসন বিশ্লেষকরা জাহেদীর বিরোধিতা করেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। জনপ্রশাসনে বসলে নির্বাচনের সময় তিনি নিরপেক্ষ থাকবেন না বলে ওই দল দুটির আশঙ্কা। ফলে তাকেও জনপ্রশাসনে বসাতে পারছে না সরকার।

এমন প্রেক্ষাপটে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলামকে জনপ্রশাসনে নিয়োগ দিতে চেয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু তার বিষয়েও একটি রাজনৈতিক দলের আপত্তি এবং বিরোধিতার মুখে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় তাকে নিয়োগ দিচ্ছে না। অবশ্য নজরুল ইসলাম নিজেও নাকি জনপ্রশাসনে যেতে আগ্রহী হননি। এমন অবস্থায় জনপ্রশাসন সচিব পদ নিয়ে অনেকটাই বিপাকে পড়েছে সরকার। আবার বড় দুটি রাজনৈতিক দল তাদের পছন্দের কর্মকর্তাকে জনপ্রশাসন সচিব করার ব্যাপারে জোর তদবির করছে বলে গুঞ্জন রয়েছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সবশেষ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্নাকে বদলি করে জনপ্রশাসন সচিবের দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টিও চিন্তা করা হয়েছে। তবে তিনিও এ পদে যেতে চান না। অবশ্য শেষ পর্যন্ত তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে ভাষ্য ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তার। পান্না বিসিএস ১১তম ব্যাচের কর্মকর্তা। চলতি সপ্তাহের মধ্যে সাইফুল্লাহ পান্নাকে জনপ্রশাসনের দায়িত্ব দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির সম্ভাবনা রয়েছে।

কেন জনপ্রশাসন সচিব হতে চাচ্ছেন না কর্মকর্তারা: জনপ্রশাসন সচিব হওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানকারী সাত সচিবের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে কালবেলা। তবে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ কথা বলতে রাজি নন।

সচিবালয়ের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, আওয়ামী লীগের পতনের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে চুক্তিভিত্তিক সচিব নিয়োগ করে অন্তর্বর্তী সরকার। বিসিএস ৮২ ব্যাচের কর্মকর্তা ড. মোখলেস উর রহমানকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগের ১৩ মাসের মাথায় নানা বিতর্কের জেরে গত ২১ সেপ্টেম্বর তাকে বদলি করে পরিকল্পনা কমিশনে সদস্য (সিনিয়র সচিব) পদে নিয়োগ করা হয়। এটি জনপ্রশাসন সচিবের জন্য মর্যাদাপূর্ণ নয়। কারণ ওই পদটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব পদ থেকে অনেক কম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। অতীতে বাংলাদেশের প্রশাসনে এমন ঘটনা ঘটেনি। মোখলেস উর রহমানের এমন বদলি প্রশাসনে নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এটি ভবিষ্যৎ জনপ্রশাসন সচিবদের জন্য একটি খারাপ নজির হয়ে থাকবে বলে মনে করেন কর্মকর্তারা।

মোখলেস উর রহমানের নিয়োগের পর প্রশাসনে হযবরল অবস্থার উদ্ভব হয়। কয়েকজন সচিবকে নিয়োগ এবং পরবর্তী সময় তাদের যোগদান করতে না দেওয়া, মাসের পর মাস ধরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগে সচিব পদ খালি থাকা, ডিসি পদে এখনো যুগ্ম সচিবদের বহাল রাখা, জনপ্রশাসনের কাজের গতি কমে যাওয়াসহ নানান অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। যদিও তিনি বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মোখলেস উর রহমানকে বদলির ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও নতুন জনপ্রশাসন সচিব নিয়োগ দিতে পারেনি বর্তমান প্রশাসন। অতীতে কোনো সময় গুরুত্বপূর্ণ এ মন্ত্রণালয়ের সচিব পদটি এতদিন খালি থাকেনি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

কর্মকর্তারা বলেন, এখন সময় খারাপ যাচ্ছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন। জনপ্রশাসন সচিবকে তাৎক্ষণিক অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কর্মকর্তাদের নিয়োগ-বদলির বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় তাকে অনেক তদবির সামলাতে হবে। নানা ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, প্রভাবশালী একটি চক্র সবসময় জনপ্রশাসন সচিবের বিরুদ্ধে লেগে থাকে। তাদের পছন্দমতো কাজ না হলে কিংবা তদবির না শুনলে জনপ্রশাসন সচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে। এ কারণে এই অস্থির সময়ে জনপ্রশাসন সচিব হয়ে কেউ বদনাম কুড়াতে চাচ্ছেন না। এমন অবস্থায় কাউকে জোর করে দায়িত্ব দেওয়া হলেও তিনি কিন্তু ভয়ে ভয়ে থাকবেন। ঠিকমতো কাজ করতে পারবেন না। এতে আবারও জনপ্রশাসনে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। এই ভয় থেকেই কেউ গুরুত্বপূর্ণ এ পদে আসতে চাচ্ছেন না। ফলে সরকারও নিয়োগ দিতে পারছে না। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের নানান সমালোচনা শুনতে হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. এরফানুল হক কালবেলাকে বলেন, ‘এটা (জনপ্রশাসন সচিবের পদ ফাঁকা থাকা) ঊর্ধ্বতনরা জানেন। আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।’

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে রুটিন দায়িত্ব পালনকারী সচিব ড. আবু শাহীন মো. আসাদুজ্জামানের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি সাড়া দেননি। অতিরিক্ত সচিব শাহীন ১৮তম ব্যাচের কর্মকর্তা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হয়ে যা বললেন আমিনুল

১৩ বছরের দুর্ভোগ থেকে মুক্তি চায় গাজীপুরবাসী

সুন্দরবনে ভেসে গিয়ে বেঁচে ফিরলেন কুয়াকাটার পাঁচ জেলে

শিশু হত্যার দায়ে একজনের ৭ বছরের কারাদণ্ড

সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন

যুক্তরাজ্যের বিশেষ দূতের সঙ্গে বিএনপি প্রতিনিধিদলের বৈঠক

পাইকগাছা রিপোর্টার্স ইউনিটির দ্বি-বার্ষিক কমিটি গঠন

বৃষ্টি ও ভ্যাপসা গরম নিয়ে নতুন বার্তা আবহাওয়া অফিসের

গুগলে দ্রুত প্রয়োজনীয় তথ্য জানার ৭ কৌশল

পুনরায় বিসিবির পরিচালক নির্বাচিত হলেন মনজুর আলম

১০

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আ.লীগ নেতা ও তার ছেলের ইলিশ শিকার

১১

কবরস্থান-মসজিদ রক্ষায় রেলকর্মীদের আলটিমেটাম

১২

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকার / এককভাবে সরকার গঠনে আত্মবিশ্বাসী তারেক রহমান

১৩

চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যের প্রতারণা, সেনা অভিযানে গ্রেপ্তার

১৪

কোরআনে হাফেজের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

১৫

বাংলাদেশে নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে তুরস্ক

১৬

৫ দিনের মাথায় আবারও গুলি করে যুবককে হত্যা

১৭

আ.লীগ নেত্রী আকলিমা তুলি গ্রেপ্তার

১৮

এক ভিসায় যাওয়া যাবে আরবের ৬ দেশে, কীভাবে?

১৯

ভৈবর নদে তলিয়ে গেল সুন্দরবনের ট্যুরিস্ট জাহাজ

২০
X