

নির্বাচনী ট্রেনে উঠতে যাচ্ছে তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিজেদের সাংগঠনিক পরিকল্পনা সাজানো, ভোটের মাঠের রাজনৈতিক সমীকরণ ও সম্ভাব্য জোট নিয়ে দলটিতে চলছে নানামুখী তৎপরতা। প্রথমদিকে এককভাবে নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে এনসিপি। দলটির ভেতরে বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে সম্ভাব্য তিনটি জোটের সমীকরণ। যদিও এনসিপির নির্বাহী কমিটির একাধিক সদস্য কালবেলাকে বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বিএনপির সঙ্গে জোট কিংবা আসন সমঝোতায় এখন তাদের দলের জন্য সবচেয়ে বাস্তবসম্মত বিকল্প। নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে এ নিয়ে আলোচনা এরই মধ্যে অনেকদূর এগিয়েছে বলেও জানান তারা। অবশ্য জোটভুক্ত হলেও নিজেদের দলের নাম ও দলীয় প্রতীক নিয়েই নির্বাচনে অংশ নেবে এনসিপি। নভেম্বর মাসের মধ্যে অন্তত ১০০টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার প্রস্তুতিও নিচ্ছে দলটি। যার অংশ হিসেবে এরই মধ্যে নেতাকর্মীদের দেওয়া হয়েছে নির্বাচনী বার্তা।
এনসিপি নেতাদের দাবি, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী উভয় দলই তাদের সঙ্গে নির্বাচনী জোট গড়তে আগ্রহী, যা নিয়ে দল দুটির সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতায় গেলে লাভক্ষতির হিসাব মেলাতে আলোচনা হয় চলতি মাসের শুরুতে অনুষ্ঠিত এনসিপির নির্বাহী কাউন্সিলের সভায়। পাশাপাশি বিএনপি-জামায়াতের বাইরে গিয়ে এনসিপির নেতৃত্বে তৃতীয় ভিন্ন একটি স্বতন্ত্র জোট গঠনের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে জুলাই সনদকে কেন্দ্র করে জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সরাসরি জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করতে দেখা গেছে। এর ফলে এ দুই দলের মধ্যে জোট বা আসন সমঝোতার সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে গেছে বলে মনে করছেন অনেকে।
নির্বাহী কমিটির সভায় আলোচনার বিষয়ে এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ও মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন কালবেলাকে বলেন, ‘জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করার বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। হাতে যেসব অপশন (বিকল্প) আছে, সব নিয়েই আলোচনা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি এবং সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আলাপ হয়েছে। তবে আমরা এখনো কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাইনি। আগামী মাসে আমরা দলীয় প্রার্থী ঘোষণা শুরু করব। আগ্রহী প্রার্থীদের সাংগঠনিক সক্ষমতা দেখার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হবে।’
এনসিপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা কালবেলাকে বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বিএনপির সঙ্গে জোট কিংবা আসন সমঝোতা তাদের দলের জন্য সবচেয়ে বাস্তবসম্মত বিকল্প বলে মনে করছেন। নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে এ নিয়ে আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে এ নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। আরেকটি সূত্র বলছে, পর্দার আড়ালে বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতার দরকষাকষি চলছে। বিএনপির কাছে অন্তত ৩০-৫০টি আসন চায় এনসিপি। বিশেষত শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের আসন পাকাপোক্ত করার নিশ্চয়তা চান তারা। বিএনপি ২০টির মতো আসন ছাড়ের প্রস্তাব দিতে পারে বলেও জানা গেছে। তবে এনসিপি নেতাদের দাবি, আসন ভাগাভাগি নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আলোচনা হয়নি।
বিএনপির দলীয় কর্মকাণ্ডের নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের কণ্ঠেও উঠে এসেছে জোট নিয়ে এনসিপির সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘সব দলের সঙ্গেই আলোচনা চলছে। এনসিপির সঙ্গেও যোগাযোগ আছে। তবে এখনই জোট গঠনের বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না, আলোচনা চলছে।’
যদিও এনসিপির অভ্যন্তরে কেউ কেউ মনে করেন, বিএনপির সঙ্গে জোটে গেলে আসন ভাগাভাগিতে সমস্যা তৈরি হতে পারে। বিএনপি কোনো আসনে ছাড় দিলেও যদি দলটির স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থেকে যান, তাহলে এনসিপি প্রার্থীদের জন্য জয় পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তাদের মতে, যেসব আসনে বিএনপি শরিকদের জন্য ছাড় দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে, সেসব জায়গায় দলটির স্থানীয় পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তেমন সাড়া দিচ্ছেন না। বরং কিছু এলাকায় বিরূপ প্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে। এর মধ্যে অন্যতম উদাহরণ—ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা এবং পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিএনপি নেতাকর্মীদের হাতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর অবরুদ্ধ হওয়ার ঘটনা। এ ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব এরই মধ্যে অন্য আরও কিছু আসনে হওয়ায় এনসিপির অনেক নেতাই আশঙ্কা করছেন, জোটে গেলেও মাঠপর্যায়ে কার্যকর সমন্বয় করা কঠিন হবে।
দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার কালবেলাকে বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে এনসিপি জোটগতভাবে বা সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচন করবে। সে অনুযায়ী আমরা দেখছি আমাদের হাতে কী কী অপশন আছে। বিএনপি বা জামায়াত যে কারও সঙ্গে জোট বা সমঝোতা হতে পারে। তবে নীতিগতভাবে আমরা এখনো কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাইনি।’
শিগগিরই বিভিন্ন আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করার কথাও জানান এনসিপির এই যুগ্ম আহ্বায়ক। সারোয়ার তুষার বলেন, ‘আমরা চলতি মাস বা নভেম্বরের শুরুতে প্রাথমিকভাবে ৫০-৭০টি আসনে নাম ঘোষণা করতে পারি। ঘোষণার বাইরেও যারা এনসিপির হয়ে নির্বাচন করতে চায় তাদের কাছে সিভি (জীবনবৃত্তান্ত) আহ্বান করব।’
রাজনীতির মাঠে এনসিপির আসন সমঝোতা নিয়ে আছে নানান মত। তবে দলটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও রাজনৈতিক পর্ষদের সদস্য আরিফুল ইসলাম আদীব জানান ভিন্ন তথ্য। তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘জোটের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে অনেকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে আমরা এখনো যাইনি। আসন সমঝোতা নিয়ে কারও সঙ্গে আমাদের আলোচনাও হয়নি। কারও কাছে আমরা আসন দাবি করিনি। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি, উচ্চকক্ষ, পিআরসহ মৌলিক বিষয়গুলোর সমাধান হওয়ার পর আমরা সিদ্ধান্ত নেব। নভেম্বর মাসের মধ্যে আমরা অন্তত ১০০ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করার চিন্তা করছি।’
নির্বাচনকে সামনে রেখে দায়িত্ব পুনর্বিন্যাস করতে পারে এনসিপি। সেটি নিয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের মাঝে মনোমালিন্যের মতো ঘটনাও ঘটেছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়লেও সেটি ছিল মূলত পদ নিয়ে জটিলতা। এ বিষয়ে দলটির একাধিক নেতা বলেন, পদ-সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু জটিলতা আছে, তবে পদত্যাগের ঘটনা ঘটেনি। এদিন রাতেই দপ্তর সম্পাদক সালেহ উদ্দিন সিফাতের পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, ‘নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আমাদের সঙ্গেই আছেন। তার পদত্যাগ কিংবা দল থেকে অব্যাহতি নেওয়ার খবরটি সঠিক নয়।’
গতকাল এনসিপির এক সভা শেষে এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমি আজকে সবার সামনে নিশ্চিত করছি যে, এনসিপি সরকার গঠন করা পর্যন্ত এনসিপির সঙ্গেই থাকব এবং এনসিপিকে সরকার গঠন পর্যন্ত ইনশাআল্লাহ নিয়েই ছাড়ব।’
নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনায় দ্রুতই একটি কমিটি গঠনেরও আভাস রয়েছে, যাতে দায়িত্ব পেতে পারেন মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীবসহ কয়েকজন। দল দেখভালের স্বার্থে শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার পরিকল্পনাও রয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব নাহিদা সারওয়ার নিভা, যুগ্ম সদস্য সচিব ও মিডিয়া সেল সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন এবং যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত।
শীর্ষ নেতাদের কে কোথায় থেকে নির্বাচন করবেন সেটাও ইতিমধ্যে চূড়ান্ত করেছে দলটি, যার অংশ হিসেবে নেতারা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা এলাকার লোকজনের সঙ্গে উঠান বৈঠকসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন। দলের দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার নিজ এলাকা কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) সংসদীয় আসনে পুরোদমে গণসংযোগ ও নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড়-১ আসন থেকে নির্বাচন করবেন। তার নিজ জেলা পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ধামোর ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক নির্বাচনী তৎপরতা শুরু করেছেন।
নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনে নির্বাচন করবেন যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ। তিনিও এলাকায় জোর প্রচারণা ও গণসংযোগ শুরু করেছেন। দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম রাজধানীর রামপুরা-বনশ্রী এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচনে লড়বেন বলে জানা গেছে। সদস্য সচিব আখতার হোসেন প্রার্থী হবেন রংপুর-৪ আসনে। মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) বা ঢাকার যে কোনো আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সম্ভাবনা রয়েছে। সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব ঢাকা-১৪ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এনসিপির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা মনে করি, নির্বাচনী প্রস্তুতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করা। সে লক্ষ্যেই আমরা দেশের প্রতিটি জেলায় সাংগঠনিক সমন্বয় সভা করছি। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে এনসিপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন সম্পন্ন হবে। দেশের অন্যতম শক্তিশালী দুটি রাজনৈতিক দলের একটি হিসেবে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। আগামী নভেম্বর থেকেই আসনভিত্তিক প্রার্থী ঘোষণার প্রস্তুতি শুরু হবে। প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে আমরা অগ্রাধিকার দেব বিগত সময়ে লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস থাকা, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ এবং স্থানীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদেরই।’
তবে নির্বাচনের আগে এনসিপির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে নিজেদের পছন্দের প্রতীক শাপলা পাওয়া নিয়ে। রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের শর্ত পূরণ করার পর দলটি তাদের প্রতীক হিসেবে শাপলা চেয়েছে; কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিধিমালায় এই প্রতীক অন্তর্ভুক্ত না থাকায় শাপলা এনসিপিকে বরাদ্দ করা হচ্ছে না। যদিও শাপলা প্রতীক পেতে এখনো অনড় অবস্থানেই রয়েছে এনসিপি।
শাপলা প্রতীক ছাড়া নাগরিক পার্টি নিবন্ধন নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেন, ‘ইসিকে আমরা বলে দিয়েছি, নিবন্ধন দিতে হলে সেটা শাপলা দিয়েই হবে। শাপলা ছাড়া এনসিপির নিবন্ধন হবে না এবং এনসিপিও শাপলা ছাড়া নিবন্ধন মানবে না। আমরা শাপলা প্রতীক প্রশ্নে অনঢ় অবস্থানে আছি, অনঢ় থাকব।’
এদিকে কোনো দল জোটগতভাবে নির্বাচন করলেও নিজেদের প্রতীকে অংশ নিতে হবে—এমন বিধান যুক্ত করে নির্বাচন-সংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এমন বিধানে দ্বিমত নেই এনসিপির। জোটভুক্ত হলেও দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের সিদ্ধান্তটি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে তারা। এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন বলেন, ‘জোটগত প্রতীকে নির্বাচন করার কারণে দলীয় স্বকীয়তা-নিজস্বতা নষ্ট হয়। ভোটাররাও দ্বিধা-সংকটে ভোগেন। তাই জোটে গেলেও নিজের দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের সিদ্ধান্তটি ভালো হয়েছে।’
মন্তব্য করুন