

সম্প্রতি দেশজুড়ে ধর্মীয় ও নৈতিক অবক্ষয়সহ নানা ষড়যন্ত্রমূলক অপতৎপরতা গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
সংগঠনটির নেতারা বলেন, এক শ্রেণির সুবিধাবাদী মহল বাদশাহ আকবরের দ্বীন-ই-ইলাহী নামক বিকৃত মতবাদের ছায়ায় ইসলামকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করতে তৎপর। তারা ইসলামকে কেটে-ছেঁটে, ইসলামী আকিদা ও বিধানকে হালকা করে তথাকথিত উদারতার নামে ধর্মীয় স্বাতন্ত্র্য ও মুসলিম জাতিসত্তা ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে। এদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দেখতে চায় না দেশের আপামর ধর্মপ্রাণ জনগণ।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) বাদ মাগরিব রাজধানীর পুরানা পল্টনে জমিয়তের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকাস্থ কেন্দ্রীয় আমেলা ও মহানগর নেতাদের যৌথ বৈঠকে এসব কথা বলেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী। উপস্থিত ছিলেন সহসভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা তাফাজ্জল হক আজিজ, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরী, মুফতি আনোয়ার মাহমুদ, প্রচার সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী, মাওলানা আখতারুজ্জামান কাসেমী, মুফতি গোলাম মাওলা, মুফতি মাসরুর আহমদ, মুফতি তাজুল ইসলাম আশরাফী, মুফতি নূরুল আলম ইসহাকী, মুফতি আনিসুর রহমান, মাওলানা সাইফুদ্দীন ইউছুফ ফাহিম, মাওলানা হুজাইফা ওমর, মাওলানা বোরহানউদ্দিন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কাদিয়ানি সম্প্রদায় ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস খতমে নবুওয়ত অস্বীকার করে। তারা মুসলমান নয়, বরং মুসলমানদের ছদ্মবেশে বিভ্রান্তি ছড়ায়। তাই কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা এখন সময়ের দাবি। পাকিস্তানসহ অনেক মুসলিম রাষ্ট্র ইতোমধ্যেই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে। বাংলাদেশেও তা কার্যকর করা জরুরি, যাতে মুসলিম সমাজ বিভ্রান্তির হাত থেকে নিরাপদ থাকে।
নেতারা অভিযোগ তুলে আরও বলেন, ইসকন নামধারী একটি সংগঠন সুপরিকল্পিতভাবে হিন্দু তরুণদের মাধ্যমে মুসলিম কিশোরী ও ছাত্রীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ ও ধর্ষণের মতো জঘন্য কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। এটি কেবল ধর্মীয় শিষ্টাচার নয়, বরং দেশের আইন-শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্যও চরম হুমকি। সরকার ও প্রশাসনের উচিত এসব ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।
নেতারা ধর্মপ্রাণ জনসাধারণকে ইসলামী মূল্যবোধ, খতমে নবুওয়তের প্রতি বিশ্বাস এবং দেশের ধর্মীয় ঐতিহ্য রক্ষায় সচেতন থাকার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তারা সকল ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন