শফিকুল ইসলাম
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৪৯ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

প্রার্থী মনোনয়নে জামায়াতের নতুন কৌশল, নতুন মুখ

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন
প্রার্থী মনোনয়নে জামায়াতের নতুন কৌশল, নতুন মুখ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভিন্ন এক রণকৌশলে অগ্রসর হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি সংসদ সদস্য (এমপি) প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে কৌশলে নতুন মুখ তুলে আনছে। গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে এবার প্রার্থী তালিকায় বৈচিত্র্য আনছে জামায়াতে ইসলামী। যার মূল লক্ষ্য হলো—তরুণ নেতৃত্বকে সামনে আনা এবং সমাজের বিভিন্ন পেশা ও স্তর থেকে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা। এরই মধ্যে ৩০০ আসনের সবকটিতে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণার পরও বিভিন্ন আসনে পরিবর্তন আনছে জামায়াত। সারা দেশে মাঠের পরিস্থিতি এবং জোটগত সমীকরণের ভিত্তিতে ঘোষিত তালিকায় বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস মিলেছে। বিশেষ করে সমমনা আটটি দলের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা হলে অন্তত ৫০টি আসনে প্রার্থীর নাম পাল্টে যাবে, যা খুব শিগগির আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির।

এদিকে সম্প্রতি হবিগঞ্জ-৪, লালমনিরহাট-৩ এবং সিলেট-১ আসনে এমপি প্রার্থী পরিবর্তন করে নতুন মুখ যুক্ত করেছে জামায়াত। এটাকে নির্বাচনে জয়ের গুরুত্বপূর্ণ কৌশল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় সংসদ নির্বাচনই শুধু নয়, বরং প্রার্থী তালিকায় পেশাগত বৈচিত্র্য এনে এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন সামনে রেখেও দীর্ঘমেয়াদি প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। এরই মধ্যে বিভিন্ন সিটি করপোরেশন, পৌরসভা কিংবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানা গেছে। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ দিক হলো, প্রথমবারের মতো অমুসলিম প্রার্থী (হিন্দু সম্প্রদায়) বিবেচনায় নেওয়ার চিন্তাও করছে জামায়াত। খুলনা-১ আসনে কৃষ্ণ নন্দী নামে সনাতন ধর্মের একজন নেতাকে নির্বাচনী মাঠে কাজের ইশারা দেওয়া হয়েছে, যা দলটির জন্য একটি ব্যতিক্রমী এবং ঐতিহাসিক ঘটনা হতে পারে। এই সিদ্ধান্ত জামায়াতের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রসার এবং বৃহত্তর সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা অর্জনের ইঙ্গিত দেয় বলে দায়িত্বশীল নেতারা মনে করেন। জামায়াতের প্রায় ৮০ শতাংশ প্রার্থীরই এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা নেই। এই নতুন প্রার্থীরা বেশিরভাগই তরুণ এবং শিক্ষিত। দলের নেতারা মনে করছেন, এসব প্রার্থী তাদের যোগ্যতা ও প্রচারণার মাধ্যমে জনগণের মন জয় করতে সক্ষম হবেন।

প্রার্থিতায় আনছে বৈচিত্র্য: জামায়াতে ইসলামীর প্রাথমিক প্রার্থী তালিকায় পরিবর্তনের মূল কারণ হলো প্রার্থিতায় বৈচিত্র্য আনা এবং নির্বাচনী সমীকরণের পুনর্বিন্যাস বলে জানা গেছে। প্রথমত, জামায়াত তার চিরায়ত পরিচিত প্রার্থীর বাইরে বিভিন্ন পেশার লোকজনকে প্রাধান্য দিচ্ছে। এর মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে আকৃষ্ট করতে চাইছে দলটি। এরই মধ্যে নতুন এই কৌশলের কিছুটা আভাস পাওয়া গেছে। নতুন প্রার্থীরা চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, আইনজীবী অথবা প্রতিষ্ঠিত অন্য কোনো পেশার পেশাজীবী, যা প্রথাগত রাজনৈতিক প্রার্থীর ধারণাকে অতিক্রম করে ভিন্ন বার্তা দেওয়ার প্রচেষ্টা। দলের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, পেশাজীবী ও অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত মুখেরা ক্লিন ইমেজের (স্বচ্ছ ভাবমূর্তি) কারণে ভোটারদের কাছে আরও গ্রহণযোগ্যতা পেতে পারেন। যেমন—সম্প্রতি লালমনিরহাট-৩ এবং হবিগঞ্জ-৪ আসনে নতুন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে, প্রাথমিক তালিকার প্রার্থীরাই চূড়ান্ত নন। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার লালমনিরহাট-৩ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করে নতুন করে দলের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য এবং লালমনিরহাট জেলা জামায়াতের আমির সাবেক ছাত্রশিবির নেতা অ্যাডভোকেট আবু তাহেরের নাম ঘোষণা করা হয়। হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া মুখলিছুর রহমান নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। গত মঙ্গলবার তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে একই আসনে দলের প্রার্থী নির্যাতিত সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমানকে সমর্থন জানান।

দ্বিতীয়ত, জামায়াতের কৌশলগত মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সমঝোতা ও জোটের রাজনীতি। দলের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, আটটি সমমনা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাদের নির্বাচনী সমঝোতার বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। যদি এই সমঝোতা কার্যকর হয়, তবে জামায়াতকে অন্তত ৫০টি আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করতে হবে। এই পরিবর্তন হবে সম্পূর্ণ কৌশলগত—জোটের শরিকদের ছাড় দিতে এবং জয় নিশ্চিত করতে সক্ষম এমন যোগ্য প্রার্থীকে নতুনভাবে মনোনয়ন দিতে। এই পরিবর্তন কেবল দলের অভ্যন্তরেই নয়, বরং জাতীয় রাজনীতির গতিপথেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রার্থী যে দলেরই হোক না কেন; যেখানে যার জয়ের সম্ভাবনা আছে তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে।

তৃতীয়ত, জামায়াতে ইসলামী প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণার পরও এই পরিবর্তন আনার কারণ হলো—মাঠের বাস্তবতা যাচাই করা। ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণার মাধ্যমে জামায়াত মূলত জনগণের মনোভাব ও স্থানীয় সংগঠনিক শক্তি পরিমাপ করতে চেয়েছে। এখন সেই তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে দুর্বল প্রার্থীদের সরিয়ে শক্তিশালী ও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্বদের নিয়ে আসা হচ্ছে, যা একটি কার্যকর নির্বাচনী ছক তৈরির ইঙ্গিত দেয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

স্থানীয় সরকার নির্বাচন সামনে রেখেও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা: জামায়াতের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, কেবল জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরেই দলটি প্রস্তুতি নিচ্ছে না। বরং স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোকেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছেন দলের নেতারা। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের এরই মধ্যে প্রস্তুতির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা বিলবোর্ড ও পোস্টার সাঁটিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলনে থাকা জামায়াত মনে করছে, সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পেলে তা তৃণমূল পর্যায়ে তাদের সাংগঠনিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থীরা সরাসরি জনগণের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান নিয়ে কাজের সুযোগ পান, যা দলটির জনভিত্তি পুনরুদ্ধারে সহায়ক হতে পারে।

যে কারণে আগাম প্রস্তুতি: ক্ষমতার কেন্দ্রে যেতে নানামুখী তৎপরতা ও কৌশলে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে জামায়াত। দলটি অতীতের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এসে আরও বেশি গতিশীল এবং বাস্তববাদী হতে চাইছে। পেশাদার লোকজনকে মনোনয়ন দেওয়া, জোটের জন্য আসন ছাড় এবং স্থানীয় সরকারের জন্য আগেভাগেই প্রস্তুতি নেওয়া—সবই দলটির সুচিন্তিত দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ। জামায়াতের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল নেতারা জানান, স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলের কর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনা ফিরিয়ে আনবে এবং সাংগঠনিক স্থবিরতা কাটাতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি স্থানীয় নির্বাচনগুলো প্রার্থীদের সরাসরি ভোটারদের কাছে যাওয়ার এবং জনসমর্থন যাচাই করার সুযোগ তৈরি করে দেয়। সিটি করপোরেশন এবং উপজেলা পরিষদে নতুন প্রার্থীরা দলের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব হিসেবে প্রস্তুত হতে পারবেন। যদি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দ্রুতই স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তবে জামায়াত দ্রুত প্রস্তুতি নিতে পারবে এবং সংসদ নির্বাচনে ব্যর্থ হলেও স্থানীয় পর্যায়ে শক্তি প্রদর্শন করে রাজনীতির মাঠে নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখতে পারবে। সর্বোপরি, জামায়াতের এমন নতুন কৌশল ও নতুন মুখ জনগণের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য হয় এবং রাজনীতি ও ভোটের মাঠে শেষ পর্যন্ত কতটা প্রভাব ফেলে, সেটাই দেখার বিষয়।

দায়িত্বশীল নেতারা যা বলছেন: জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণা করেছিলাম। তবে নানা কারণে কিছু আসনে প্রার্থিতায় পরিবর্তন ও বৈচিত্র্য আসবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাংগঠনিক কারণে লালমনিরহাট-৩ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করে নতুন প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়াও আসন্ন নির্বাচন ঘিরে যেহেতু কয়েকটি দলের সঙ্গে সমঝোতা করতে হচ্ছে, সেজন্য আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে কিছু আসনে প্রার্থী পরিবর্তন তো হবেই।’ তবে কতটি আসনে প্রার্থী পরিবর্তন হবে সে বিষয়ে তিনি বিস্তারিত বলতে চাননি।

জামায়াতে ইসলামীর আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের কালবেলাকে বলেন, ‘আমরা সারা দেশে ৩০০ আসনে প্রাথমিকভাবে এমপি প্রার্থী ঘোষণা করেছি। আগেই পরিকল্পনা ছিল যে, এলাকায় জনপ্রিয়তা রয়েছে এবং পেশাজীবী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ এমন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়ার।’

তিনি জানান, অসুস্থতা এবং সাংগঠনিক কারণেও প্রার্থিতায় পরিবর্তন আসছে। সিলেট-১ (মহানগর ও সদর) আসনে তিনি নিজে জামায়াতের প্রার্থী ছিলেন এবং দুই মাস প্রচারণাও চালিয়েছেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তাকে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর গত ২০ মে এই আসনে নতুন প্রার্থী হিসেবে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন ও প্রচারণা প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট জুবায়ের বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য সাংগঠনিক বৈঠকে অভ্যন্তরীণ পরিসরে প্রাথমিকভাবে প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়েছে। সিটি করপোরেশন, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাজের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নিজেকে ‘অর্ধনগ্ন’ মনে হতো: স্বরা

আইপিএল থেকে অবসর নেওয়ার কারণ জানালেন আন্দ্রে রাসেল

প্রেমিককে নিয়ে স্বামীকে খুনের পরিকল্পনা করেন বাউল শিল্পী সোনিয়া

সোনালি সাজে অপুর নতুন বার্তা

অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ বৈধ : আপিল বিভাগ

খালেদা জিয়ার জন্য সারা দেশে দোয়ার আহ্বান সরকারের

জন্মসংখ্যা অনুযায়ী দেখে নিন কেমন কাটতে পারে ডিসেম্বর মাস

শীতে কাঁপছে তেঁতুলিয়া, তাপমাত্রা নেমেছে ১২ ডিগ্রিতে

এসপির নামে ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, বিশেষ সতর্কবার্তা

বিয়েতে রসগোল্লা কম পড়ায় মারামারি, অতঃপর

১০

কাজী ফার্মসের দাদন ব্যবসা বন্ধের দাবিতে প্রান্তিক খামারিদের বিক্ষোভ

১১

সৌন্দর্য নিয়ে ঈর্ষায় নিজের ছেলেসহ চারজনকে হত্যা

১২

এমবাপ্পে ম্যাজিক আর মৌসুমের সেরা পারফরম্যান্সে রিয়ালের বড় জয়

১৩

বিআরটিসির ২ বাসে আগুন

১৪

সকালের নাশতায় কী খাবেন, থাকছে পুষ্টিবিদের কিছু পরামর্শ

১৫

বায়ুদূষণে ‘প্রথম স্থানে’ ঢাকা

১৬

বগুড়ায় মিশ্র সবজি চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে

১৭

মোবাইল নেওয়ায় প্রধান শিক্ষককে হত্যাচেষ্টা, সাবেক শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার

১৮

দুপুর পর্যন্ত যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

১৯

আবাসিক মেডিকেল অফিসার পদে নিয়োগ দিচ্ছে এভারকেয়ার হাসপাতল

২০
X