রাজধানীর মার্কেটপাড়া হিসেবে পরিচিত গুলিস্তান-সংলগ্ন ফুলবাড়িয়া। এখানে পাশাপাশি রয়েছে সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন তিনটি মার্কেট। প্রায় দুই যুগ এই মার্কেট দখলে রেখেছিল প্রভাবশালী একটি চক্র। নামকাওয়াস্তে কিছু টাকা পেত করপোরেশন। প্রভাবশালীরা নিজেদের ইচ্ছামতো খোলা জায়গা, পার্কিং এবং সামনের জায়গা দখল করে তৈরি করে দোকান। কয়েক বছর আগে এসব মার্কেটে অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযানে নামে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। উচ্ছেদ করা হয় অবৈধ দোকান।
তবে কয়েক দিন আগে আবারও দখল হয়ে গেছে সেই তিন মার্কেট। দলবল নিয়ে মার্কেট কমিটির সদস্যদের মেরে বের করে দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আউয়াল হোসেন।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সিটি প্লাজা, নগর প্লাজা ও জাকের সুপার মার্কেটের গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা ইজারা নিয়ে পুরো মার্কেটই দখল করে নিয়েছেন কাউন্সিলররা। তারা জানান, বংশাল, ফুলবাড়িয়া, গুলিস্তানসহ পুরান ঢাকার একাংশের অপরাধ সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করেন এই কাউন্সিলর। গড়ে তুলেছেন বিশাল দখলদার বাহিনী। কেবল ওই তিন মার্কেটই নয়, আশপাশের সব মার্কেটেই আধিপত্য করছেন কাউন্সিলর আউয়াল।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, গত ৫ নভেম্বর স্থানীয় কাউন্সিলর আউয়াল তার দলবল নিয়ে হামলা করেন মার্কেটে। এ সময় নগর প্লাজা মার্কেট সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিনকে সামনে পেয়ে বেধড়ক পিটিয়ে বিবস্ত্র করে আউয়ালের লোকজন। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর এবং ব্যবসায়ীদের মারধর করেন তারা। ব্যবসায়ীদের ওপর হামলার খবর মার্কেটে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ব্যবসায়ী এবং কর্মচারীরা। একপর্যায়ে আউয়াল বাহিনী পিছু হটে। তবে এর দুদিন পর ৭ নভেম্বর দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে ফের হামলা চালিয়ে মার্কেট দখলে নেন।
জাকের সুপার মার্কেটের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ দৈনিক কালবেলাকে বলেন, ‘কাউন্সিলর আউয়াল তার দলবল নিয়ে চলতি মাসের ৫ তারিখে আনুমানিক আড়াইটার দিকে নগর প্লাজার বি ব্লকে হামলা করেন। তখন ব্যবসায়ীরা দোকানপাট থেকে বের হয়ে এলে তারা পালিয়ে যান। পরে ৭ নভেম্বর আউয়াল বাহিনী আবার এসে মেয়রের দোহাই দিয়ে আমাদের চলে যেতে বলেন। তখন আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা ভেবে আমরা বের হয়ে আসি।’
তিনি জানান, ওই ঘটনার পর মেয়রের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি সময় দেননি। সেদিন থেকে এখনো মার্কেট তাদের দখলে।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর আউয়াল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ফিরোজ কখনোই এ মার্কেটের সভাপতি ছিলেন না। তিনি একজন জুলমবাজ। ব্যবসায়ীদের তাড়া খেয়ে তিনি পালিয়েছেন। তিনি চলে যাওয়ার পর মার্কেটে শান্তি বিরাজ করছে।’
তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ নানা অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি জবাব না দিয়ে লাইন কেটে দেন। পরে বারবার ফোন করলেও আর রিসিভ করেননি।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বলছেন, ঢাকা মহানগরের তৎকালীন ৬৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন আউয়াল হোসেন। ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মো. আলী আবেদ। ছাত্রদল সভাপতি থাকাকালে প্রয়াত বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর ছত্রছায়ায় পুরান ঢাকায় আধিপত্য তৈরি করেন। ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে যান বিদেশে। পরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট ক্ষমতায় এলে ভোল পাল্টিয়ে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পাশাপাশি পুরান ঢাকার গুলিস্তান, বংশাল, নাজিমুদ্দিন রোড, চাঁনখারপুল, নিমতলীসহ আশপাশের এলাকায় গড়ে তোলেন নিজস্ব বাহিনী। মারধর, হত্যা, দখলসহ নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। আউয়াল বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোখলেসুর রহমানের ভাই মোস্তাকুর রহমান ফারুক। এ হত্যা মামলার পাশাপাশি আউয়ালের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা ও অনেক অভিযোগ।
জানা গেছে, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ২৪ জুলাই দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আউয়ালকে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেন অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম। এরপরও তার অপকর্ম থামেনি, বরং বেড়েছে কয়েকগুণ।
৩৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি শাহনেওয়াজ মিয়া দৈনিক কালবেলাকে বলেন, ‘আউয়াল ছাত্রদলের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ছিলেন। কিন্তু এখন যুবলীগ নেতা। কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর নেমেছেন দখলে। পুরো এলাকার মূর্তিমান আতঙ্ক।’
মার্কেটের ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা বলেন, দুই যুগের বেশি সময় ধরে নগর প্লাজার সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন দেলোয়ার হোসেন দেলু। এ সময়ে মার্কেটটিতে নকশাবহির্ভূতভাবে হাজারো দোকানপাট তৈরি করেছেন তিনি। এসব দোকান বিক্রি এবং ভাড়া দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েকশ কোটি টাকা। তার বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হলে গত বছর দেলু স্ত্রীসহ মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যান। পরে ফিরোজ আহমেদ সভাপতি হয়ে মার্কেটটির নিয়ন্ত্রণ নেন।
যদিও ফিরোজ আহমেদের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। একসময় দেলোয়ার হোসেন দেলুর ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন ফিরোজ আহমেদ। তবে মার্কেটে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পটপরিবর্তনের পরে দেলুর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন ফিরোজ। মার্কেটের দোকান বিক্রিতে কমিশন, ব্যবসায়ীদের থেকে চাঁদা আদায়সহ নানা অভিযোগ রয়েছে এই ফিরোজের বিরুদ্ধে।
তবে ফিরোজ আহমেদের ভাষ্য, ‘এর আগেও কাউন্সিলরের অপকর্মের প্রতিবাদ করলে আউয়াল তাকে পিটিয়ে আহত করে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়। তার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ব্যবসায়ী নেতা মোস্তাক আহমেদ, সুমন আহমেদ, কামরুল আহসান, মো. মহিউদ্দিন ও শহীদুর রহমান। মেয়রের দোহাই দেওয়ার কারণে আমরা এখন আইনি সহায়তা পর্যন্ত নিতে পারছি না।’
সিটি প্লাজার সভাপতি মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি হিসেবে জনসেবার পরিবর্তে আউয়াল ও তার বাহিনী এখন এলাকায় দখলদার বাহিনী হিসেবে পরিচিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পুলিশ ও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, আউয়াল ও তার অস্ত্রবাজ বাহিনীর অনেক সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যাসহ অনেক মামলা রয়েছে। এরপরও একের পর এক অপরাধ করে তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছেন।’
চলতি মাসে দুবার হামলা চালিয়ে মার্কেট দখলে নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জাকের সুপার মার্কেটের এক নিরাপত্তা কর্মী জানান, দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই ক্ষমতার পালাবদল চলছে এখানে। চোখের সামনে ২ টাকার চাঁদাবাজ থেকে বেশ কয়েকজনকে কোটিপতি হতে দেখেছেন তিনি। পাশাপাশি অনেক ব্যবসায়ীকে নির্যাতনের শিকার হয়ে কাঁদতে কাঁদতে বের হয়ে যেতেও দেখেছেন এসব মার্কেট থেকে। ৩৫০ টাকা বেতন থেকে চাকরি শুরু করে জীবনসায়াহ্নে এসে এখন সর্বসাকল্যে বেতন পান তিনি ১০ হাজার টাকা। এই টাকা দিয়ে তার কিছুই হয় না। তারপরও জীবন বাজি রেখে জীবিকার তাগিদে এখানেই চাকরি করছেন।
আরেক নিরাপত্তা প্রহরী কালবেলাকে বলেন, ‘এখানে যে ক্ষমতা দেখাতে পারে, তারই রাজত্ব চলে। সকালে যাকে সমিতির সভাপতি দেখলাম, বিকেলে তাকে পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে রাখতে দেখেছি। জোর-জুলুম করেই এখানে নিয়ন্ত্রণ হয় সবকিছু।’
ব্যবসায়ীরা জানান, এ তিনটি মার্কেটকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি গ্রুপ সক্রিয়। তিন বছরে এখানে তিনবার কর্তৃত্ব বদল হয়েছে। সিটি করপোরেশনের মালিকানাধীন মার্কেট হলেও করপোরেশনের এক শ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা এবং প্রভাবশালী রাজনীতিকরা এ মার্কেটকে ব্যবহার করে কোটিপতি বনে গেছেন। তাদের নানা কূটচালের কারণেই মার্কেটের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করপোরেশনের হাতে নেই। মূলত মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন। আর করপোরেশনের অসাধু কর্মকর্তা এবং প্রভাবশালী রাজনীতিকরা সমিতির থেকে মাসোহারা নেন।
অন্তত আট ব্যবসায়ী বলছেন, সিটি করপোরেশনের ঘোষিত দোকানপ্রতি ভাড়া সাধারণত ২ থেকে ৫ হাজার টাকা। কিন্তু বর্তমানে প্রতিটি দোকান ভাড়া দেওয়া হয় ৩০ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত। কিন্তু দোকানের প্রকৃত মালিক ভাড়া পান এক-তৃতীয়াংশ। বাকি টাকা চলে যায় মালিক সমিতির কাছে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, মার্কেটের সামনে বসানো হয়েছে শত শত অস্থায়ী দোকান। ফলে ক্রেতারা ভেতরে না ঢুকে এসব দোকান থেকে মালপত্র কিনে নিয়ে যান। যদিও এসব দোকান থেকে সিটি করপোরেশন কোনো ভাড়া পায় না।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মার্কেটের সামনের অংশে স্থায়ী দোকান নির্মাণ করে তাদের কাছে বিক্রি করেছিল মালিক সমিতি। তবে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সেগুলো ভেঙে দেয় সিটি করপোরেশন। এখন জীবন বাঁচাতে বাধ্য হয়ে তারা মার্কেটের সামনে অস্থায়ী দোকান বসিয়ে ব্যবসা করছেন। সিটি করপোরেশন ভাড়া না নিলেও মালিক সমিতিকে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হয়।
জাকের সুপার মার্কেটের সম্পা সুজের স্বত্বাধিকারী ও কাউন্সিলর আউয়াল হোসেনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আব্দুল মতিন জানান, ফুলবাড়িয়ায় ৫০ বছর ধরে ব্যবসা তার। মার্কেটে তার ১০টি দোকান ছিল। জুলমবাজদের কবলে পড়ে এখন একটিও নেই। স্থানীয় চাঁদাবাজ, সিটি করপোরেশনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও মালিক সমিতির নেতাদের জুলুমের কারণে এসব মার্কেটের ব্যবসায়ীরা সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকেন। মালিক সমিতির সদস্যরা ব্যবসায়ীদের হয়রানি করে কোটি কোটি টাকা রোজগার করলেও ব্যবসায়ীদের যায় যায় অবস্থা। নানা অনিয়মের কারণে ব্যবসায়ীদের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে মেয়রের নির্দেশেই কাউন্সিলর আউয়াল মালিক সমিতির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন বলে দাবি করেন মতিন।
আগামীতে তাকেই মালিক সমিতির সভাপতি বানানো হবে—এমন আশা প্রকাশ করে আব্দুল মতিন আরও জানান, বর্তমানে অলিখিতভাবে সভাপতির কাজ তিনিই করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মার্কেটে বর্তমানে আব্দুল মতিনের কোনো দোকান নেই। দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করেন তিনি।
ভাড়াটে হয়ে কীভাবে তিনি মালিক সমিতির সভাপতি হবেন—জানতে চাউলে মতিন বলেন, ‘দোকান হয়ে যাবে।’
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নগর প্লাজা, সিটি প্লাজা ও জাকের মার্কেটের পার্কিং ইজারা নিয়েছে কাউন্সিলর আউয়ালের প্রতিষ্ঠান রাইতা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। সেই সুযোগে দখল করে নিয়েছেন পুরো মার্কেট। পার্কিংয়ের নাম করে ফুটপাথে বসা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দৈনিক ২০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছেন। পাশাপাশি মার্কেটের স্থায়ী দোকান থেকেও চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, কাউন্সিলর আউয়াল হোসেন ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড মানিকের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন, মিছিলসহ নানাভাবে প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। বরং দিন দিন তাদের দাপট বেড়েই চলেছে।
এসব বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক বলেন, ‘করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগ এখনো এ মার্কেটগুলো আমাদের কাছে হস্তান্তর করেনি। তাই এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।’
তবে করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার জানার কথা। কারণ মার্কেটটি পুরোনো। আমরা সাধারণত নতুন মার্কেট রাজস্বে বুঝিয়ে দিই। দখলের বিষয়ে রাজস্ব বিভাগ ভালো বলতে পারবে।’