শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
উত্তম কুমার
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৫৭ এএম
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

দশম গ্রেড দাবি নয়, অধিকার

দশম গ্রেড দাবি নয়, অধিকার

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ‘জুলাই বিপ্লব’ নামে ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থান, সব শ্রেণি ও পেশার মানুষকে এক নতুন বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। এ দেশের গণমানুষের মধ্যে একটি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার আশার সঞ্চার করেছে। জনগণ তাদের অন্যসব অধিকারের পাশাপাশি সর্বজনীন চিকিৎসাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছেন।

স্বাস্থ্যসেবাকে গণমুখী করতে হলে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট সব জনবলের অধিকার সুনিশ্চিত করা অত্যাবশ্যকীয়। চিকিৎসক, নার্স, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ফার্মাসিস্টসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর পেশাগত সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করতে সবার অংশগ্রহণমূলক একটি ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা একপেশে একমুখী ব্যবস্থাপনা সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ হতাশা সংক্ষুব্ধতা সঞ্চার করে আসছে, তার থেকে বেরিয়ে একটি জনমুখী কল্যাণকর সাম্যবাদী রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে জুলাই বিপ্লব অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়।

স্বাস্থ্যসেবা একটি ‘টিমওয়ার্ক’ যার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ তত্ত্বাবধানে চিকিৎসক ও নার্সদের পাশাপাশি মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। রোগীদের সেবাদান কার্যক্রমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, রোগ নির্ণয় যার পুরোধা বলা হয় মেডিকেল টেকনোলজিস্টদেরই। পর্দার অন্তরালে কাজ করা এ পেশাজীবীরা শুধু ২০১৯-এর কভিড মহামারিতেই হয়েছিল প্রতিদিনের মিডিয়ার শিরোনাম। জীবনের মায়া ত্যাগ করে মানুষের জীবন বাঁচাতে ছুটে চলা প্রথম সারির যোদ্ধাদের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশাজীবীর নাম মেডিকেল টেকনোলজিস্ট। পেশায় বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও সবসময়ই তাদের আড়ালে রাখা হয়।

তেমনিভাবে স্বাস্থ্যসেবায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ জনবল হলো ফার্মাসিস্ট। ওষুধের সংরক্ষণ, গুণগতমান, সঠিক ওষুধ নির্বাচন ও ওষুধের যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণের জন্য স্বাস্থ্যসেবায় ডিপ্লোমাধারী ফার্মাসিস্টের ভূমিকাও অপরিহার্য। ফার্মাসিস্টরা নিজেদের পেশাগত দক্ষতা দিয়ে সরকারি হাসপাতালের বহির্বিভাগ ফার্মেসিতে সরবরাহকৃত ওষুধ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী রোগীদের হাতে পৌঁছে দেয়। পাশাপাশি রোগীদের ডোজ, মাত্রা, কাউন্সেলিং, অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টান্ট প্রতিরোধ সম্পর্কে রোগীদের সঠিক ধারণা প্রদান করে।

স্বাস্থ্যসেবায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ পেশাদ্বয় নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত যার সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বরং অবদমনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থেকেছে বছরের পর বছর। তার একটি যথোপযুক্ত উদাহরণ হলো অদ্যাবধি এ পেশাদ্বয়ের পেশাজীবীদের দশম গ্রেড বাস্তবায়ন না হওয়া।

সরকারি চাকরিতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্টদের দশম গ্রেডে উন্নীতকরণের বিষয়টি নতুন কোনো বিষয় নয়। স্বাধীনতা-পূর্ববর্তী সময়ই এ পেশা এবং পেশাজীবীদের পথচলা শুরু হলেও ১৯৮৯ সাল পরবর্তী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পেশাজীবীদের দশম গ্রেড বা দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা দাবিটি অব্যাহতভাবে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতে বারবার উপস্থাপিত হয়ে আসছে। অধিকার বাস্তবায়নে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন, সংগ্রাম, সহায়ক কর্মসূচি পালন, দাপ্তরিক চিঠি চালাচালি, আবেদন, সর্বোপরি জনপ্রশাসন বিধি শাখার সব চাহিদা পূরণ করা হয়েছে, তা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতনদের সদিচ্ছার অভাব, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও নানাবিধ উদ্দেশ্যে মন্ত্রণালয় অবিরতভাবে কোয়ারি দেওয়ার মাধ্যমে সময়ক্ষেপণ ও জটিলতাই তৈরি করেছে।

তৎকালীন ডিপ্লোমা মেডিকেল টেকনোলজি কোর্স তিন বছর মেয়াদি হওয়ায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে দশম গ্রেডের ফাইলটি ডিক্লাইন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে। তৎপরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ফাইলটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ডিক্লাইন করে দেয় এবং বিধিবদ্ধ নির্দেশ প্রদান করে। যে নির্দেশে বলা হয়—‘ডিপ্লোমা মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মেসি কোর্সসমূহ চার (৪) বছর মেয়াদি না হওয়া অবধি মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দশম গ্রেডের ফাইল অগ্রবর্তী করা যাবে না। সর্বশেষ ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ সওব্য-১০ শাখা থেকে অতিরিক্ত সচিব মহোদয় স্বাক্ষরিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজ্ঞাপনে দশম গ্রেডের দাবিটিকে দুটো কোয়ারির মাধ্যমে নাকচ করা হয়।

তৎকালীন সময়ে ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল টেকনোলজি কোর্সটির মেয়াদ ছিল তিন বছর। মেয়াদকাল ঘিরে যে প্রশ্নটি উত্থাপিত হয়েছিল, সেটির সমাধান হয়েছে। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ডিপ্লোমা মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মেসি কোর্সের মেয়াদ চার বছরে উন্নীত করা হয়েছে এবং তা ২০২২-২৩ ইংরেজি শিক্ষাবর্ষ হতে বাংলাদেশের আইএইচটিসমূহে চার বছর মেয়াদি কোর্স হিসেবে চালু হয়, যা বর্তমানে চলমান রয়েছে।

সিনিয়র মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদে (দশম গ্রেডে) পদোন্নতিপ্রাপ্ত কিছুসংখ্যক মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের বিষয়ে করণীয় কী, সে মর্মেই দ্বিতীয় কোয়ারিটি দেওয়া হয়েছিল। বস্তুত, সিনিয়র মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদে উন্নীত হওয়া চাকরিজীবীর সংখ্যা ১৫০ জন, যা মোট সংখ্যায় ২ শতাংশ, শুধু তাই নয়, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদে পাঁচটি অনুষদের (ল্যাবরেটরি, ডেন্টাল, ফিজিওথেরাপি, রেডিওথেরাপি, রেডিওগ্রাফি) মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা নিয়োগ পেয়ে থাকলেও এ সিনিয়র মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদের সুবিধা পেয়েছেন শুধু ল্যাবরেটরি ডিপার্টমেন্টের চাকরিজীবীরা। ফলে এটি স্পষ্টতই বৈষম্য এবং অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের চাকরিজীবীরা ওই সুবিধা থেকে সম্পূর্ণভাবে বঞ্চিত রয়েছেন।

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের বৃহৎ অংশের যৌক্তিক দাবির নিকট পদোন্নতিপ্রাপ্ত ২ শতাংশ সংখ্যাটি নিতান্তই নগণ্য। মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের দশম গ্রেড বাস্তবায়িত হলে পূর্বে পদোন্নতির মাধ্যমে দশম গ্রেডপ্রাপ্ত মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা তাদের যোগ্যতা, দক্ষতা ও আনুষঙ্গিক বিবেচনায় উচ্চতর গ্রেডপ্রাপ্ত হতে পারেন কিংবা নিজপদে বহাল থাকতে পারেন, যা রাষ্ট্রীয় বিবেচনার অংশ। বৃহৎ জনগোষ্ঠীর মূল দাবির সঙ্গে এটি কোনোভাবেই সাংঘর্ষিক নয়।

এ ঠুনকো অজুহাতে দশম গ্রেডের ফাইলটি বর্তমানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে লাল ফিতার বাঁধনে (Red Tapism) ফাইলবন্দি অবস্থায় স্থির রয়েছে। যোগ্যতা অনুযায়ী পেশাজীবীদের পেশাগত মানমর্যাদার বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট পেশাকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় নিয়ামক। পদপদবি একজন পেশাদারের জন্য স্বীকৃতিস্বরূপ প্রাপ্য। এটি একদিকে যেমন পেশাজীবীর কর্মস্পৃহা বাড়ায়, তেমনিভাবে বাড়ায় তার উৎপাদনশীলতা। কর্মস্পৃহ মানুষই একটি প্রতিষ্ঠানের কাজের গুণগত ও চাহিদা অনুযায়ী মানোন্নয়ন করতে পারে। স্বীয় কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পদোন্নতি, প্রশংসা, সম্মানী বৃদ্ধি প্রভৃতি বিষয়গুলো সঠিক পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে একেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রাষ্ট্রের চোখে সব পেশাজীবীর বেলায় এমনটিই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু এ দেশের প্রফেশনাল ডিপ্লোমাধারী সরকারি চাকরিজীবী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ক্ষেত্রে বিষয়টি যেন পুরোপুরি ভিন্ন। সরকারের নীতিনির্ধারণী ব্যক্তিবর্গ, মিডিয়া সবার মতামতেই এ সেক্টরে সংস্কার প্রয়োজনীয়তা ও ঢেলে সাজানোর কথা বারবার উঠে এলেও, দুর্ভাগ্যজনক হলো—তা শুধু কথাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। এর প্রাতিষ্ঠানিক বাস্তবায়ন বা সত্যিকারের পরিবর্তন আসেনি।

একটি পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল টিমের গুরুত্বপূর্ণ ও অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়েও এটি সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টিপাতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে। রোগ নির্ণয় সেবা থেকে নিরাময়ে সবখানেই অবদান থাকার পরও স্বীকৃতির জায়গায় এসে লুকোচুরি খেলা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট পেশায় দক্ষ প্রফেশনাল এ ডিপ্লোমাকে শিক্ষা, চাকরিসহ সবক্ষেত্রে সবসময়ই অবমূল্যায়নই করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের সরকারি কর্মচারী বিধিমালায় নন-মেডিকেল কর্মচারী হিসেবে রাখা হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।

অথচ সমশিক্ষাগত যোগ্যতায় ডিপ্লোমা পর্যায়ে সব সরকারি চাকরিজীবীর দশম গ্রেড বাস্তবায়ন হয়েছে বহু আগেই। ১৯৯৪ সালে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের চাকরি ক্ষেত্রে দশম গ্রেড বাস্তবায়িত হয়েছে, ২০১১ ডিপ্লোমা ইন নার্সিং পাসকৃত ডিপ্লোমা নার্সদের ও ডিপ্লোমা মিডওয়াইফদের। ২০১৮ সালে কৃষি ডিপ্লোমাধারীদের একই সালে ডিপ্লোমা ফিশারিজ চাকরিজীবীদের দশম গ্রেড বাস্তবায়িত হয়েছে।

দেশের প্রেক্ষাপটে মেডিকেল টেকনোলজি ও ডিপ্লোমা ফার্মেসি পেশাগুলো বরাবর অবমূল্যায়িত হলেও বহির্বিশ্বের দিকে তাকালে এ চিত্র পুরোপুরি আলাদা। বিদেশে প্রফেশনাল ডিপ্লোমাগুলোকে অদ্যাবধি মূল্যায়ন করতে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, ডিপ্লোমা বা ডিগ্রিকেন্দ্রিক পদোন্নতির বাইরে ব্যক্তির মেধা, জ্ঞান, সক্ষমতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি আমলে নেওয়া হয়। একজন পেশাজীবী ডিপ্লোমাধারীও পেশাদার স্নাতকধারীর মতো করে পদোন্নতি পেয়ে থাকেন। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট পেশাজীবীরা সরকারি চাকরির শুরুতে যে পদ-গ্রেড মর্যাদায় বেতন-ভাতা পেতেন, সুদীর্ঘ বছর চাকরি করার পরও সেই একই পদ-গ্রেড মর্যাদায় বেতন-ভাতা পান, একই চেয়ারে দায়িত্ব পালন করেন; এমনকি দায়িত্বকালীন সন্তোষজনক কর্মকাণ্ড হওয়ার পরও তাদের কোনো পদোন্নতি-পদমর্যাদা নেই। অন্যদিকে বেশিরভাগ প্রফেশনাল গ্র্যাজুয়েট পাসকৃত পেশাজীবীরা সরকারি চাকরিতে এন্ট্রি পদে নবম গ্রেডে যোগদান করে ক্রমান্বয়িক পদোন্নতি লাভ করে একের পর এক উচ্চতার গ্রেড অর্জন করেন। প্রায় সব প্রফেশনাল স্নাতকধারী সময়ে সময়ে বাধ্যতামূলকভাবে পদোন্নতি পান। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি পুরোপুরি বিপরীত, একজন ডিপ্লোমাধারী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট চাকরি ক্ষেত্রে আজন্মই এরকম বৈষম্যের শিকার। প্রায় শতভাগ ডিপ্লোমাধারীর চাকরি ব্লক পোস্টে, অর্থাৎ সারাজীবন চাকরি করলেও কোনো পদোন্নতি নেই ভাগ্যে। অন্যদিকে স্নাতক ডিগ্রিধারী অন্যান্য পেশাজীবীর ক্ষেত্রে ব্লক পোস্টের বিষয়টি তেমন লক্ষ করা যায় না বললেই চলে।

কর্মক্ষেত্রে যোগ্যতা, দক্ষতা, অবদান অনুযায়ী মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের ও ফার্মাসিস্টদের উচ্চতর বেতন স্কেল, পদমর্যাদার বিষয়গুলো স্বাভাবিক প্রক্রিয়ারই অংশ। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বৈষম্য দূরীকরণে নানামুখী উদ্যোগের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবার এ গুরুত্বপূর্ণ পেশাজীবীদের প্রতি দীর্ঘকাল ধরে যে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে, তার যথাযথ আশু অবসান করবেন বলে বিশ্বাস করি।

গত ৯ অক্টোবর থেকে সারা দেশে সব সরকারি ও বেসরকারি ইনস্টিটিউট আইএইচটিসমূহের শিক্ষার্থীরা দশম গ্রেড বাস্তবায়নসহ ছয় দফা দাবিতে অহিংস আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই জনগণের স্বাস্থ্যসেবার কল্যাণেই তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার জন্য।

দশম গ্রেড বাস্তবায়ন, নতুন নিয়োগসহ পদপদবি, পদোন্নতির বিষয়গুলোকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় রূপদান করার স্বার্থে স্বতন্ত্র পরিদপ্তর গঠনের দাবিগুলো দেশের মানুষের কল্যাণেই। জনসাধারণের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা, পেশাজীবীদের আত্মমর্যাদা, সামাজিক অবস্থান, স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্ব বিবেচনা ও যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়া সময়ের দাবি।

লেখক: উন্নয়নকর্মী

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চট্টগ্রামে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় নিহত ৩

ভক্ত সোহাগের ‘কালো মানিক’ গ্রহণ করেননি খালেদা জিয়া

ভিসি খুঁজতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিল সরকার

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরা হলো না স্বামী-স্ত্রীর

চট্টগ্রামে ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে গেল কয়েকটি গাড়ি

ভারতীয় শাড়িবোঝাই ট্রাক আটক করলো জনতা

রাঙামাটির সীমান্তে বিজিবির কড়া নজরদারি

ফুটবলপ্রেমীদের জন্য নির্ঘুম এক রাত, মাঠে নামছে বিশ্ব ফুটবলের রাজারা

দেশজুড়ে ৫ সহস্রাধিক বৃক্ষরোপণ

মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে প্রাণ গেল পুলিশের স্ত্রীর

১০

গুলিস্তান বাস কাউন্টারে যাত্রীদের বেধড়ক পিটুনির অভিযোগ

১১

আগামী দুই সপ্তাহে বাংলাদেশের আকাশ চকচকে হয়ে যাবে : নিজান

১২

আন্দোলন স্থগিত করল পবিস 

১৩

দুনিয়া কাঁপানো হাকাবাজ সাংসদরা এবার বরখাস্ত নিউজিল্যান্ডে

১৪

ফিল্ম এন্ড মিডিয়া ইউনিটি কুষ্টিয়ার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

১৫

ছুটির মধ্যেও বিএমইউর বহির্বিভাগে চিকিৎসাসেবা

১৬

অচিরেই নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন, অন্তর্বর্তী সরকারকে আজাদ

১৭

যেভাবে বুধবারেই বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করতে পারে ব্রাজিল

১৮

ঈদের আগে বাড়ল স্বর্ণের দাম 

১৯

কেন্দ্রীয় শীর্ষ দুই নেতাকে সতর্ক করল বিএনপি

২০
X