ড. মোহাম্মাদ দুলাল মিয়া ও ড. ইশরাত হোসেন
প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১০ এএম
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার ২০২৪

বাংলাদেশের জন্য রয়েছে দিকনির্দেশনা

বাংলাদেশের জন্য রয়েছে দিকনির্দেশনা

সুইডিশ রয়্যাল একাডেমি গত ১৪ অক্টোবর অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করে। অর্থনীতিতে এবারের পুরস্কার উঠেছে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির অর্থনীতির অধ্যাপক ড্যারন অ্যাসেমোগলু, সাইমন জনসন এবং শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস রবিনসনের হাতে। তারা দেখিয়েছেন যে, একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইনস্টিটিউশনের (যার ভাবার্থ হলো একটি দেশের বিদ্যমান আইনকানুন বা রীতিনীতি) অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা ইনস্টিটিউশনকে তুলনা করেছেন খেলার রীতিনীতি বা ‘রুল অব দ্য গেম’-এর সঙ্গে। অর্থাৎ সমাজে কে কেমন আচরণ করবে এটা নির্ভর করবে সমাজে কী ধরনের আইনের প্রচলন রয়েছে তার ওপর। ইনস্টিটিউশন বলতে একটি দেশের সংবিধান থেকে শুরু করে বিদ্যমান আইনকানুন, যা সমাজকে পরিচালিত করে যেমন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া, আইনের শাসন, ব্যক্তি স্বাধীনতা, কোম্পানি আইন, দেউলিয়া আইন, চুক্তির যথাযথ প্রয়োগ, সম্পদ বাজেয়াপ্তকরণের ঝুঁকি ইত্যাদিকে বোঝায়। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনস্টিটিউশন হলো প্রপার্টি রাইটস বা সম্পত্তির অধিকার। সম্পত্তির অধিকার বলতে এখানে বোঝানো হয়েছে যে, ত্যাগের মাধ্যমে একজনের অর্জিত ফলে ভোগ করার তার একক অধিকার থাকবে; তার অনুমতি ছাড়া অন্য কেউ অন্যায়ভাবে সেখানে ভাগ বসাবে না। যদি কেউ অন্যায়ভাবে ভাগ বসানোর সুযোগ পায়, তাহলে মানুষের কষ্ট করে কোনো কিছু অর্জন করার তাগিদ কমে যাবে। উৎপাদনমুখী কাজে মানুষের আগ্রহ কমবে। দীর্ঘমেয়াদে এই অবস্থা চলতে থাকলে অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে।

ইনস্টিটিউশনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হলো প্রকৃত গণতন্ত্র। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদরা কিছু প্রাকৃতিক পদ্ধতি প্রয়োগ করে গণতন্ত্রের কার্যকারিতা দেখানোর চেষ্টা করেছেন। যদিও বিভিন্ন দেশের উদাহরণ এসেছে তাদের লেখায়, তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকোর মধ্যকার নোগালেস (Nogales) অঞ্চলের উদাহরণ ছিল খুবই চমকপ্রদ। নোগালেসকে একটি দেয়াল টেনে দুই ভাগ করা হয়েছে। দেয়ালের উত্তর পাশে হলো নোগালেস অ্যারিজোনা, যা যুক্তরাষ্ট্রের একটা অঙ্গরাজ্য আর দেয়ালের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত নোগালেস সোনোরা, যা মেক্সিকোর একটি অংশ। একই শহরের এ দুটি অঞ্চলের ভৌগোলিক অবস্থান, জলবায়ু ঠিক একই রকম। ঐতিহাসিকভাবে, উত্তর অঞ্চলটি (নোগালেস অ্যারিজোনা) একসময় মেক্সিকোরই অংশ ছিল। তাই শহরের আদি বাসিন্দারা আদতে মেক্সিকান। অর্থাৎ, বর্তমান প্রজন্মের অনেকের পূর্বপুরুষ মেক্সিকান বা জেনেটিক্যালি একই। এ ছাড়া সাংস্কৃতিতে রয়েছে অনেক মিল। এ দুই পাশের মানুষের খাদ্যাভ্যাস প্রায় একই রকম।

এত মিল থাকা সত্ত্বেও দুই দেশের জীবন মানে রয়েছে বিস্তর ফারাক। নোগালেস অ্যারিজোনার লোকদের গড় আয়ু তুলনামূলকভাবে বেশি; শিশুরা প্রায় সবাই স্কুলে যায় এবং পড়াশোনা শেষ করে; সম্পত্তির অধিকার অধিকতর সুরক্ষিত এবং লোকেরা জানে যে তারা তাদের বিনিয়োগ থেকে অর্জিত সুবিধা (সম্পত্তির অধিকার) উপভোগ করতে পারবে। অন্যদিকে নোগালেস সোনোরা মেক্সিকোর তুলনামূলকভাবে ধনী অংশ হলেও এখানকার বাসিন্দারা দেয়ালের উত্তর দিকের তুলনায় যথেষ্ট দরিদ্র।

এ পার্থক্যের জন্য নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদরা দায়ী করেছেন দুই দেশের বিদ্যমান গণতন্ত্রকে। গত ২০ বছর ধরে মেক্সিকোতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উন্নতি হলেও নির্বাচনের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের অপসারণ করা এখনো অনেক কঠিন। এখানকার নাগরিকরা এমন এক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে বাস করে, যা তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে না। বরং, রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং প্রচলিত আইনের শাসন এ অঞ্চলের মানুষের স্বীয় সম্ভাবনাকে সীমিত করে দেয়। অন্যদিকে, দেয়ালের উত্তরে বসবাসকারী (নোগালেস অ্যারিজোনা) লোকেরা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বাস করে। রাজনীতিবিদরা যদি জনগণের স্বার্থবিরোধী কাজ করে, তবে তাদের ক্ষমতাচ্যুত করার সুযোগ রয়েছে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে। যার ফলে এ অঞ্চলের লোকেরা ব্যক্তি স্বাধীনতা, আইনের যথাযথ প্রয়োগ, রাজনৈতিকভাবে প্রতিনিধি বেছে নেওয়ার অধিকার ভোগ করে।

ড্যারন অ্যাসেমোগলু এবং জেমস রবিনসনের একটি বিখ্যাত গ্রন্থ হলো ‘Why Nations Fail’। ঐতিহাসিক পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি ব্যবহার করে এ বইয়ে তারা দেখিয়েছেন যে, একটি জাতির জন্য টেকসই সমৃদ্ধির চাবিকাঠি হলো রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উভয় ক্ষেত্রেই উপযুক্ত অন্তর্ভুক্তিমূলক ইনস্টিটিউশন বা শাসনব্যবস্থা। অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক শাসনব্যবস্থা একটি সংকীর্ণ গোষ্ঠীর হাতে ক্ষমতার কেন্দ্রীভূত হওয়াকে ব্যাহত করে এবং ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণকে প্রশস্ত করে। একই সঙ্গে, ক্ষমতা প্রয়োগে প্রতিটি ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের সীমারেখা টেনে দেবে কার্যকরী শাসনব্যবস্থা। যার ফলে ক্ষমতাসীনদের দ্বারা সাধারণ জনগণের সম্পত্তির অধিকার হরণ করার পথ অনেকটাই রুদ্ধ হয়ে যায়, মানুষ ‘যেমন কর্ম তেমন ফল’ ধারণায় বিশ্বাসী হয়ে ওঠে, যা তাদের উৎপাদনমুখী করে তোলে। সম্পত্তির অধিকার সুরক্ষার পাশাপাশি, আইনের নিরপেক্ষ শাসন প্রতিষ্ঠা এবং জনসেবা প্রদান করে এমন একটি অবস্থা তৈরি করে কার্যকরী অর্থনৈতিক সুশাসন।

গণতন্ত্র ও সুশাসনের কথা বলতে গিয়ে নোবেল বিজয়ী এ অর্থনীতিবিদ উদাহরণ টেনেছেন অনেক দেশের। নোগালেসের অ্যারিজোনা এবং সোনোরা অঞ্চলের মতো অনেক মিল রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণের মধ্যে। কৃষ্টি ও কালচারের এক হওয়া সত্ত্বেও একসময়কার সমজাতীয় কোরিয়ান উপদ্বীপের মধ্যে অর্থনৈতিক ফারাক পাহাড়সম। দক্ষিণ কোরিয়া এলিট শ্রেণিতে উন্নীত হলেও উত্তর কোরিয়ার জনগণ অর্থনৈতিকভাবে এখনো অনেক দরিদ্র এবং রাজনৈতিক অধিকার বলতে কিছুই অবশিষ্ট নেই। নিজ নিজ দেশের ইনস্টিটিউশন তথা আইনের শাসনব্যবস্থার ভিন্নতার কারণে অর্থনৈতিক সাফল্যে ব্যাপক তারতম্য বিরাজ করছে এ দুই দেশে। অনুরূপভাবে, যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও ফিলিপাইনের জনগণ অর্থনৈতিক উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত ছোঁয়া পায়নি।

একই কথা প্রযোজ্য আফ্রিকা মহাদেশের ক্ষেত্রেও। প্রফেসর সিমিওন কাইটিবি ও তার দল সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখায় যে, সাব-সাহারান আফ্রিকা এবং এশিয়ায় ইনস্টিটিউশনের মান কৃষিকাজে নিয়োজিত জনসাধারণের পরিষেবার ইতিবাচক প্রভাবের ওপর একটি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে। অনুরূপভাবে, ড্যারন অ্যাসেমোগলু এবং জেমস রবিনসন দেখিয়েছেন, সিয়েরা লিওন এবং জিম্বাবুয়ের মতো সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোর কাছে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে একটা সুযোগ ছিল নিজ নিজ দেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলার। শুধু দরকার ছিল ঔপনিবেশিক আমলে গড়ে ওঠা শোষণ এবং নিপীড়নমূলক ইনস্টিটিউশন বা আইনকানুন বাতিল করে নতুন করে সমতার ভিত্তিতে কার্যকরী সুশাসনের প্রবর্তন। কিন্তু নিজেদের স্বার্থে শেষ পর্যন্ত শোষণ ও নিপীড়নমূলক ইনস্টিটিউশন জারি রেখে নিজেদের আখের গুছিয়েছেন ক্ষমতায় থাকা শাসকরা। অন্যদিকে, স্বাধীনতার প্রাথমিক পর্যায়ে উপযুক্ত ইনস্টিটিউশন তৈরির প্রচেষ্টা ও সঠিক নেতৃত্বের ফলে আফ্রিকার বতসোয়ানা পেয়েছে উল্লেখযোগ্য সমৃদ্ধির ছোঁয়া।

নোবেল বিজয়ীরা দেখিয়েছেন যে, শোষণমূলক (অ-অন্তর্ভুক্তিমূলক) রাজনৈতিক শাসনব্যবস্থা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা গোষ্ঠীগুলোকে এমন সব শোষণমূলক অর্থনৈতিক আইনকানুন প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করে, যা তাদের সমাজের বাকি অংশকে ঠকিয়ে নিজেদের সমৃদ্ধ করতে সুবিধা দেয়। অনৈতিকভাবে অর্থনৈতিক সম্পদ আহরণ তাদের রাজনৈতিক আধিপত্যকে আরও সুসংহত করে। এ অবস্থা একটা চক্রাকার প্রক্রিয়া। অর্থাৎ, বিদ্যমান শোষককে উৎখাত করে নতুন কোনো গোষ্ঠী ক্ষমতায় আসলে তারাও শোষণ ও নিপীড়নমূলক ইনস্টিটিউশন চালু রেখে নিজেদের পকেট ভরে।

ওপরের এ যুক্তি বাংলাদেশের জন্যও প্রযোজ্য। স্বাধীন বাংলাদেশের বয়স পাঁচ দশকের বেশি হলেও প্রকৃত গণতন্ত্র এখনো সুপ্রতিষ্ঠিত হয়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় কয়েকটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলেও দেশটির শাসনে বেশিরভাগ সময় ছিল স্বৈরাচারী সরকার। গত ১৫ বছর কেটেছে অর্থবহ কোনো নির্বাচন ছাড়া। দখলকারী বাহিনী নানা অনিয়ম, দুর্নীতি করলেও নির্বাচন ব্যবস্থার মাধ্যমে এ অবস্থা থেকে উত্তরণের কোনো উপায় ছিল না দেশটির জনগণের। সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী সরকার অতি উৎসাহের সঙ্গে রাস্তা, মহাসড়ক, মেট্রো, সেতু, টানেলের মতো অবকাঠামো প্রকল্পগুলোকে উন্নয়নের মাপকাঠি হিসেবে তুলে ধরেছিল, মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বকে হ্রাস করে। তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি দানবীয় ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’ প্রতিষ্ঠানগুলো; যেমন নিরাপত্তা সংস্থা, বিচার বিভাগ, বেসামরিক আমলাতন্ত্র এবং নীতিজ্ঞানহীন প্রতিষ্ঠানগুলো; যেমন নির্বাচন কমিশন, আর্থিক খাত, মিডিয়া, দুর্নীতি দমন কমিশন, শিক্ষা প্রশাসন, দেশটিকে একটি অনিশ্চিত অবস্থায় ফেলেছে এবং অসম উন্নয়ন ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। সরকারের পতনের সময় কিছু প্রধান প্রধান প্রতিষ্ঠান কীভাবে দ্রুত ভেঙে পড়েছিল, তা দেখে পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনুমান করা যায়, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন।

স্বার্থান্বেষী ও তোষণনীতি রাজনৈতিক ও পুঁজিবাদী ব্যবস্থা ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা শুধু কতিপয় পরিবার, দলীয় নেতাকর্মী ও অলিগার্ক-ব্যবসায়ীদের জন্য সম্পদ তৈরি করেছে। তারা জাতীয় সম্পদ লুণ্ঠন এবং কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দেশের বাইরে পাচার করার উপায় বের করে কিছু বাছাইকৃত লোকের হাতে সম্পদ ও ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করেছে। দেশটির বর্তমান অর্থনৈতিক এবং গণতান্ত্রিক সংকট এ তোষণ নীতিরই ফল, যা ছিল অনিবার্য।

স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের আইনের শাসনের ধ্বংসলীলা উদ্বেগজনক, যদিও মাঝেমধ্যে সাফল্যের কিছু গল্প রয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সফল গণঅভ্যুত্থান দীর্ঘমেয়াদি টেকসই সমৃদ্ধির পথে একটি নতুন সূচনা করতে পারে। বর্তমান ভাঙাচোরা সমাজ থেকে একটি টেকসই জাতি গঠনের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনির্মাণ প্রক্রিয়ার রয়েছে জরুরি অগ্রাধিকার। যতই কষ্টদায়ক তা হোক না কেন, জাতির দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের ক্ষেত্রে এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আর কিছুই পালন করবে না। রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ইনস্টিটিউশনগুলোকে শক্তিশালী করে তোলার মাধ্যমে ‘চেক অ্যান্ড ব্যালান্স’ প্রতিষ্ঠা করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আন্তরিক উদ্যোগ নিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে বাধাগুলো অতিক্রম করে জনগণের মানোন্নয়ন সম্ভব। এটি সময়সাপেক্ষ হতে পারে তবে অবশ্যই সম্ভব। আমাদের অবশ্যই এর জন্য একটি প্রয়োজনীয় ভিত্তি স্থাপন করতে হবে এবং ভালোর আশা করতে হবে। বাংলাদেশকে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, সম্ভাবনাময় এ দেশটি শান্তিপূর্ণ পদ্ধতি অনুসরণ করে ক্ষয়িষ্ণু ইনস্টিটিউশনকে পুনরুজ্জীবিত করবে, নাকি রাষ্ট্রীয় সম্পদের আরও শোষণ রোধ এবং বিবদমান অর্থনৈতিক বৈষম্য হ্রাসে আরেকটি সহিংস বিপ্লবের জন্য অপেক্ষা করবে।

লেখকদ্বয়: ড. মোহাম্মাদ দুলাল মিয়া—লেখক ও গবেষক, মাস্কাট, ওমান।

ড. ইশরাত হোসেন—ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির খণ্ডকালীন সহযোগী অধ্যাপক, কাতার ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির প্রাক্তন সহকারী অধ্যাপক এবং ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনি, অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন রিসার্চ ফেলো

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সৌদিগামী যাত্রীদের জন্য সুখবর

এমবাপ্পের একমাত্র গোলে রিয়ালের কষ্টার্জিত জয়

ম্যানসিটি ছাড়ছেন আর্জেন্টিনার ‘নতুন মেসি’

‘৫১ লাখ টাকার স্টেডিয়াম ১৪ কোটিতে করার অনুমোদন’, কী ব্যাখ্যা দিলেন সচিব

জনপ্রিয় ব্রিটিশ পত্রিকায় বাংলাদেশ নারী দলের প্রশংসা

ইউআরপি ও ডিএলআর মডিউল প্রস্তুত / মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যাবে শূন্য অভিবাসন ব্যয়ে

রাশিয়া শক্তিশালী, এটা মেনে নিতেই হবে : ট্রাম্প

ময়মনসিংহ থেকে বাস চলাচল শুরু, ভাঙচুরের ঘটনায় কমিটি

আইপিএলে ভালো করলেও ভারত দলে জায়গা নিশ্চিত নয়

ফেব্রুয়ারির কত তারিখে রোজা শুরু হতে পারে 

১০

দুই শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের ঘটনায় আহমাদুল্লাহর উদ্বেগ

১১

সরকারি কর্মচারীরা দাফনের জন্য পাবেন টাকা

১২

দেড় যুগেও নির্মাণ হয়নি জহির রায়হান মিলনায়তন

১৩

দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, দুই উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

১৪

৫ অভ্যাসে বার্ধক্যেও ভালো থাকবে হৎপিণ্ড

১৫

অনশন প্রত্যাহার করল বেরোবি শিক্ষার্থীরা

১৬

‘ভুল চিকিৎসায়’ একদিনে দুই শিশুর মৃত্যু

১৭

সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর

১৮

কাভার্ডভ্যানের চাপায় মা-মেয়ের মৃত্যু

১৯

মাস্ক পরে হাসপাতালে দীপু মনি

২০
X