‘মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে’—এটি প্রতীকী বয়ান। বাস্তবতা হচ্ছে, মেঘ দেখে চিরকালই ভয় পাওয়ার যথেষ্ট কারণ ছিল, আছে এবং থাকবে। দেশে প্রতি বছর গড়ে ২৬৫ জনের বেশি মানুষ বজ্রাঘাতে প্রাণ হারায়। ২০১১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশে বজ্রপাতে প্রায় ৩ হাজার ৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৭ ও ২৮ এপ্রিল মিলিয়ে ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ জেলায় বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। বজ্রাঘাতের সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। ২৯ এপ্রিল দৈনিক কালবেলায় প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বে বজ্রাঘাতে যত মৃত্যু হয়, তার এক-চতুর্থাংশই বাংলাদেশে। গবেষকদের মতে, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে বজ্রাঘাতের প্রবণতা বেশি। একদিকে বঙ্গোপসাগর। এরপরই ভারত মহাসাগর। সেখান থেকে গরম আর আর্দ্র বাতাস আসছে। আবার উত্তরে রয়েছে পাহাড়ি এলাকা। কিছুটা দূরে হিমালয়। যেখান থেকে আসছে ঠান্ডা বাতাস। এই দুই ধরনের বাতাসের সংমিশ্রণে বজ্রপাতের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এদিকে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে ভেনিজুয়েলা ও ব্রাজিলে। কিন্তু সেখানকার তুলনায় বাংলাদেশে মৃত্যুর ঘটনা অনেক বেশি। এর প্রধান কারণ হচ্ছে বজ্রাঘাতের বিষয়ে সচেতনতার অভাব।
অদ্ভুত শোনালেও প্রকৃতির বজ্রাঘাতের সঙ্গে আমাদের রাজনীতির দুর্যোগ অনেকটাই মিলে যায়। বজ্রপাতের জন্য আমাদের দেশের ভৌগোলিক অবস্থান যেমন দায়ী, তেমনই রাজনীতির টানাপোড়েনের জন্য দায়ী আমাদের ভৌগোলিক অবস্থান। বজ্রাঘাতের মূল উপকরণ আসে আমাদের ভূখণ্ডের বাইরের থেকে, সীমান্তের বাইরের থেকে দেওয়া হয় রাজনীতিতে অস্থিরতার বাতাস। এ ক্ষেত্রে সুদূর-অদূরের মিশেল রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে ৪৭-এর সীমানা নির্ধারণের মধ্যে এই উপমহাদেশের সমস্যার বীজ গভীরে রোপিত। যার ব্লুপ্রিন্ট তৈরি হয়েছে আরও দুই বছর আগে, ১৯৪৫ সালে। পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, যে লক্ষ্য নিয়ে পাকিস্তান নামের অদ্ভুত রাষ্ট্রটির সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল; তারই ক্রমাগত খেসারত দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান নামের দেশ দুটি। সঙ্গে এ দুই দেশের রাজনীতিকদের মেধামনন এবং জন-অসচেতনতা অনেকখানি দায়ী বলে মনে করা হয়। আরও অনেক কারণ মিলিয়ে এ দেশ দুটির সরকার ব্যবস্থা ও রাজনীতি শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারেনি। ফলে রাজনীতিতে হঠাৎ বজ্রাঘাতের মতো ঘটনা ঘটেই চলে। একটু চিন্তা করলেই বোঝা যাবে, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের রাজনীতির অস্থিরতা এবং সরকার কাঠামোর ভঙ্গুর দশা হঠাৎ কোনো ঘটনা নয়। ৪৫-এর পরিকল্পনার ধারাবাহিকতায় ৪৭-এর সীমা নির্ধারণের সর্বনাশ আরও একধাপ এগিয়ে দেয় ৫১-এর একটি হত্যাকাণ্ড। লাখো মানুষের সামনে ১৯৫১ সালের ১৬ অক্টোবর খুন হন পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খান। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচলিত আছে। কারও মতে, এ হত্যার পেছনে বিদেশি শক্তির হাত ছিল। কেউ বলেন, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল। আবার কেউ মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র লিয়াকত আলিকে খুন করিয়েছে। হত্যার ৬৪ বছর পর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক গোপন নথি থেকে প্রকাশিত হয়েছে, তৎকালীন আফগান সরকারের সহায়তায় লিয়াকত আলিকে হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। কিন্তু লিয়াকত আলি খান খুন হওয়া নিয়ে সম্ভবত পরবর্তী ভয়ংকর বাস্তবতা তুলে ধরেছেন ভারতীয় লেখক এম এস ভেঙ্কটারমনি। তিনি ‘দ্য আমেরিকান রোল ইন পাকিস্তান’ বইয়ে লিখেছেন, ‘লিয়াকত আলি খানের খুনির ছোড়া একটিমাত্র বুলেট দেশটির রাজনীতির পরিবর্তনের অনুঘটক হিসেবে প্রমাণিত হয়।’
এম এস ভেঙ্কটারমনি যে ইঙ্গিত করেছেন, সেই ধারা থেকে পাকিস্তান আর বের হতে পারেনি। সামরিক অভ্যুত্থানে জুলফিকার আলি ভুট্টোকে ক্ষমতাচ্যুত করে ফাঁসির মঞ্চে প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। জেনারেল জিয়াউর হক প্রেসিডেন্ট পদে আসীন থাকাকালেই নিজ দেশের আকাশেই ‘খুন’ হয়েছেন। বিমানের আমের ঝুড়িতে নাকি বোমা লুকানো ছিল। ভুট্টোকন্যা বেনজির ভুট্টো খুন হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর। ৫৬ বছর আগে একই শহরে খুন হয়েছিলেন দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খান। বেনজির ভুট্টোর পর পাকিস্তানে সরকারপ্রধান খুনের ঘটনা এখনো ঘটেনি। এর অর্থ এই নয় যে, দেশটির রাজনীতি সুষ্ঠু ধারায় স্থাপিত হতে পেরেছে। বরং আগের প্রবণতায়ই চলমান। যার মূর্তমান প্রতীক হয়ে কারাগারে আছেন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত ইমরান খান। তবে তিনি এখনো বেঁচে আছেন। স্বাধীনতার পর এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের কোনো সরকারপ্রধান মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। মেয়াদ শেষের আগেই তাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তাদের চারজনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে দুনিয়া থেকেই। সামগ্রিক বাস্তবতা হচ্ছে, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি থেকে পাকিস্তান ও দেশটির সরকার কখনোই বের হতে পারেনি। এজন্য অপবাদের তীর সবসময়ই সেনাবাহিনীর দিকে। বলা হয়, ‘সব রাষ্ট্রেই সেনাবাহিনী থাকে, তবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি রাষ্ট্র আছে!’
এদিকে নির্মম বাস্তবতা হচ্ছে, ৭১ সালে পাকিস্তান থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীনতা অর্জনের পরও পাকিস্তানি ধারার কালো ছায়া থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রবণতা খুব একটা মুক্ত হতে পারেনি। ২৪ বছরের আন্দোলন-সংগ্রাম এবং ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশে প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান সাড়ে তিন বছরের মাথায় অনেক স্বজনসহ সপরিবারে খুন হয়েছেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। তখন তিনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এরপর ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান খুন হয়েছেন ১৯৮১-এর ৩০ মে। এদিক থেকে পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থা উত্তম। কারণ, পাকিস্তানে সরকারপ্রধান খুনের ধারায় ছেদ পড়েছে এক হালি পূর্ণ করে। আর রাষ্ট্রপ্রধান খুনের ঘটনায় বাংলাদেশে ছেদরেখা আছে দুইয়ের ঘরে। এর পরও আমাদের অবস্থা খুব বেশি বেহেতের মনে করার কোনো কারণ নেই। জেনারেল আইয়ুব খানের দশক ছুঁইছুঁই আদলে জেনারেল এরশাদ ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর ক্ষমতাচ্যুত হন। এই ৯ বছরে অনেক প্রাণ সংহার হয়েছে। গদি রক্ষায় প্রাণ সংহারের ধারা অব্যাহত ছিল খালেদা সরকারের আমলেও। তবে ক্ষমতার মসনদ ধরে রাখার জন্য প্রাণ হরণের শীর্ষে আছেন প্রধানমন্ত্রীর মসনদ থেকে পলায়নকারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। তিনি একটানা ১৬ বছর মসনদে থাকাকালে অসংখ্য প্রাণ হরণ করেছেন। এর সঙ্গে জুলাই-আগস্টে যুক্ত হয়েছে প্রায় চৌদ্দশ আদম সন্তান। হয়তো তিনি নরবলির মানসিকতায় আক্রান্ত ছিলেন!
ধারণা করা হয়েছিল, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের অবসানের পর রাজনীতিতে শুদ্ধ ধারার শান্তির পায়রা উড়বে; কিন্তু বিধিবাম! কারও বিবেচনায় রাজনীতির দূর আকাশে শকুনের ছায়া দৃশ্যমান। কোনো আলামতই স্বস্তির ইঙ্গিত দেয় না। এদিকে আমাদের সেনাবাহিনী ৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়ে এলেও রাজনীতিকরা কতটা পরিস্থিতির গভীরতা অনুধাবন করতে পারছেন, তা নিয়ে বেশ সংশয় আছে। বরং রাজনীতিতে অনেক বিপজ্জনক বাঁক সৃষ্টি হয়ে গেছে। এর মধ্যে অনিশ্চিত বাঁক প্রধানত দুটি। এক. নির্বাচন। দুই. ভারত মোকাবিলা। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগের মধ্যে প্রধান হচ্ছে, ভোটের অধিকার হরণ করার জন্য নির্বাচন ব্যবস্থা ধূলিসাৎ করে দেওয়া। অবশ্য নির্বাচন নিয়ে তার আগের প্রতিটি সরকার নগ্ন খেলা খেলেছে। তবে এ খেলায় শেখ হাসিনা অদ্বিতীয়। রাজনীতির এ হায়নার বিদায়ের পর ধারণা করা হয়েছিল— আর যাই হোক, নির্বাচন নিয়ে আর কোনো খেলা হবে না। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, উল্টোটা। নির্বাচন নিয়ে অতি খেলায় জনমনে নানান সংশয় জেঁকে বসেছে। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বেশ আগে বিদেশি গণমাধ্যমের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতার কথা বলেছিলেন। এ হিসাবে নির্বাচন হওয়ার কথা চলতি বছরের ডিসেম্বরে। এরপর নির্বাচনকেন্দ্রিক নানান কথা হয়েছে। আর নির্বাচন নিয়ে সবকিছুকে ছাপিয়ে আছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের উচ্চারণ। ‘মুসলমানের এক কথা’— প্রবচনের মতো তিনি অনবরত বলেই যাচ্ছেন, ‘নির্বাচন হবে এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে।’ আর প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি অন্য সবকিছু দূরে রেখে নির্বাচনের কথা বলেই যাচ্ছে অনবরত। যেন ‘কানু বিনা গীত নাই, রাধা বিনা প্রীত নাই’; কিন্তু বাস্তবে অনেক সমস্যাই আছে।
অনেক সমস্যা আছে নিয়ন্ত্রণ সক্ষমতার আওতায়, অনেক আছে নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতার বাইরে। এ অবস্থার মধ্যে বিডিআর কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) এ এল এম ফজলুর রহমান এক ফেসবুক পোস্টে বলে বসেছেন, ‘ভারত পাকিস্তান আক্রমণ করলে বাংলাদেশের উচিত হবে উত্তর-পূর্ব ভারতের সাত রাজ্য দখল করে নেওয়া। এ ব্যাপারে চীনের সঙ্গে যৌথ সামরিক ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন বলে মনে করি।’ ব্যস! বড় এক ভেজালের দ্বার উন্মোচন হলো! যদিও ৩০ এপ্রিল রাতে এক ফেসবুক পোস্টে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘বিডিআর কমিশনের প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) এ এল এম ফজলুর রহমানের দৃষ্টিভঙ্গি বা মন্তব্যের সঙ্গে কোনোভাবেই একমত পোষণ করে না অন্তর্বর্তী সরকার।’ এখানেই শেষ নয়। ২ মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশ সরকার স্পষ্ট করে বলতে চায় যে, মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এ এল এম ফজলুর রহমানের ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে করা সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলো কেবল ব্যক্তিগতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। এ মন্তব্য বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান বা নীতির প্রতিফলন ঘটায় না এবং তাই সরকার কোনোভাবেই এ ধরনের বক্তব্যকে সমর্থন করে না।’ এর পরও ভারতীয় ভয়ংকর অপপ্রচারণার গীতে এটি হয়ে গেছে বড় সংযোজন।
অন্তর্বর্তী সরকার কোন বক্তব্যকে সমর্থন করে অথবা করে না, সেটি নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বিষয়টি তো এখানেই থেমে থাকার নয়। আরও অনেক কিছু আছে। যার স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলে খোদ প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের বক্তব্যে। ৩০ এপ্রিল সেনানিবাসে বিমানবাহিনীর বার্ষিক মহড়া শেষে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, ‘আমাদেরই কাছে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হয় হয় অবস্থার মধ্যে রয়েছে। সকালের খবরে দেখলাম, হয়তো গুজব, আজকেই শুরু হয়ে যাবে যুদ্ধ। এ রকম পরিস্থিতির মধ্যে আমরা বাস করি। কাজেই এ পরিস্থিতির মধ্যে প্রস্তুতি না নেওয়াটা আত্মঘাতী এবং প্রস্তুতি নিতে হলে আধাআধি প্রস্তুতির কোনো জায়গা নেই। এটা এমন এক পরিস্থিতি, জয়ই তার একমাত্র অপশন। পরাজয় এখানে কোনো অপশন হতে পারে না। কাজেই আমাদের প্রস্তুতি কত উচ্চপর্যায়ে নিতে পারি, সেটার চেষ্টা আমাদের থাকতেই হবে।’ ড. ইউনূস হালকা কোনো কথা বলেছেন—এটি মনে করার কোনোই কারণ নেই। বরং তার বক্তব্যকে গভীরভাবে বিবেচনার নিতে হবে। তিনি আসলে আসন্ন জটিল পরিস্থিতির দিকে স্পষ্ট ইঙ্গিত করেছেন।
এদিকে বাংলাদেশের অবস্থানগত জটিলতাকে অধিকতর জটিল করে তুলেছে শেখ হাসিনা পতনের পরবর্তী ঘটনা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার ক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতা। বিশেষ করে মব ভায়োলেন্স মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। সঙ্গে আরও জটিলতা মিলিয়ে পরিস্থিতি যেখানে গিয়ে দাঁড়িয়েছে—তাতে নানা আশঙ্কা আমাদের আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে ফেলেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর এটি সড়ক দুর্ঘটনার মতো প্রতিনিয়ত ঘটার মতো বিষয় নয়, বরং বজ্রাঘাতের মতো হঠাৎ আশঙ্কার বিষয়। কে জানে আমাদের নসিবে কী আছে!
লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
মন্তব্য করুন