পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে ২৮ এপ্রিল ব্রিফিংয়ে আইজিপি মো. বাহারুল আলম বলেছেন, “এবার পুলিশ সপ্তাহ অনাড়ম্বরভাবে করছি। যেখানে উৎসব-আনন্দ একদমই থাকছে না। পুলিশ সপ্তাহ আমরা আনুষ্ঠানিক না করে কার্যকর করতে চাচ্ছি। এবারের পুলিশ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য, ‘আমার পুলিশ আমার দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’। এ ভাবনাটি আমরা দেশবাসীর মনে সঞ্চারিত করতে চাই। তারা যেন বলতে পারেন, বৈষম্যহীন বাংলাদেশের এ পুলিশ আমাদের।”
পুলিশপ্রধানের মুখে ফুলচন্দন পড়ুক, তিনি আশাবাদী মানুষ। কিন্তু পুলিশ সপ্তাহে ‘উৎসব-আনন্দ’ একদমই না থাকলে তা কি বাহিনীর মধ্যে আশা জাগায়? এটি মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন। জানা কথা, আমাদের পুলিশ বাহিনীকে নানা বৈরী পরিবেশে কাজ করতে হয়। অনেক সময় তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু দোষ চাপে পুলিশের ওপর। এর ওপর জুলাই-আগস্টে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশ যে পরিস্থিতিতে পড়েছে, তা এক কথায় ভয়াবহ। এখন জরুরি হচ্ছে, পুলিশের মনোবল জাগিয়ে তোলার কঠিন কাজটি করা, আনন্দে ও আস্থায় রাখা। প্রচলিত আপ্তবাক্য আছে, পুলিশ হলো আস্থা, বিশ্বাস আর ভরসার প্রতীক, অন্ধকার রাতে ল্যাম্পপোস্ট। যে আলোর সাহস জোগায়! কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এ ল্যাম্পপোস্টের সুইচ কার হাতে? এদিকে পুলিশ নিয়ে নানা রকমের প্রবচন চাউর আছে। যার বেশিরভাগই নেতিবাচক। যেমন—মাছের রাজা ইলিশ চাকরির রাজা পুলিশ, আকাশের যত তারা পুলিশের তত ধারা, বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা পুলিশ ছুঁলে ছত্রিশ ঘা, পুলিশ তুমি যতই মারো তোমার বেতন ১১২, ইত্যাদি। আরও অনেক ইতিবাচক ও নেতিবাচক আপ্তবাক্য রয়েছে। তবে ইতিবাচকগুলো কমই উচ্চারিত হয়। এগুলো সংরক্ষিত থাকে অনুষ্ঠানের জন্য। আবার অনুষ্ঠানে অন্ধ ছেলেকে পদ্মলোচন বলার মতোই খুব বেশি বলে ফেলা হয়। কখনো আবার কাশিকেও বলা হয় রাজরোগ। লাগাতরভাবে চলমান নেতিবাচক প্রচারণায় মনে হতে পারে, পুলিশ মানেই সব অনিয়ম, অন্যায়, অবিচার আর ঘুষ-দুর্নীতির একক ইজারাদার! কিন্তু বাস্তবতা এরকম নয়। রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানেই কলঙ্ক ও অপকর্মের বৃত্তে আছে। কিন্তু এগুলো কম উচ্চারিত হয়। কারণ তাদের কাছে মানুষ কম যায়, কাছে কম পায়। চাইলেই পুলিশকে পাওয়া যায়। যেন লালনের ‘বাড়ির পাশে আরশি নগর’। এদিকে এখন পুলিশের অবস্থা নজরুলের সেই গানের কথা মনে করিয়ে দেয়, ‘গানগুলি মোর আহত পাখির সম...।’
মাঠের পুলিশ এখন আসলেই আহত পাখির মতো। যার ছোঁয়া আছে ওপরেও। যদিও থানাবাণিজ্য আগের মতোই আছে বলে মনে করা হয়। এই সেদিন বরিশাল নগরীতে ‘শয়তানের নিঃশ্বাস’ চক্রের বিষয়ে অভিযোগ নেওয়া থেকে বিরত থেকেছে সংশ্লিষ্ট থানা। কিন্তু ওসির রুম যেন জমিদারের দরবারখানা। দালালে ভরপুর! ভুক্তভোগীর ফরিয়াদ নিয়ে গা করে না। এদিকে ‘শয়তানের নিঃশ্বাস চক্রের’ দাপটে বরিশাল নগরবাসী তটস্থ! সারা দেশেই নানান ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি বিরাজমান। মানুষের জানমালের নিরাপত্তার অবস্থা হতাশাজনক। বিশেষ করে বজ্রপাতের মতো বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে মব ভায়োলেন্স। কখন কার ওপর পড়ে কেউ জানে না। এরপরও আরও অনেক বিষয়ের মতো আইনশৃঙ্খলার জন্য এখনো ভরসা পুলিশের ওপরই। কিন্তু পুলিশ নিজে কি ভরসা স্থলে আছে? জানা কথা, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর অন্যতম পুলিশ। অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশের কোনো বিকল্প কিছু নেই। এ বাহিনীর মৌলিক ভূমিকা আছে বিচার কার্যক্রমেও। জুতা সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ—সব ক্ষেত্রেই পুলিশ লাগে। সামগ্রিক বিবেচনায় রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ প্রয়োজনে পুলিশ অদ্বিতীয়। কিন্তু দুর্বল। গায়গতরে স্থূল প্রকৃতির। অথবা কোরবানির জন্য মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়ার চক্করে পতিত প্রাণিকুলের মতো। নেতিবাচক এ বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয়। কিন্তু ভেতরে অন্য বিষয় রয়েছে। ক্ষমতাবানরা চায়, আমি যা বলব তাই বৈধ, তাই আইন। পুলিশ ‘আমার হবে’, আমার কথা শুনবে। রবিঠাকুরের কবিতার ভৃত্য কেস্টার মতো। কিন্তু বাস্তবে হওয়া উচিত, পুলিশ বৈধ আদেশ মানবে। অবৈধ আদেশ মানবে না। শুধু তাই নয়, পুলিশকে অবৈধ আদেশ করার সাহস কারও থাকার কথা নয়। কিন্তু এ সাহস এখন নেংটি ইঁদুরও দেখায়। ‘ইয়েস’ সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠেছে আমাদের পুলিশ বাহিনী। তোয়াজ, তোষামোদের ধারায় দাসসুলভ আচরণেই যেন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে রাষ্ট্রের এই অতীব গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীটি। এর সঙ্গে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সময় এ বাহিনীটিকে সাবেকি আমলের জমিদারদের লাঠিয়ালের চেয়েও নিচে নামিয়ে ফেলা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনা টিকতে পারেননি। বিশেষ আয়োজনে ‘চাচা আপন প্রাণ বাঁচা’ প্রবচন ধারণ করে পালিয়ে প্রাণরক্ষা করেছেন। তার সাঙ্গোপাঙ্গরা বেঁচেছেন ইঁদুরের গর্তে লুকিয়ে, অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ পালাবে কোথায়! ফলে শেখ হাসিনার প্রতি জনরোষের ধকল প্রায় পুরোটাই গেছে পুলিশের ওপর দিয়ে। অভিযোগ আছে, এ ক্ষেত্রে অন্য কারসাজিও ছিল।
এটি কম কথা নয়, অনেক রক্ত, অসংখ্য লাশের প্রভাব কাটিয়ে পুলিশের শিরদাঁড়া টিকিয়ে রাখতে পেরেছে। এখন জরুরি হচ্ছে পুলিশের শিরদাঁড়া শক্ত ও সোজা করে দাঁড় করানো। এ বাহিনীতে অনেক দক্ষ কর্মকর্তা ও সদস্য আছেন। এখন প্রয়োজন রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে আইনি কাঠামোর মধ্য থেকে কাজ করার সংস্কৃতি চালু করা। এর কোনো বিকল্প নেই। নিশ্চিত করতে হবে, অবৈধ অথবা বেআইনি আদেশ অমান্য করে কেউ যেন ভিকটিমাইজ না হয়। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনের পুলিশপ্রধান আর্ট অ্যাসেভেদো পুলিশ নিয়ে কথা বলায় সিএনএনে ট্রাম্পকে মুখ বন্ধ রাখতে বলেছেন! ওই পুলিশের চাকরি তো যায়নি। কারণ রক্ষাকবচ হিসেবে সে দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিরাজমান। আমাদের দেশকেও এই পথে হাঁটতে হবে। সঙ্গে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটা শক্তিশালী বার্তা জরুরি। উদাহরণ সৃষ্টি করতে হবে। একটি বাহিনীকে প্রত্যাশিত অবস্থানে পৌঁছাতে দুর্নীতি হ্রাস বেশ কার্যকরী পন্থা। আর এটি শুরু হতে হবে ওপর থেকে। রহমতের বৃষ্টি এবং জলপ্রবাহ যেমন ওপর থেকে আসে। এটা না করে নিচের ‘চিকন আলীদের’ টানাহেঁচড়া করলে হয়তো বাহবা পাওয়া যাবে, কিন্তু আসল প্রাপ্তি হবে মাকাল ফল। বিশেষ করে পুলিশে নিয়োগ, পদোন্নতি, পদায়ন হতে হবে মেধা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে। এ ক্ষেত্রে লবিং অথবা টাকার বস্তা নিয়ে ছোটাছুটির ধারায় যেন ছেদ রেখা স্পষ্ট হয়। এ ব্যাপারে দুটি উদাহরণ দেওয়া যাক। ওয়ান ইলেভেন সরকারের সময় নূর মোহাম্মদ আইজিপি হয়েছেন। কিন্তু তিনি এটি জেনেছেন অর্ডার ইস্যু হওয়ার পর সেই সময়ের আইজিপি খোদা বক্স চৌধুরীর মাধ্যমে। আইজিপি হওয়ার জন্য তাকে কারও দুয়ারে ধরনা দেওয়া তো দূরের কথা, নকও করতে হয়নি। শুধু সর্বোচ্চ পর্যায় নয়, এমন উদাহরণ আছে মাঠপর্যায়েও। বিগত সরকারের শেষদিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে এক কমিশনারের সময় অর্ডার ইস্যু হওয়ার পর ওসি পোস্টিংয়ের বিষয়টি জানা যেত। এ ক্ষেত্রে কোনো তদবির অথবা দেন-লেনদেনের সুযোগ ছিল না। এই পুলিশ কর্মকর্তা বর্তমানে ডাম্পিং পোস্টিংয়ে আছেন। অবশ্য হাসিনা সরকার টিকে গেলে ওই পুলিশ কমিশনারের চাকরিই হয়তো চলে যেত। উল্লিখিত উদাহরণ দুটি নিশ্চয়ই ব্যতিক্রম। সামগ্রিক চিত্রের প্রতিফলন নয়। যদিও উল্লিখিত উদাহরণের মতোই হওয়া উচিত পুলিশের পুরো বিষয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থাকা ব্যক্তিকে ‘পুলিশ মন্ত্রী’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এ হিসেবে বর্তমান পুলিশ মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আর চট্টগ্রামের কৃতী সন্তান খোদা বক্স চৌধুরী গত নভেম্বর থেকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী কর্মে নিয়োজিত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উল্লিখিত দুজনের সততা প্রশ্নাতীত। আর খোদা বক্স চৌধুরী তো কর্মসূত্রে পুলিশের নাড়ি-নক্ষত্র সবই জানেন। তিনি আইজিপি ছিলেন ২০০৬ সালের ২ নভেম্বর থেকে পরের বছর ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। এর আগে তিনি এক দিনের জন্য র্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন। পুলিশের চাকরি করার সময় হাসিনা সরকারের চরম রোষানলের শিকার হয়েছেন। পুলিশের হাঁড়ির খবর তার চেয়ে আর কেউ বেশি জানেন বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। ফলে পুলিশ বাহিনীকে রাইট ট্রাকে স্থাপনের সঠিক সময় এখনই। কোনো কারণে অথবা অজুহাতে এ কাজটি এখন করা না গেলে বিষয়টি সোনার পাথর-বাটি হিসেবেই তোলা থাকবে!
পুলিশ সপ্তাহ-২০২৫ উদ্বোধনকালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যথার্থই বলেছেন, ‘স্বৈরাচারী শাসনের অবৈধ আদেশ পালন করতে গিয়ে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা জনরোষের শিকার হয়েছেন।’ পুলিশ ও জনগণের মধ্যে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, তা কমিয়ে এনে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। পুলিশ জনগণের বন্ধু উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, ‘পুলিশ বাহিনীকে সেই ভাবমূর্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’ কিন্তু এটি কীভাবে হবে? নিশ্চয়ই তাবিজ-কবজ দিয়ে হওয়ার নয়। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সরকারকেই এবং এজন্য পুলিশ বাহিনীর মেরুদণ্ড শক্ত করতে হবে দ্রুত। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য, ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের কথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে পুলিশ সদস্যদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।’ প্রধান উপদেষ্টা ঠিকই বলেছেন। কারণ রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে একমাত্র দৃশ্যমান শক্তি হচ্ছে পুলিশ। পোশাক, অস্ত্র, আইনের দ্বারা সজ্জিত এবং বৈধ ও আইনি ক্ষমতা প্রয়োগের জন্যে রাষ্ট্রের কাছে দায়বদ্ধ পুলিশ। এখন এ প্রতিষ্ঠানটির মনোজগতের পরিবর্তন দরকার। এ বাহিনীর কাছে জনগণের চাহিদা কিন্তু খুব বেশি নয়। অল্প ও যৌক্তিক। জনবান্ধব, সহানুভূতিশীল ও মানবিক পুলিশ চায় মানুষ। পেশাদারিত্বের সঙ্গে আইনি কাঠামোর মধ্য থেকে কাজ করবে, সেবা দেবে। ক্ষমতাসীন মহলের সেবাদাস হবে না। সর্বক্ষেত্রে প্রমাণ করতে হবে ‘ভালো কাজের পুরস্কার, মন্দ কাজের শাস্তি’। প্রতিষ্ঠান প্রধানের সক্ষমতা নির্ধারণ করবে পুলিশের শিরদাঁড়া কতটুকু শক্ত হলো। সংস্কার, পুলিশ কমিশন নিয়ে এত কথা হচ্ছে এর শেষ কোথায়? চূড়ান্ত বিচারে রাজনীতিবিদরাই দেশ চালাবেন। ফলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা, প্রতিশ্রুতি, অঙ্গীকারই পারে পুলিশের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে, ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে। ভয়কে জয় করতে না পারলে, ভয়কে সমীহ করতে থাকলে মহাপ্রলয়, সুনামির পুনরাবৃত্তি ঘটার আশঙ্কা থেকেই যায়। মনে রাখতে হবে, সাহস নিয়ে সবাই জন্মায় না। বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে সাহস সঞ্চারিত হয়। সেটি ধারণ করার বিষয়। এটি করা গেলে সবাই সাহসী হয়ে ওঠে। আশার চর্চা করেই যেতে হবে। আশাবাদী হতে হবে। একদিন পুলিশ জনতার পুলিশ হবে, পুলিশ জনগণের পুলিশ হয়ে উঠবে হয়তো। তবে এজন্য ল্যাম্পপোস্টের সুইচ সঠিক স্থানে, যোগ্য মানুষের হাতে থাকতেই হবে। তা না হলে সবই হবে বাগাড়ম্বর!
লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
মন্তব্য করুন