গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার কার্যক্রম শুরু হয় ২০২৫-এর জুলাই মাসে। আগস্টের ৩০ তারিখ ইতালির জেনোয়া ও ৩১ তারিখ স্পেনের বার্সেলোনা থেকে ছেড়ে যায় প্রথম দুটো জাহাজ। এরপর ইউরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন বন্দর থেকে যোগ দেয় বাকি জাহাজ-নৌকাগুলো। মানবিক সহায়তা নিয়ে ৪২টি নৌকায় ৫০০-এর অধিক মানবাধিকারকর্মী যাত্রা করেন গাজার জলসীমার উদ্দেশে, ইসরায়েলের ১৮ বছর পুরোনো ব্লকেড ভাঙতে। কিন্তু অক্টোবরের ১ থেকে ৩ তারিখের মধ্যে অভিযান চালিয়ে সব জাহাজ-নৌকা আটক করে বাজেয়াপ্ত করে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বেসামরিক নৌবহর ছিল এটি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার যুদ্ধোন্মত্ত মন্ত্রিসভাকে এ ব্যাপারে অবগত করা উচিত ছিল যে, রাষ্ট্র যখন টানা দুই বছর ধরে সাতটি ফ্রন্টে যুদ্ধ চালাচ্ছে, তখন নতুন এক সংঘাতের দুয়ার খোলার আগে একটু ভেবে দেখা বুদ্ধিমানের কাজ। মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে না দেওয়াটা আন্তর্জাতিক অপরাধ। দখলদার সরকার অন্তত এ জাহাজগুলোকে গন্তব্যে পৌঁছাতে দিলে হয়তো তাদের জন্য এ পর্বটি ভিন্নরকম হতে পারত। বিশেষত এখন, যখন গাজায় হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসযজ্ঞের পর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ইসরায়েলের ভাবমূর্তি কলুষিত হয়ে গেছে এবং রাষ্ট্রটি আজ বৈশ্বিক পরিসরে আগের চেয়ে অনেক বেশি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
তবুও প্রশ্ন থেকে যায়—কী এমন উন্মত্ততা কাজ করেছিল নেতানিয়াহুর সরকারের মধ্যে, যে তারা মানবিক সহায়তা নিয়ে যাত্রা করা সাধারণ নাগরিকদের নৌযানকে প্রতিহত করতে সমুদ্রপথে অস্ত্রসজ্জিত যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে দিল? এ যাত্রার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল প্রায় দুই দশক ধরে চলমান গাজা অবরোধ ভেঙে ক্ষুধার্ত ও নিঃস্ব মানুষদের কাছে খাদ্য এবং চিকিৎসাসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া। ইসরায়েল শুধু এ অভিযানে বাধা দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, জাহাজগুলোতে অবস্থানরত শান্তিকর্মীদের গ্রেপ্তার করে তাদের ওপর নির্যাতনও করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একটি আধুনিক রাষ্ট্রের পক্ষে এমন আচরণ করাটা কি আদৌ বাঞ্ছনীয়?
এ সংঘাতের একদিকে একটি সুসজ্জিত আধুনিক নৌবাহিনী, অন্যদিকে কতগুলো বেসামরিক নৌকায় অবস্থানরত ৫০০ মানবাধিকারকর্মী; সংঘাতের ফল কী হবে, তা নিয়ে কারও কোনো সংশয় ছিল না। কিন্তু প্রশ্ন শুধু একটাই—এভাবে বাধা দেওয়ার মানে কী? বাধা দিয়ে কী লাভইবা হলো? এই মানবিক উদ্যোগে অংশ নেওয়া কর্মীদের প্রধান উদ্দেশ্য গাজায় সহায়তা পৌঁছানো হলেও, এর পেছনে তার থেকে বড় একটি অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্যও রয়েছে। সেটা হলো, বিশ্বকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া যে, গাজা এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেখানে চলছে খাদ্য ও বাসস্থানের সংকট, চিকিৎসা ও ওষুধের সংকট আর তার চেয়েও বড় সংকট হলো ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে সংঘটিত নিরন্তর মৃত্যুমিছিল। কিন্তু ইসরায়েল এমনভাবে অতিপ্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে যে, তারা নিজ উদ্যোগে সুমুদ ফ্লোটিলার উদ্দেশ্য সফল করে দিয়েছে।
নেতানিয়াহু সরকারের কর্মকাণ্ডে বিরক্তির ছাপ স্পষ্ট। কয়েক ডজন নৌকায়, কয়েকশ শান্তিকর্মীর সঙ্গে ছিলেন জলবায়ু আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব গ্রেটা থুনবার্গ, তাই বিশ্ববাসীর নজর ছিল এ যাত্রার দিকে। প্রতিবাদকারীদের হেনস্তা করলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সেই খবর ছড়িয়ে পড়বে—এ ব্যাপারটা ইসরায়েলের সামরিক কর্তৃপক্ষের কাছে নিশ্চয়ই অস্বস্তিকর বিষয় ছিল। কিন্তু এ কর্মীরা কোনোভাবেই ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি ছিলেন না। তাদের কার্যকলাপ ছিল সম্পূর্ণ বৈধ। প্রতিবাদ করার অধিকার—প্রতিটি আধুনিক রাষ্ট্রের সংবিধিবদ্ধ মৌলিক অধিকার। ইসরায়েল নিজেকে পশ্চিমা আদলের গণতন্ত্র বলে দাবি করে। তাহলে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ও সংরক্ষিত গণতান্ত্রিক অধিকারচর্চায় তার সামরিক বাহিনী এভাবে বাধা দিচ্ছে কেন?
নেতানিয়াহুর সরকার ও তার মন্ত্রিসভা ধীরে ধীরে একনায়কতান্ত্রিক রূপ ধারণ করছে। ইসরায়েলের ১৯৪৮ সালের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে যেই গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, সেই গণতান্ত্রিক কাঠামো বর্তমানে ইসরায়েলে নেই। নেতানিয়াহু সরকারের দায়িত্ব ছিল রাজনৈতিক সুশীল সমাজ ও আন্তর্জাতিক সক্রিয়তাকে সম্মান জানানো, তা যত অস্বস্তিকরই মনে হোক না কেন। মতবিরোধ থাকলে তা সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করাই সভ্য রাজনীতির রীতি। যেখানে গণতন্ত্রের প্রথম দাবিই কথোপকথন, সেখানে কথার বদলে বুলেটের রাজনীতির চর্চা করছে ইসরায়েল।
নৌকায় থাকা শান্তিকর্মীরা বোকা ছিলেন না। তারা জানতেন, এ সামান্য সহায়তা পাঠিয়ে গাজার মানবিক বিপর্যয় তারা নিরসন করতে পারবেন না। তাদের প্রতিবাদ ছিল প্রতীকী; একটি রাজনৈতিক ও মানবিক আহ্বান, যা বিশ্ববাসীর কাছে গাজার ভয়াবহ বাস্তবতা তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। বিশ লক্ষাধিক মানুষ অনিরাপদ জীবনযাপন করছে। আজ প্রাণ আছে, কাল থাকবে কি না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। বিশ্বের সবচেয়ে বড় শক্তিগুলো নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এমন পরিস্থিতিতে সুমুদ ফ্লোটিলার এ উদ্যোগ ছিল সাহসী এবং এক সৃজনশীল প্রতিবাদের নিদর্শন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বিচক্ষণ হলে এসব নৌকাকে গাজায় পৌঁছাতে দিত। সহায়তা নামানোর পর তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে, নিরাপত্তার স্বার্থে সেখান থেকে সরিয়ে দিতে পারত। এমন আচরণ তাদের রাষ্ট্রের মানবিক দিক উন্মোচন করত এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইসরায়েলকে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে, নেতানিয়াহুর সরকারে নেই সেই প্রজ্ঞা, নেই সংযমের বোধ। আছে শুধু ক্ষোভ, বিদ্বেষ আর অপ্রয়োজনীয় সামরিক শক্তি প্রদর্শনের অভিলাষ। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার বিরুদ্ধে যে শক্তিপ্রয়োগ করা হলো, আন্তর্জাতিক জলসীমায় সেটি ছিল আইনবহির্ভূত এবং রাজনৈতিকভাবে একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মাসের শুরুতেই নেতানিয়াহু নিজে দুটি নৌকার বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের অনুমোদন দেন। নৌকাগুলো যখন তিউনিসিয়ার সিদি-বু-সাইদ বন্দরের কাছে নোঙর করা ছিল, তখন ইসরায়েলি বাহিনী সাবমেরিন থেকে ড্রোন পাঠিয়ে সেসব নৌকার ওপর দাহ্য বোমা ফেলে। এতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। অথচ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এ ব্যাপারে স্পষ্ট যে, সাধারণ জনগণ বা বেসামরিক স্থাপনার বিরুদ্ধে দাহ্য অস্ত্রের ব্যবহার শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
জাতিসংঘের সমুদ্র আইনেও বলা আছে, কোনো রাষ্ট্রের সার্বভৌম জলসীমা তার উপকূল থেকে সর্বোচ্চ ১২ নটিক্যাল মাইল বা ১৯ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। অথচ ইসরায়েলি বাহিনীর এ অভিযান শুরু হয়েছিল গাজার উপকূল থেকে প্রায় ৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে—অর্থাৎ, সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক জলসীমায়। তার ওপর গাজা ইসরায়েলের অংশ নয়। গাজার জলসীমায় ইসরায়েলি নৌবাহিনীর অভিযান পরিচালনার কোনো এখতিয়ার নেই।
২০০৭ সাল থেকে ইসরায়েল গাজার জলসীমা দখল করে রেখেছে। সমুদ্রপথে চলাচলের স্বাধীনতা আন্তর্জাতিক আইনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। এ সরকারের নীতিতে যা সবচেয়ে বিস্ময়কর, তা শুধু এর নৃশংসতা নয়, বরং এর অবিবেচনাপ্রসূত নির্বুদ্ধিতা। তারা যেন ইচ্ছাকৃতভাবেই এমন সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যা রাষ্ট্রের নিজের ক্ষতি ডেকে আনবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বারবার নিজেদের বিরুদ্ধে ঘৃণার স্রোত জাগিয়ে তুলছে তারা।
সুমুদ ফ্লোটিলার আগেও একাধিকবার গাজার উদ্দেশে সমুদ্রপথে অভিযান সংগঠিত করা হয়েছিল, প্রতিবারই ইসরায়েলি বাহিনী তা রুখে দিয়েছে। এমনকি মানবাধিকারকর্মীদের জোর করে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং পরবর্তীকালে ইসরায়েলের ভূখণ্ড ও জলসীমা থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। তখন বিশ্বজুড়ে যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া গঠিত হয়েছিল, সেটিই এবার নতুন বহর গঠনে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
ইসরায়েলের দুঃসাহসী আচরণের কারণে মানবাধিকারকর্মীদের সহায়তায় ইতালি ও স্পেন নিজেদের নৌবাহিনীর টহল জাহাজ পর্যন্ত মোতায়েন করেছিল, যেগুলো সুমুদ ফ্লোটিলাকে নিরাপত্তা দিয়ে গাজার ১৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত নিয়ে গেছে। কিন্তু তারা আগেই স্পষ্ট করেছিল যে, ইসরায়েলি নৌবাহিনীর সঙ্গে তারা সরাসরি সংঘর্ষে জড়াবে না। এদিকে গাজার অবরোধ ও নৌবহর আটকানোর ঘটনায় ইউরোপের প্রধান শহরগুলোতে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছে। মনে হচ্ছে যেন ইসরায়েলের নীতিনির্ধারকরা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ধ্বংসের পথে হাঁটছেন এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে বিশ্বকে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করে তুলছেন।
অনেকেই বলছেন যে, ইসরায়েলের সরকার মিথ্যা প্রচারণা ও প্রতারণায় অত্যন্ত দক্ষ, এ বিপরীত পরিস্থিতি থেকেও তারা চতুরতার সঙ্গে বের হয়ে আসবে। কিন্তু সত্যি বলতে, গাজায় যা ঘটছে, তাকে কোনো প্রচারকৌশল দিয়েই গ্রহণযোগ্য করে তোলা সম্ভব নয়। বরং ইসরায়েলের মিথ্যা প্রচারণার স্বভাব বিশ্ববাসীর সামনে আস্তে আস্তে উন্মোচিত হয়ে যাচ্ছে। কেউ তাদের সমালোচনা করলেই তাকে ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ আখ্যা দেওয়া এবং অতিরঞ্জিত প্রতিক্রিয়া দেখানোর কৌশলটা আর আগের মতো খাটছে না। এখন এমনটা করলে সেটা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তিকে আরও বিপজ্জনকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
এ বছরের শুরুতে দুজন ব্রিটিশ সংসদ সদস্য ইসরায়েল সফর করেন, কিন্তু তাদের দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। কোনো প্রমাণ ছাড়াই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয় যে, তারা ‘বিদ্বেষ ছড়াতে’ ইসরায়েলে এসেছেন। অথচ তাদের বাধা দেওয়াই ছিল প্রকৃত বিদ্বেষের প্রতিফলন এবং যে কোনো বক্তব্যের চেয়ে বহুগুণ বেশি ক্ষতিকর।
আজ ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের প্রায়ই অভিযোগ করতে শোনা যায়—‘বিশ্ব আমাদের ঘৃণা করে’। কেউ কেউ হয়তো সত্যিই করে, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ আসলে ঘৃণার কারণে নয়, বরং মানবতার বোধ থেকেই গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। শিশু ও বৃদ্ধদের নিরীহ মৃত্যু, আশ্রয়হীন মানুষের দুর্দশা এ বাস্তব চিত্রই মানুষের বিবেককে নাড়া দেয়। অথচ ইসরায়েল সেই সমালোচনাকেও ষড়যন্ত্র বলে চালিয়ে দেয়, যেন ভয় ও জাতীয়তাবাদের উত্তেজনা জিইয়ে রেখেই ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় নেতানিয়াহুর সরকার।
ইতিহাস বারবার প্রমাণ করেছে, অবিবেচনা ও অহংকারের জোট দীর্ঘস্থায়ী হয় না। রাষ্ট্র যত শক্তিশালীই হোক না কেন, তার নৈতিক পতন অবধারিত হয় তখনই, যখন তার সরকার রাষ্ট্রকে প্রতিরক্ষার নামে তার প্রতিচ্ছবিকেই ধ্বংস করতে শুরু করে। ইসরায়েলের বর্তমান নেতৃত্ব হয়তো এ ব্যাপারটা ভুলে গেছে। কিন্তু বিশ্ব ভুলবে না। মানবতার বিরুদ্ধে যেই শক্তি অস্ত্র তুলেছে, অসহায় শিশুদের নির্দ্বিধায় হত্যা করেছে, নিরীহ মানুষের জীবনে দুর্ভিক্ষ ডেকে এনেছে, বিশ্ব তার কর্মকাণ্ডকে ভুলবে না, বরং দীর্ঘকাল স্মরণ রাখবে।
লেখক: লন্ডনের রিজেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক চেয়ারম্যান এবং ব্রিটেনের ‘রয়াল ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স’-এ মেনা প্রোগ্রামের সিনিয়র ফেলো। নিবন্ধটি আরব নিউজের মতামত বিভাগ থেকে
অনুবাদ করেছেন অ্যালেক্স শেখ
মন্তব্য করুন