মোস্তফা কামাল
প্রকাশ : ২৩ মার্চ ২০২৪, ০৩:২৪ এএম
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২৪, ০৮:৩৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

মাংস খলিলে: পদক জিয়াউলে

মাংস খলিলে: পদক জিয়াউলে

বাজারে গরুর মাংসের কেজি বিকিকিনি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। সেখানে দ্রব্যমূল্যের দাবদাহের মধ্যে ৫৯৫ টাকা কেজিতে গরুর মাংস পাওয়া একটি মোটাদাগের ঘটনা। মাপে একটু কম হলেও, হাড্ডি-চর্বি পরিমাণে কিছুটা বেশি হলেও এই দামে গরুর মাংস পাওয়া অবশ্যই ঘটনা বিচারে টক অব দ্য কান্ট্রি। রাজধানীর শাহজাহানপুর, খিলগাঁও, মালিবাগে গরুর মাংসের এই দর চালু করা ব্যক্তির নাম খলিল। কাজের সুবাদে গরুর মাংসের নাম হয়ে গেছে খলিলের মাংস। তার দেখাদেখি মিরপুর-১১ নম্বরসহ আশপাশের কয়েক জায়গায় নাম পড়েছে উজ্জ্বলের মাংস। ব্যবসায় টিকতে আশপাশের দোকানগুলোকেও দাম কমাতে হয়েছে। খলিল আর উজ্জ্বলের একই কথা—তারা জনসেবার শরিক হয়েছেন। রমজানে বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা সব জিনিসের দাম কমিয়ে রাখে। বিষয়টি মাথায় রেখেই তাদের এ উদ্যোগ। তারা তা ভর্তুকি বা লোকসান দিয়ে করছেন না। লাভ ঠিকই করছেন। পরিমাণে কম। বেশি বিক্রিতে শেষমেশ লাভ একেবারে কমও করছেন না। প্রশ্ন তো এসেই যায়, ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে তাহলে কত বেশি লাভ গোনা হচ্ছে?

প্রশ্ন বা জবাবের দিকে না গিয়ে, বাজারের উত্তাপের দিকে না গিয়ে খলিল-উজ্জ্বলদের নিয়ে মাতামাতিতে এমন এক আবহ তৈরি হয়েছে, যেন তারাই বাংলাদেশ! খলিল এ দামে মাংস বিক্রি করছেন আরও অনেকদিন আগে থেকেই। এ নিয়ে অন্তহীন ক্যাচাল চলছে প্রায় বছরখানেক ধরেই। মাঝে খলিলকে হত্যার হুমকি দেওয়া নিয়ে থানা পুলিশও হয়েছে। ঢাকার বাইরে কয়েক জায়গায়ও কেওয়াজ বেধেছে। কম দামে মাংস বিক্রির অপরাধে রাজশাহীতে এক কসাই আরেক কসাইকে গলা কেটে হত্যা করে। যেন মাংসই বাংলাদেশের একমাত্র ঘটনা। ঢাকার শাহজাহানপুরে খলিলের গোশত বিতান নতুন করে উদ্বোধনে ছুটে গেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। তার ভাষায় এটি ছাড়কৃত মূল্যে পণ্য বিক্রিকে উৎসাহ দেওয়া। প্রকারান্তরে তার বিশাল এক সাফল্য জানান দেওয়া। খলিলকে সেরা ব্যবসায়ী হিসেবে পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণাও দিয়ে এসেছেন তিনি। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি খলিলকে নিরাপত্তা দেওয়ার আহ্বানও জানান। ঘটনা ও বাস্তবতার কী ফের! কম দামে কেউ কোনো পণ্য বিক্রি করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেওয়া। সেরা ব্যবসায়ীর পদক দেওয়া। কী হাইপে তুলে দেওয়া হলো গরুর গোশতকে। ভাইরাল হওয়ার সহজ রাস্তাও হলো এটি। কোনোরকম কমদামে প্রোডাক্ট দিতে পারলেই হয়েছে, গরিবের বন্ধু, সিন্ডিকেট ব্রেকারসহ বহু তকমা মিলবে। তা ভাইরাল হওয়ার প্রবণতায় হোক আর সৎ উদ্দেশ্যেই হোক।

গরু বা মাংসের ব্যবসা আসলে সহজ নয়। না বুঝে এ ব্যবসা করতে গিয়ে কতজন লাটে উঠেছে সেই তথ্য সামনে খুব কমই আসে। এ ব্যবসায় জড়িয়ে মার খাওয়াদের সূত্রে রীতিমতো পিলে চমকানো এমন সব তথ্য জানার সুযোগ হয়েছে, যার কিছু উল্লেখ করা এ সময়ের জন্য জরুরি। তরুণ, উদ্যমী, সৎ কিন্তু অনভিজ্ঞ উদ্যোক্তারা প্রথম ধরা খায় গরু সিলেকশনে। তারা বাজারে গিয়ে সুন্দর দেখে সুস্থ, সবল, ছোট ষাঁড় গরু কিনে নিয়ে আসে। ঈদের সময় আমরা সাধারণত যে গরুগুলো দেখে বা খেয়ে অভ্যস্ত, সেগুলো। মাংস খুব সুস্বাদু হলেও এগুলো কিন্তু আমাদের টিপিকাল মাংসের গরু নয়, মানে আমরা বাজার থেকে ৭০০-৭৫০-৮০০ টাকায় যে গরুর মাংস কিনে খাই সেগুলোতে এই গরুগুলো কখনোই দেওয়া হয় না। বাজারে সাধারণত বড় বড় ক্রস গরু জবাই হয়। বাচ্চা দিতে দিতে বয়োবৃদ্ধ, বাতিল, হাড্ডিসার বাঞ্জি গরু এবং মোস্ট ইম্পোর্টেন্টলি খামার বা গৃহস্থের অসুস্থ, মৃতপ্রায় গরু জবাই দেওয়া হয় বেশি। বাজারে এগুলোকে ‘কাটাই গরু’ বা ‘কসাই গরু’ বলে। এ গরুগুলো দিয়েই কসাইদের ৭০০-৭৫০ টাকায় মাংস বিক্রি করতে নাভিশ্বাস উঠে যায়। সেখানে তরুণ উদ্যমী, শেকলভাঙা উদ্যোক্তারা ঈদের গরু কিনে এনে ৭০০ টাকার নিচে মাংস বিক্রি করতে চায়। এই গরুগুলোর সারা বছর মার্কেট প্রাইস ৮৫০-৯০০ টাকার নিচে কখনোই নামে না। তরুণ উদ্যোক্তারা দ্বিতীয় ধাপে ধরা খায় গরু কেনার সময়। দেশের অধিকাংশ হাট ব্যাপারী, ফড়িয়া বা দালালদের দখলে চলে গেছে। গ্রামের গৃহস্থ আর গরুর হাটে আসে না, বাড়িতেই দালালের হাতে গরু তুলে দেয়। আর সবচেয়ে চতুর লোকটি করে গরুর দালালির কাজ। এরা শুধু চতুরই নয়, মিথ্যুক এবং নির্দয় প্রকৃতির। গরু বিক্রির জন্য হেন কোনো ছলাকলা নেই এরা করে না। তরুণ উদ্যোক্তারা তিন নম্বর ধরা খায় কশাইয়ের কাছে। একেকটা গরু থেকে একজন কসাই মিনিমাম দশ কেজি মাংস নিয়ে যাবে, যাবেই, ঠেকানোর কোনো পথ নেই। কসাই চোখের সামনে দিয়েই মাংস নিয়ে চলে যাবে, বোঝারও উপায় নেই।

পাকা কসাইরা দুই মিনিটের মধ্যে একটা গরু নিস্তেজ করে ফেলে। তারা জবাইয়ের সঙ্গে সঙ্গে মেইন ভেইনটা কেটে দেয়, গলার নলিটা ফেড়ে দেয়। এতে দুই কেজি রক্তও বের হয় না। পুরো রক্ত মাংসে থেকে যায়। গরু ব্লিডিংয়ের কারণে মরে না, মরে স্ট্রোক করে। অর্থাৎ ৫-৭ কেজি রক্ত মাংসেই মিশে থাকে। এরপর ভুঁড়ি বের করার পর শুরু হয় পাম্পিং, মাংসে পানি ঢোকানো। কারও কারও ধারণা কসাই মাংস বের করার পর সেটা পানিতে চুবিয়ে ওজন বাড়ায়। এভাবে কিছু ওজন বাড়ানোর পর মেইন পাম্পিংটা করা হয় কলিজার নিচে একটা ভেইনের মাধ্যমে। রক্ত বের হয়ে যাওয়ার পর মাংসে যে শূন্যস্থান তৈরি হয় সেটাতে এই ভেইনের মাধ্যমে পানি দিয়ে পূর্ণ করে একদম ম্যাজিকের মতো। একটা গরুতে পাম্পিংয়ের মাধ্যমে ১৫-২০ এমনকি এক মণ পর্যন্ত পানি খাওয়ানো যায়। বাজারের অধিকাংশ কসাই ওজনে কম দেয়। সেই কারসাজিতে তারা রপ্ত। হোম ডেলিভারি দেওয়া তরুণ উদ্যোক্তারা তা কখনোই করে না, করবে না। প্যাকিংয়ের পর বাসা পর্যন্ত যেতে ওয়েট লস হবে, ক্লায়েন্ট যাতে অভিযোগ না দেয় সেজন্য উদ্যোক্তা কেজিতে ১০-১৫ গ্রাম করে বেশি দেয়। কসাই-ক্লায়েন্টের হাড়-চর্বি নিয়েও একটা দ্বৈরথ চলে। বাজারের কসাইয়ের হাড়-চর্বি গছিয়ে দেওয়া বাসায় না আসা পর্যন্ত মালুম করা অসাধ্য। একটা গরুতে মাংস হয়, চর্বি-হাড্ডিও হয়। কসাই সবই এস্তেমাল করে ছাড়ে। এ ছাড়া ফিড খাওয়ানোর কারণে এখনকার অধিকাংশ গরুতে চর্বির আধিক্য বেশি থাকে। নতুন উদ্যোক্তারা বিশ্বাস তৈরি করতে এ চর্বিগুলো ফেলে দেয়। কখনো কখনো তা ১০ থেকে ১৫ কেজিও হয়। মানে হাজার দশেক টাকা শেষ।

গরুতে মাংসের বাইরে স্পেয়ার পার্টসের মতো কলিজা, ফ্যাপসা, পায়া, মগজ, জিহ্বা, মাথা, ভুঁড়ি, চামড়া থাকে। কসাইদের এ থেকেও ১০-১২ হাজার টাকার একটা প্যাকেজ ব্যবসা আছে। কসাইদের টার্গেট থাকে মাংস বেচে চালান ওঠানো আর স্পেয়ারগুলো থেকে লাভ ওঠানো। কসাইর কাছে একটি গরুর রক্ত বাদে আর মোটামুটি সবই বিক্রিযোগ্য। কিন্তু উদ্যোক্তাদের তা জানার বাইরে। তার জানা আছে শুধু মাগনা বা আধামাগনা দামে চামড়া বিক্রি। বাজারের কসাই পানি মেরে তিন কেজির কলিজাকে ৮-১০ কেজি বানায়। ভুঁড়িকে বানায় ২০ কেজি, মগজ ফুলেফেঁপে ওঠে। কিন্তু চুপসানো কলিজা, ভুঁড়ি, মগজ মানুষের পছন্দ হয় না। উদ্যোক্তারা আরেক ভোগান্তিতে পড়ে ডেলিভারিতে। শুকনা আইটেম ডেলিভারি দেওয়ার জন্য বেশ ভালো একটা ইকোসিস্টেম দাঁড়িয়ে গেছে। পাঠাও, স্টিডফাস্ট বেশ ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। কিন্তু কাঁচা মাংস ডেলিভারিতে তাদের সহযোগিতা পাওয়া কঠিন। বাজারের কসাই জায়গায় বসে দিনের মাংস দিনেই বেচে ফেলে। তরুণ উদ্যোক্তাদের সেই সুযোগ নেই। ফ্রোজেন করতে গিয়ে তারা পড়ে আরেক আপদে। নিজের বাসায় এক বছর আগের কোরবানির ঈদের ফ্রোজেন মাংস মানুষ খেয়ে অভ্যস্ত। কিন্তু নিজে ক্রেতা হলে এক সপ্তাহ আগের ফ্রোজেন মাংসতেও নাক ছিটকানি আসে। এমন বাস্তবতার মধ্যে খলিল-উজ্জ্বলরা যা করছেন, তা কম কথা নয়। তারা মাংসের জাত ব্যবসায়ী। তারপরও উদ্যোক্তার মতো তাদের এ কাজ কসাই রাজ্যের জন্য অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। তাদের সনদ ভূষিত করার ওয়াদা দিয়েছেন ভোক্তা অধিকারের ডিজি। তা যে পর্যায় বা যে মানের সনদই হোক। দই বিক্রেতার একুশে পদক প্রদানের রেকর্ড তো এরই মধ্যে দেখা গেছেই।

একুশে পদক পাওয়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের দই বিক্রেতা মো. জিয়াউল হকের পাঠাগারের জন্য জমি এবং ভবন তৈরি করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি তার স্কুলটিকে সরকারীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘একুশে পদক’ পাওয়া এ দইওয়ালা দারিদ্র্যের কারণে নিজে লেখাপড়া করতে পারেননি। এটা নিয়ে তার ভেতরে একটা দুঃখ যন্ত্রণা ছিল। কিন্তু তিনি থেমে থাকেননি। সাধারণ কাজ করে, দই বিক্রির ছোট্ট দোকান দিয়ে তিনি নিজের জীবন জীবিকা এবং সংসারের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছিলেন। পাশাপাশি অন্যের মাঝে জ্ঞানের আলো বিতরণ করার জন্য পাঠাগার তৈরি এবং সাধারণ মানুষকে পড়াশোনার সুযোগ করে দেন। একটি স্কুলও তৈরি করেছেন। জিয়াউল হককে পদক দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তাকে এ পুরস্কার তুলে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত; সারা দেশে যদি আমরা খোঁজ করি এরকম অনেক গুণী পাব। হয়তো দারিদ্র্য কিংবা সামাজিক কারণে তারা তাদের মেধা বিকাশের সুযোগ পাননি কিন্তু তারা সমাজকে কিছু দিয়েছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার মুসরিভূজা বটতলা গ্রামের ফেরি করে দই বিক্রেতা জিয়াউল হকের চেয়ে ঢাকার গরুর মাংস বিক্রেতা খলিল-উজ্জ্বলরা অবশ্যই অনেক সক্ষম সামর্থ্যবান। জিয়াউল হক কখনো ভাইরাল হননি। ভাইরাল কাকে বলে তাও জানেন না। সেলফি তোলাও হয়নি কখনো তার। একুশে পদকের নাম শোনা তো আরও বড় ব্যাপার। খলিল-উজ্জ্বলরা সেদিক থেকে উচ্চমানের। তারা অনেক চেনেন, জানেন। তাদের কাছ থেকে প্রত্যাশাও বেশি।

লেখক: সাংবাদিক-কলামিস্ট; ডেপুটি হেড অব নিউজ, বাংলাভিশন

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাঈদ খোকনের বক্তব্যের বিষয়ে কথা বলবেন না মেয়র তাপস

কিরগিজে সহিংসতার ঘটনায় ঢাকার উদ্বেগ

সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসছেন শিক্ষকরা

‘অটোরিকশা নিষিদ্ধ করার আগে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করুন’

বিএনপি এখন জনগণের আস্থার স্থল : আব্দুস সালাম

চট্টগ্রাম নগর আ.লীগের সম্মেলন অক্টোবরেই

রিজার্ভ সংকট জাতির জন্য অশনি সংকেত : ১২ দলীয় জোট

৫ দফা দাবিতে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির স্মারকলিপি প্রদান

চাঁদার টাকা রফাদফার সেই পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর প্রত্যাহার

বাজারে বিক্রি হচ্ছে অপরিপক্ব লিচু

১০

‘সবুজ ও জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় বহুমুখী প্রচেষ্টা জরুরি’

১১

ঘুষ নিতে গিয়ে পুলিশ সদস্য আটক, অতঃপর...

১২

ঘূর্ণিঝড় রেমাল : নেওয়া উচিৎ যেসকল সতর্কতা

১৩

মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন স্থগিত

১৪

সমুদ্রে ৬৫ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

১৫

অভিনয়ের জন্য এক পয়সাও নেন না শাহরুখ খান

১৬

বাংলাদেশে আসার তারিখ জানালেন কুরুলুস উসমানের নায়ক 

১৭

আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালন 

১৮

বাংলাদেশ ব্যাংকে কি তাহলে মাফিয়া-ঋণখেলাপিরা ঢুকবে, প্রশ্ন রিজভীর

১৯

ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষায় নবীজি (সা.) যে দোয়া পড়তেন

২০
X