এনায়েত শাওন
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৩, ০২:২৮ এএম
আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২৩, ০৭:৪৯ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
হুঁশিয়ারি উপেক্ষা

আ.লীগের অনুষ্ঠানে ব্যানার বিড়ম্বনা

আ.লীগের অনুষ্ঠানে ব্যানার বিড়ম্বনা

আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিটি সমাবেশ কিংবা আলোচনা সভা, সবখানেই ব্যানারে ব্যানারে ছেয়ে যায় অনুষ্ঠানস্থল। মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে এসে ব্যানার গুটিয়ে ফেলার নির্দেশনা দেওয়া হলেও কেউ শোনে না কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ বা মহানগর কিংবা সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের কথা। প্রতিটি সমাবেশ ও আলোচনা সভাতেই ব্যানার নামিয়ে ফেলতে অনুরোধ ও হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয় দলের শীর্ষ নেতাদের।

এসব সমাবেশ ও আলোচনা সভায় আসা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড শাখা এবং সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পদপ্রত্যাশীদের বারবার অনুরোধ এমনকি বহিষ্কারের হুমকি দিলেও ব্যানারধারীরা নির্দেশ মানে না। সমাবেশে অসহায়ত্ব প্রকাশ করতেও দেখা যায় নেতাদের। সভা ও সমাবেশে বিরক্তি প্রকাশ করলেও নেওয়া হয় না কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা, নেই কোনো সচেতনতামূলক কর্মসূচি।

সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সমাবেশগুলোতে বিভিন্ন শাখাগুলোর নেতাকর্মীরা মিছিলসহকারে ব্যানার নিয়ে আসেন। সমাবেশস্থলে উপস্থিত হওয়ার পর মঞ্চের সবচেয়ে কাছেও ব্যানার উঁচিয়ে অবস্থান করেন। মঞ্চ থেকে দলের নেতারা অনুরোধ ও হুমকিতে ব্যানার একবার গুটিয়ে ফেললেও কিছুক্ষণ পর আবারও ব্যানার প্রদর্শন করতে দেখা গেছে।

গত শুক্রবার আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের শান্তি সমাবেশেও একই বিড়ম্বনায় পড়েন কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতারা। অন্তত দশজন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা উপর্যুপরি নিষেধ, অনুরোধ ও অসহায়ত্ব প্রকাশ করলেও কেউ শোনেনি তাদের কথা। একপর্যায়ে নেতারা ব্যানার গুটিয়ে ফেলা নিয়ে অনুরোধ করা বন্ধ করে দেন। এ ধরনের চিত্র এখন নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। সেই শান্তি সমাবেশে বক্তব্যের শুরুতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, সবাই বসেন, ব্যানার নামান। সব ব্যানার নামবে এক্ষুনি। তবু কাউকে ব্যানার গুটিয়ে ফেলতে দেখা যায়নি। বরং নতুন করে অনেক শাখা ব্যানার উঁচিয়ে ধরে রাখতে দেখা গেছে। বক্তব্য প্রদানকালে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান বলেন, আমি একটা অনুরোধ করি, এই পল্টনে আরেকটা সমাবেশ হচ্ছে, কিন্তু আপনাদের ব্যানারের কারণে এই জনসমুদ্র যদি ঢেকে যায়, কালকের ছবিতে যদি এই সভা ম্লান হয়ে যায় তবে আপনাদের এই ব্যানারের কী মূল্য আছে? এ প্রসঙ্গে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল কালবেলাকে বলেন, কষ্ট করে মিছিল নিয়ে আসে, আবেগের বিষয় জড়িত, এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তবে দলের বর্ধিত সভায় এ বিষয়ে দলের নেতাকর্মীদের সচেতন করা হবে।

অন্য দলীয় কর্মসূচিতেও দলের শীর্ষ নেতাদের একই ধরনের হুমকি ও অনুরোধ করতে দেখা গেছে। এমনকি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও বিভিন্ন সমাবেশের ব্যানার উঁচিয়ে রাখা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। জানুয়ারিতে এক অনুষ্ঠানে ব্যানার না নামালে বক্তব্য না দিয়ে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। গত ১২ জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের শান্তি সমাবেশেও তিনি ব্যানার নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া উচিত। সচেতন করার জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করা উচিত।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী শনিবার

ইতিহাসে এই দিনে কী ঘটেছিল?

অস্ট্রেলিয়ায় উদ্ভাবিত বিশ্বের প্রথম টাইটানিয়াম হার্ট মানবদেহে প্রতিস্থাপন

শনিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

শক্তিশালী পাসপোর্টে শীর্ষে সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশের অবস্থান কত?

২৭ জুলাই : নামাজের সময়সূচি

যে ভুলে মরতে পারে টবের গাছ

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদে ২৪ বছর ধরে চাকরি, অতঃপর..

ঝিনাইদহে ২৪ বছর ধরে ক্রিকেট ব্যাট বানাচ্ছেন ৩ ভাই

জামালপুরে ১০ মামলায় আসামি ২৩০৫, গ্রেপ্তার ৩২

১০

আনোয়ারা পারকি সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভিড়

১১

যাত্রী পারাপার কমেছে আখাউড়া স্থলবন্দরে

১২

সিলেটে ৭ চোরাই সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭

১৩

‘সাংবা‌দি‌কের ওপর হামলা নিঃস‌ন্দে‌হে ছাত্র‌দের কাজ নয়’

১৪

রাজশাহীতে সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তার ১১৬৩

১৫

ছাত্রলীগের রাজনীতি ছাড়ার ঘটনা নিয়ে সারজিসের ফেসবুক স্ট্যাটাস

১৬

তিন সমন্বয়ককে আটকের কারণ জানালেন ডিবিপ্রধান

১৭

দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আল জাজিরাকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার

১৮

পাকিস্তানের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস জয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

১৯

ময়মনসিংহে শিক্ষার্থীর ওপর হামলা-মারধর

২০
X