ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় আসাদুজ্জামান হত্যার দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো গ্রেপ্তার হননি মামলার প্রধান আসামি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাহাবুবুল আলম মনি। অভিযোগ উঠেছে, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও পৌর মেয়র বিল্লাল হোসেন সরকারের জামাতা হওয়ায় পুলিশ মনিকে গ্রেপ্তার করছে না।
এদিকে যুবলীগ কর্মী আসাদ হত্যার জের ধরে মুক্তাগাছা উপজেলা শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। প্রতিদিন বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। প্রতিবাদে গত ৪ সেপ্টেম্বর এলাকায় ঝাড়ু মিছিলের কথা ছিল। কর্মসূচির পক্ষে-বিপক্ষে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষ থাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে—এমন আশঙ্কায় ওইদিন উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ময়মনসিংহ ডিবির ওসি ফারুক হোসেন বলেন, এরই মধ্যে মামলার ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান আসামির বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে, আর ওয়ান সিক্সটি ফোরে যাদের নাম আসছে তাদের ধরা হচ্ছে। বাকি আসামি ধরতে অভিযান চলছে।
ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (এসপি) মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, ‘তদন্ত চলছে। তদন্তে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাব, তাদেরই গ্রেপ্তার করা হবে। এজাহার অনুযায়ী নয়, তদন্তে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া সাপেক্ষে গ্রেপ্তার করা হবে। এ হত্যা মামলায় এরই মধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
গত ২৮ আগস্ট রাতে শহরের আটানী বাজারে চায়ের দোকানে বসেছিলেন আসাদুজ্জামান। এ সময় বেশ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে আসাদকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। ঘটনার দুদিন পর ৩১ আগস্ট আসাদের ছেলে তাইব হাসান আনন্দ ৩০ জনের নামে মুক্তাগাছায় মামলা করেন।
মন্তব্য করুন