আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল ভারতে যাওয়ায় বিএনপি নেতাদের ঘুম নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, চার-পাঁচ দিন ধরে দেখছি সুর নরম হয়ে আসছে। একদফারও বেলা শেষ। দম ফুরিয়ে আসছে। চোখে-মুখে অন্ধকার দেখছে তারা। শুকিয়ে গেছে চোখ-মুখ। আমাদের প্রতিনিধিদল ভারত যাওয়ায় বিএনপি নেতাদের ঘুম নেই। বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে। প্রভু নেই। ক্ষমতায় বসাবে বাংলাদেশের জনগণ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্রলীগ আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, চীনের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে। এর আগে আওয়ামী লীগের এক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যের নেতৃত্বে কানাডায় গেছে প্রতিনিধিদল। এবার একটি প্রতিনিধিদল ভারতে গেছে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বর জেলহত্যার মাস্টারমাইন্ড উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড। প্রমাণ রয়েছে খুনিদের জবানবন্দিতে। তিনি ৩ নভেম্বরের মাস্টারমাইন্ড। তাদের ছেলে যুবরাজ মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পলায়ন করেছে আর রাজনীতি করবে না। চলে গেছে লন্ডনে। এখন রাজনীতি শুধু করে না, প্রতিদিনই বক্তব্য, পরামর্শ দেয়। আদালত বলেছেন, সে দণ্ডিত, তার বক্তব্য কোনো প্রচার যন্ত্রে প্রচার হবে না। তার পরও সে কেন করে যাচ্ছে। এটা তো আদালতেরও দেখার ব্যাপার আছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গমাতার শুভ জন্মদিনে আমি একটি বিষয়ে ফখরুল সাহেবের (বিএনপি মহাসচিব) কাছে আবারও জানতে চাই, একজন মানুষের কয়টা জন্মদিন থাকে? মির্জা ফখরুল, আপনি মাঝে মাঝে এমন ভাব দেখান আপনার মতো গণতান্ত্রিক ও মানবতাসম্পন্ন মানব আর বোধ হয় একটিও নেই। আপনি এমন সুন্দর করে মিথ্যা কথাকে সত্য বলে বয়ান করেন। আপনার নেত্রীর ছয়টা জন্মদিন কেন, আমি সে জবাব পাইনি। আপনারা আবারও ১৫ আগস্টে জন্ম দিবস পালন করবেন। আর কত।
আমেরিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা আমাদের গণতন্ত্রের ছবক দেয়, গণতন্ত্রের শিক্ষা দেয় আমি অবাক হলাম সেই দেশে নারী কেলেঙ্কারিসহ এমন কোনো কেলেঙ্কারি নেই, যে অভিযোগে অভিযুক্ত নয়। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ বাড়ছে, ততই তার পক্ষে জনমত বৃদ্ধি পাচ্ছে। জরিপে দেখেছি, ২০২৪-এ নির্বাচন সামনে রেখে এই মুহূর্তে বাইডেন ও ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা সমান সমান। এ বিষয়গুলো দেখে মাঝে মাঝে ভাবি বিশ্ব রাজনীতিতে যারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের মোড়ল-মাতব্বর তাদের নিজেদের দেশে গণতন্ত্র কেমন আছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের বিষয়ে তিনি বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হচ্ছে। সিদ্ধান্তটা সঠিক কী বেঠিক, তা জনগণের কাছে শুনব। আইনে যদি কোনো কারেকশনের দরকার হয়, সেটা আমরা করব।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন