কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:২৫ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

যেন স্বপ্নের মতো

যেন স্বপ্নের মতো

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে মাত্র ১৫ মিনিটে রাজধানীর ফার্মগেট থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পৌঁছানোর পর একটি প্রাইভেটকার চালক বিল্লাল ও যাত্রী সুমন-রাত্রির প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘সবকিছু স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছে। এত অল্প সময়ে এত পথ পাড়ি দেওয়া যাবে, কখনো কল্পনাও করিনি।’ এই উড়াল সড়কের সাড়ে ১১ কিলোমিটার উদ্বোধনের পর গতকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। প্রথম দিন গণপরিবহন চলাচল না করায় পুরো পথই ফাঁকা দেখা গেছে।

রাজধানীর যানজট নিরসনের লক্ষ্যে নির্মিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা থেকে তেজগাঁও অংশ সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার পর গতকাল সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ১০ ঘণ্টায় ৯ হাজারের বেশি গাড়ি এই পথ ব্যবহার করেছে। এসব গাড়ি থেকে ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৮৪০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। ছয়টির মধ্যে চারটি টোল আদায়ের কেন্দ্র দিয়ে যানবাহন পারাপার হয়। এ তথ্য জানিয়েছেন এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আখতার।

প্রকল্প পরিচালক জানান, কাওলা প্রান্তের টোল প্লাজা দিয়ে ৫ হাজার ৮০০টি গাড়ি, কুড়িল টোল প্লাজা দিয়ে ১ হাজার ১৩টি গাড়ি, বনানী টোল প্লাজা দিয়ে ৯৩২টি গাড়ি এবং তেজগাঁও টোল প্লাজা দিয়ে ১ হাজার ৬৯৫টি গাড়ি পার হয়েছে। এদিন মোট ৯ হাজার ৪৪০টি গাড়ি পার হয়েছে। এসব গাড়ি থেকে থেকে ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৮৪০ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে।

উড়াল সড়কের টোল নির্ধারণ করে কয়েকদিন আগে প্রজ্ঞাপন জারি করে সেতু বিভাগ। এ টোল শুধু প্রথম ফেজের জন্য প্রযোজ্য হবে। এ অংশ ব্যবহারের জন্য যানবাহনগুলোকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করে টোল দিতে হবে। সর্বনিম্ন টোল ৮০ এবং সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেতু বিভাগের সচিব মো. মনজুর হোসেন বলেন, নিরাপদ সড়কের কথা বিবেচনায় নিয়ে দুই ও তিন চাকার যানবাহন চলছে না। বিনিয়োগকারীর সঙ্গে চুক্তিতেও এসব যানবাহন চলার বিষয়টি নেই। তিনি বলেন, উড়ালসড়ক দিয়ে যত যানবাহন চলবে, তা নিচের সড়কে জায়গা বাড়িয়ে দেবে। ফলে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল নিচে দিয়ে চললেও যানজট কম হবে। দুই ও তিন চাকার যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি এখন বিবেচনায় নেই বলে তিনি জানান।

সরকারি-বেসরকারি যৌথ বিনিয়োগের (পিপিপি) ভিত্তিতে ঢাকার দ্রুতগতির উড়াল সড়কের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেতু বিভাগ। নির্মাণকাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা সরকার ব্যয় করছে। বাকিটা বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান খরচ করছে। এর বাইরে জমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও পরামর্শকদের পেছনে ব্যয়ে আলাদা একটি প্রকল্প আছে। এর পুরো অর্থই ব্যয় করছে সরকার। বর্তমানে এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে দুটি প্রকল্পে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জুলাই সনদে সই না করার ব্যাখ্যা দিলেন সারোয়ার তুষার

নোয়াখালীতে বর্ণিল আয়োজনে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

‘জুলাই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল কালবেলা’

নির্বাচন কীভাবে হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ঘরে আগুন ধরিয়ে দিল দুর্বৃত্তরা

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সেমিনার অনুষ্ঠিত

মৌলভীবাজারে বর্ণাঢ্য আয়োজনে কালবেলার ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

নারী ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় ব্যাটার

নির্বাচন বানচালের যে কোনো ষড়যন্ত্র সফল করতে দেওয়া হবে না : সেলিমুজ্জামান

লৌহজংয়ে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

১০

সিরাজদিখানে কালবেলার গৌরবময় ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

১১

আমরা এসএসসি বিরাশিয়ান চট্টগ্রামের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও বন্ধু সম্মিলন

১২

পিরোজপুরে কালবেলার ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

১৩

জুলাই যোদ্ধাদের নতুন কর্মসূচি

১৪

রাজবাড়ীতে ব্যতিক্রম আয়োজনে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

১৫

অনুষ্ঠানে যোগ দিলেও জুলাই সনদে সই করেনি যে দল

১৬

বান্দরবানের আলীকদমে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

১৭

কুমিল্লায় নানা আয়োজনে কালবেলার তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

১৮

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে কালবেলার বর্ষপূর্তি উদযাপন

১৯

জুলাই সনদ স্বাক্ষরে বিরত থাকার কারণ জানালেন আখতার

২০
X