কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ এএম
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:২৯ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ফার্মাসিউটিক্যালসে ঝুঁকি ও সুষ্ঠু নীতিমালা

ডা. মো. জাকির হোসেন
ফার্মাসিউটিক্যালসে ঝুঁকি ও সুষ্ঠু নীতিমালা

বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প একটি অধিক উন্নত এবং প্রযুক্তিনির্ভর বর্ধনশীল খাত। দেশের ওষুধ শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো অভ্যন্তরীণ চাহিদার শতকরা ৯৮ ভাগ মিটিয়ে বিশ্বের ১৫৭টির মতো দেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে আসছে, যা দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতায় ভূমিকা রাখছে। একই সঙ্গে জ্ঞান-গবেষণা ও প্রযুক্তিনির্ভর এ খাতের বিকাশ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশাল ভূমিকা পালন করে আসছে। এ অঞ্চলে ওষুধ শিল্পের যাত্রা শুরু হয় প্রায় ৭৫ বছর আগে ব্রিটিশ-ভারত শাসন আমলে। ষাটের দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগ চালু হওয়ার পর ঢাকা ও চট্টগ্রামে কিছু বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি তাদের কাজ শুরু করে। সেখান থেকেই দেশের ওষুধ শিল্পের বড় ধরনের যাত্রা শুরু হয়। এরপর দেশের কিছু উদ্যোক্তা সত্তরের দশকে এসে এই শিল্পে মনোযোগ দেন।

১৯৮২ সালে ওষুধ নীতিমালা প্রণীত হওয়ার পর ওষুধ শিল্প খাতে এক ধরনের প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি হয়। আর নব্বইয়ের দশকে এসে এটা পূর্ণ মাত্রা লাভ করে বললে ভুল হবে না। ১৯৯৪ সালে ওষুধের মূল্য নির্ধারণে একটি নীতিমালা তৈরি করা হয়। যার ফলে এই শিল্প খাতের সঠিকভাবে বিকশিত হওয়ার সোপান তৈরি হয়। উল্লিখিত নীতিমালার আওতায় ১১৭টি ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এনে বাকি সব ওষুধের মূল্য বাজারের ওপর নির্ভরশীল রাখা হয়। ফলে ওষুধের মানের প্রতিযোগিতা বাড়ে, মূল্য স্থিতিশীল থাকে এবং শিল্পের বিকাশও ঘটে। কিন্তু গত ৮ থেকে ১০ বছর ওই নীতি থেকে সরে গিয়ে সব ওষুধের মূল্যই কার্যত নিয়ন্ত্রণ করার প্রক্রিয়া রয়েছে।

এখানে আরও উল্লেখ্য, বিগত সরকারের আমলে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ওষুধের মূল্য-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গত বছর আদালতে একটি রিট দায়ের করে। এই রিটের কারণে সরকার একতরফাভাবে ওষুধের দাম, নতুন ওষুধের নিবন্ধন, মূল্য নির্ধারণ কমিটির মিটিং সবই বন্ধ করে রেখেছিল, যা এ খাতের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করে। এদিকে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের আগে এক হাজারের বেশি ওষুধ রেজিস্ট্রেশনের অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু সে বিষয়েও যে নীতি বা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে, তা একেবারেই ধীরগতিতে। আমরা বারবার মনে করিয়ে দেওয়ার পরও কার্যকর কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ গৃহীত হচ্ছে না। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন হয়ে গেলে পেটেন্ট রাইটের কারণে তখন নতুন ওষুধের রেজিস্ট্রেশন আর করা যাবে না। ফলে দেশীয় এ শিল্পের সক্ষমতা হুমকির মুখে পড়বে এবং মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির প্রবেশের দ্বার উন্মুক্ত হবে। এতে করে ওষুধের মূল্য আরও বেড়ে যাবে বলে অনুমিত।

এদিকে, ১৫ বছর ধরে সরকারের নীতিগুলো ওষুধ শিল্পবান্ধব না হওয়ার কারণে এ শিল্পের আরও যতটা বিকশিত হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি। ফলে ওষুধ শিল্প নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। ওষুধ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে তাই কিছু বিষয়ের প্রতি গভীর মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

প্রথমত, দেশের ওষুধ শিল্প খাত বরাবরই সরকার থেকে কোনো ধরনের প্রণোদনা সহায়তা পায় না। প্রণোদনা সহায়তা ছাড়াই এ খাতে দেশের এক বড় অংশের জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান ও দক্ষতা তৈরিতে বিরাট ভূমিকা রেখে চলেছে।

দ্বিতীয়ত, গত ছয় বছর ধরে দেশের ফার্মা মার্কেটের আকার ৩ বিলিয়নেই আটকে রয়ে গেছে। ফার্মা মার্কেটের এ আকার আর বৃদ্ধি পায়নি। ওষুধ খাতে প্রবৃদ্ধির গতি না থাকার কারণেই এমন হয়েছে।

তৃতীয়ত, গত দশ বছরে ওষুধের যৌক্তিক সামঞ্জস্যপূর্ণ দাম সমন্বয় করা হয়নি। ফলে আগের বেঁধে দেওয়া দামেই অতিপ্রয়োজনীয় ওষুধ বিক্রি করতে হচ্ছে। ওষুধের যৌক্তিক দাম সমন্বয় করা না হলে এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

চতুর্থত, এ মুহূর্তে প্রেসক্রিপশনের ক্ষেত্রে ‘জেনেরিক নাম’ ব্যবহারে এক ধরনের বাধ্যবাধকতা আরোপ করার প্রক্রিয়াও চলছে। জেনেরিক নামে যখনই ওষুধ লেখা হবে, তখন একজন রোগীকে ওষুধ দেওয়ার সিদ্ধান্ত অভিজ্ঞ চিকিৎসকের হাত থেকে একজন ওষুধের দোকানদারের হাতে চলে যাবে।

ওষুধ শিল্প খাতে এখন অনেক ধরনের সাফল্য দৃশ্যমান। ক্যান্সার, কিডনি, লিভারসহ বিভিন্ন জটিল ও বিরল রোগের ওষুধ দেশেই উৎপাদন হচ্ছে এবং প্রাপ্যতা সহজ হয়েছে। ফলে রোগীদের বিদেশমুখিতাও অনেক কমে এসেছে। একসময় ক্যান্সার, কিডনি, লিভার, ফুসফুসের কার্যকর কোনো ওষুধ ছিল না বললেই চলে। কিন্তু এখন দেশের বাজারে এসব রোগের চিকিৎসায় কোনো ধরনের ওষুধের ঘাটতি নেই। ওষুধ বিশেষজ্ঞদের ভাষায় এসব রোগের চিকিৎসায় মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। এখন দেশেই জীবনরক্ষাকারী ওষুধ মেলে সহজেই। ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসক এবং সরকারের পক্ষ থেকে সমন্বিত উদ্যোগের কারণে দেশের অভ্যন্তরেই ক্যান্সার প্রতিরোধে স্বল্পদামে নতুন নতুন ওষুধ তৈরি হওয়ার কারণে মানুষের মাঝে আস্থা ও স্বস্তি দুই-ই বেড়েছে। দেশে উৎপাদিত ওষুধগুলোর উচ্চমান বিদেশেও প্রশংসিত হয়েছে। ক্যান্সারের মতো রোগের ওষুধ সাশ্রয়ী মূল্যে এখন সর্বত্র পাওয়া যায়। উদাহরণ হিসেবে যদি বলি, ক্যান্সার সাপোর্টিভ কেয়ারের একটি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ পেগফিলগ্রাসটিম একসময় ৪০ হাজার টাকার ওপরে দাম ছিল, এখন এ ওষুধ ৪ হাজার পাওয়া যায়। অন্যান্য কেমোথেরাপির ওষুধও দেশে তৈরি হচ্ছে এবং এর মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে। দেশীয় কোম্পানিগুলোর কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।

এদিকে নতুন ধরনের জীবনরক্ষাকারী উচ্চমানের ভ্যাকসিন উৎপাদন ওষুধ শিল্প খাতকে রীতিমতো মর্যাদার আসনে আসীন করেছে। আগে একটি প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিনের জন্য আমাদের বিদেশের দিকে হাত পেতে থাকতে হতো। কিন্তু এখন সেসব ভ্যাকসিন আমাদের দেশেই তৈরি হচ্ছে এবং সাশ্রয়ী মূল্যে জনগণের কাছে দিতে পারছে। এটি এক ধরনের রেভল্যুশন বললেও ভুল হবে না। দেশেই এখন র‌্যাবিস, র‌্যাবিস-আইজি, হেপাটাইটিস বি, টাইফয়েড, টিটেনাস, টিটেনাস-আইজি, মিজেলস-রুবেলা, অ্যান্টিভেনাম, ফ্লু ও মেনিনজাইটিস, প্যালিলোভাক্সসহ নানা ধরনের ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে। এটি সম্ভব হয়েছে দেশের ফার্মাসিস্ট, কেমিস্ট, বায়োকেমিস্ট, বায়োটেকনোলজিস্ট, চিকিৎসক, প্রকৌশলী সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে। দেশের কিছু কোম্পানি এখন বিশ্বমানের ভ্যাকসিন উৎপাদন করার সক্ষমতা দেখিয়েছি, যা বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃকও প্রশংসিত হয়েছে।

এ সময়ে এ খাতের আরও একটি ঐতিহাসিক মাইলস্টোন হলো—ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ‘মেডোজেন সাবকিউ’ ইনজেকশন বিশ্বের প্রথম জেনেরিক সেলফ ইনজেকটেবল কন্ট্রাসেপটিভ ইনেজকশন হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন পেয়েছে। এটি বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের জন্য এক অনন্য স্বীকৃতি। এ অর্জন বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের সক্ষমতা ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

তবে শত সম্ভাবনার ওষুধ শিল্প খাত ঘিরে আরও কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। বিশেষত মানহীন ও নকল ওষুধ এ শিল্পের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বনামধন্য কোম্পানিগুলো যখন সর্বপ্রচেষ্টা দিয়ে ওষুধের আন্তর্জাতিক মান ও ফলাফল নিশ্চিত করে বিশ্ববাজারে নিজেদের বিস্তৃত করছে, তখন মানহীন নকল ওষুধ জনজীবনে নানা ধরনের আশঙ্কা তৈরি করছে। মানহীন ওষুধের নেতিবাচক প্রভাব কখনো কখনো আন্তর্জাতিক বাজারে নানা ধরনের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

দেশের ওষুধ শিল্প খাতের কলেবর শুধুই বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আমাদের আরও বেশি আশাবাদী করছে। আসলে ওষুধ শিল্প কোনো সাধারণ শিল্প নয়। শুধু পুঁজি থাকলেই এ শিল্প গড়া যায় না। ওষুধ শিল্প জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তির উৎকর্ষতা নির্ভর একটি সমন্বিত শিল্প। এ শিল্পের উদ্যোক্তাদের জ্ঞান-বিজ্ঞান-প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সঙ্গে মানবিক দায়িত্ববোধ সবচেয়ে বেশি থাকতে হয়। আমরা অভ্যুত্থান-পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে আরও অনেক ধরনের নীতি-সহায়তা পাব বলে প্রত্যাশা করেছিলাম। কেননা এ খাত সরকারি নীতি, উদ্যোগ ও সহযোগিতার কারণেই এতদূর এগিয়েছে। কিন্তু বর্তমান সময়ে আমরা লক্ষ করছি, সরকারের পক্ষ থেকে গৃহীত কিছু পদক্ষেপ এ খাতে আরও নতুন নতুন সংকট তৈরি করছে। সেসব সংকট নিয়ে আমরা সরকারের বিভিন্ন উচ্চমহলের সঙ্গে কথা বলেছি, সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা হতবাক হয়েছি যে, ড্রাগ কন্ট্রোল কমিটি (ডিসিসি), ওষুধের মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি প্রণয়নের জন্য তৈরি টাস্কফোর্সসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কমিটি থেকে ওষুধ শিল্প, ফার্মাসিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, আয়ুর্বেদিক, ইউনানি, হোমিওপ্যাথিক খাতের প্রতিনিধিদের বাদ রাখা হয়েছে। অথচ উল্লিখিত সবাই ওষুধ শিল্প খাতের অন্যতম অংশীজন। আমাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখার এক ধরনের প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। আমরা সব মিলিয়ে এও মনে করি, ওষুধ শিল্পের সুরক্ষার জন্য সব অংশীজনের অংশগ্রহণে একটি পরিষ্কার নীতিমালা তৈরি করাও আবশ্যক। যে সুষ্ঠু নীতিমালার ভিত্তিতে এ শিল্প খাত এগিয়ে যাবে। এ বিষয়ে আমরা নীতিনির্ধারণী মহলকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে সর্বদা প্রস্তুত।

সবশেষে বলব, দেশের অগ্রসর এ খাতকে ঝুঁকি বা বাধার মুখে না ফেলে এ খাতের সার্বিক উৎপাদন সক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সরকারকে অবশ্যই ইতিবাচক নীতি সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। কোনো ব্যক্তিবিশেষের উৎসাহে এ খাতে সরকার যে কোনো ধরনের নেতিবাচক নীতি কৌশল, সূক্ষ্ম মারপ্যাঁচ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। দেশের ওষুধ শিল্প খাত মানুষের জীবন রক্ষায় প্রায় সব ধরনের ওষুধ উৎপাদনের সক্ষমতা দিয়ে যে আশার প্রদীপ জ্বেলেছে, তা অব্যাহত রাখতে হবে।

ডা. মো. জাকির হোসেন

মহাসচিব, বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতি এবং এমডি, ডেল্টা ফার্মা লিমিটেড

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করবে এনসিপি

অবশেষে মেয়েকে প্রকাশ্যে আনলেন রণবীর-দীপিকা

শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপি নেতা বহিষ্কার

বিশ্বরেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ

ডেঙ্গুর ছোবলে উপকূল, কিট সংকটে ঝুঁকিতে রোগীরা

পাকিস্তানে ভূমিকম্প, রাতভর আতঙ্ক

নির্বাচনে কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার নির্দেশ সিইসির

কুমিল্লায় যুব অধিকার পরিষদের দুই নেতা গ্রেপ্তার

বাংলাদেশের কেউই যা করতে পারেননি, রিশাদ সেটি করলেন

স্কিন কেয়ারের বেসিক গাইড

১০

প্রবাসীর স্ত্রীকে মারধরের পর সালিশে ‘তালাক’

১১

আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সেনা কর্মকর্তারা আত্মসমর্পণ করেছেন : আইনজীবী

১২

ফুটবল মাঠে বিমান বিধ্বস্ত

১৩

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

১৪

অ্যাটলির বিজ্ঞাপনচিত্রে রণবীর-শ্রীলীলা

১৫

একটি রক্ত পরীক্ষা দিয়েই ৫০ রকম ক্যানসার শনাক্ত সম্ভব!

১৬

বাংলাদেশের প্রথম ‘কার্বন-নিউট্রাল শিশু’ রুহাব

১৭

যেসব সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানো হলো

১৮

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে দ্বিতীয় দিনে আপিল শুনানি চলছে

১৯

নাইজেরিয়ায় পেট্রোলবাহী ট্যাংকারে বিস্ফোরণ, নিহত ৩৫

২০
X