কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪০ এএম
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫০ এএম
অনলাইন সংস্করণ

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে দ্বিতীয় দিনে আপিল শুনানি চলছে

হাইকোর্ট ভবন। ছবি : সংগৃহীত
হাইকোর্ট ভবন। ছবি : সংগৃহীত

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে চূড়ান্ত আপিল শুনানি দ্বিতীয় দিনের মতো শুরু হয়েছে। বুধবার (২২ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়েছে।

আদালতে মামলার বিষয়ে শুনানি শুরু করেন অ‍্যাডভোকেট ড. শরীফ ভুঁইয়া। অন‍্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

এর আগে গতকাল আপিল শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে অ্যাডভোকেট ড. শরীফ ভুঁইয়া সংবিধান ব্যাখ্যা করার পদ্ধতি এবং সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে কীভাবে বিগত নির্বাচনের সময় দেশে সংকট তৈরি হয়েছিল, তা বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন করেন।

গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল করেন।

১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম. সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি ও রুল প্রদানের পর হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রিটটি খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে।

এই রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিলের অনুমতি দেওয়া হয় এবং ২০০৫ সালে রিট আবেদনকারীরা আপিল দায়ের করেন। আপিল বিভাগে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে।

ঘোষিত রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপসহ অন্যান্য পরিবর্তন আনা হয় পঞ্চদশ সংশোধনী আইনে, যা ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয় এবং ৩ জুলাই গেজেট প্রকাশ করা হয়।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি আবেদন করেন। অন্য চারজন হলেন তোফায়েল আহমেদ, এম. হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া এবং জাহরা রহমান। এরপর ১৬ অক্টোবর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।

এ ছাড়া, গত বছরের ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও একই আবেদন দাখিল করেন। পরে নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে গত বছর একটি আবেদন করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পীরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স উপসর্গের ৯ রোগী

জুলাই শহীদ কন্যা লামিয়া ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা

মাদ্রাসাছাত্রের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হলেন হুমায়ুন কবির

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াতের সাক্ষাতের সময় পরিবর্তন

ল্যাপটপে ম্যালওয়্যার ঢুকেছে কি না চিনুন ৭ লক্ষণে

বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করবে এনসিপি

অবশেষে মেয়েকে প্রকাশ্যে আনলেন রণবীর-দীপিকা

শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপি নেতা বহিষ্কার

বিশ্বরেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ

১০

ডেঙ্গুর ছোবলে উপকূল, কিট সংকটে ঝুঁকিতে রোগীরা

১১

পাকিস্তানে ভূমিকম্প, রাতভর আতঙ্ক

১২

নির্বাচনে কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার না করার নির্দেশ সিইসির

১৩

কুমিল্লায় যুব অধিকার পরিষদের দুই নেতা গ্রেপ্তার

১৪

বাংলাদেশের কেউই যা করতে পারেননি, রিশাদ সেটি করলেন

১৫

স্কিন কেয়ারের বেসিক গাইড

১৬

সালিশেই ‘তালাক’ ও আরেক পুরুষের সঙ্গে বিয়ে

১৭

আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে সেনা কর্মকর্তারা আত্মসমর্পণ করেছেন : আইনজীবী

১৮

ফুটবল মাঠে বিমান বিধ্বস্ত

১৯

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

২০
X