সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৪০ এএম
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:২৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলন পক্ষ-বিপক্ষের চেতনা

আমাদের স্বাধীনতা আন্দোলন পক্ষ-বিপক্ষের চেতনা

দেশের বুদ্ধিজীবীরা যে পরিমাণে দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থের সঙ্গে নিজেদের স্বার্থকে যুক্ত করতে পেরেছেন, সে পরিমাণেই তারা প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করেছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অনিবার্য করে তুলতে। কিন্তু বলাই বাহুল্য, বুদ্ধিজীবী সমাজের সব মানুষ সব সময় সাধারণ মানুষের সঙ্গে থাকেননি। তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন নিজেদের স্বার্থকে জনসাধারণের স্বার্থ থেকে স্বতন্ত্র হিসেবে দেখে। এটা মোটেই অস্বাভাবিক কিছু ছিল না, বিশেষ করে অপেক্ষাকৃত পরিণত বয়সের বুদ্ধিজীবীদের পক্ষে। বুদ্ধিজীবীরা ছিলেন এ দেশের উঠতি মধ্যবিত্ত শ্রেণির লোক এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণি চিরদিনই আত্মস্বার্থ সচেতন। তরুণ বয়সে আত্মত্যাগের সাহস থাকে, পরিণত বয়সে আসে বিষয়বুদ্ধি। তাই পরিণত বয়সের বুদ্ধিজীবীরা স্বভাবতই সজাগ ছিলেন, ছিলেন আত্মসচেতন। এর আরও একটা কারণ ছিল। উঠতি মধ্যবিত্ত শ্রেণির ভিত্তি ছিল অর্বাচীন ও দুর্বল। তাই এ শ্রেণির লোকদের পক্ষে কোনো ঝুঁকি নেওয়া কঠিন ছিল। পার্টিশনের আগে মুসলমান মধ্যবিত্তরা দেখেছিল অবিভক্ত বাংলার তুলনায় অধিকতর পুরাতন ও প্রতিষ্ঠিত হিন্দু মধ্যবিত্তের সঙ্গে প্রতিযোগিতার কারণে তাদের নিজস্ব শ্রেণিগত বিকাশের সুযোগ খুব সংকীর্ণ: আশা ছিল পাকিস্তানে সেই বিকাশ অনেক সহজ ও দ্রুত হবে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মধ্যবিত্তদের মধ্যে তাই একটা ব্যস্ততা দেখা গিয়েছিল নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার। বুদ্ধিজীবীরাও ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু সুবিধা যতটা আশা করা গিয়েছিল—ততটা পাওয়া যায়নি। সুযোগ অবাধ হয়নি, কিছুটা দ্রুত হয়েছিল যদিও। হিন্দুরা চলে যাওয়ায় চাকরি খালি হয়েছিল, সেগুলো পাওয়া গেল। কিন্তু ওই পর্যন্তই। হিন্দু মধ্যবিত্তের জায়গায় নতুন প্রতিযোগী এসে জুটেছে, পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যবিত্ত, যারা আগে থেকেই অনেকটা প্রতিষ্ঠিত ছিল। ব্যবসায়-বাণিজ্য তো বটেই, বাংলাদেশের মধ্যবিত্তের প্রধান যে অবলম্বন চাকরি, সেই চাকরির ক্ষেত্রে পশ্চিম পাকিস্তানিরা যে শক্তিশালী প্রতিযোগী হয়ে দেখা দিল তা নয়, চাকরির তারা মালিকও হয়ে রইল। ছোট-বড় সব রকমের চাকরির। স্পষ্ট সত্য হয়ে দাঁড়াল এই যে, পশ্চিম পাকিস্তানিদের অসন্তুষ্ট করলে জীবিকার্জনের পথ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাবে, তুষ্ট করলে উন্নতি কিছু ঘটতে পারে। প্রধানত এই অর্থনৈতিক কারণেই বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী সমাজের একাংশ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে গিয়েছিল, সরে গিয়ে পাকিস্তানের গুণগানে ব্রতী হয়েছিল। এ কাজ করে তাদের লাভ হয়েছে ব্যক্তিগতভাবে। তা ছাড়া সামনে প্রত্যাশার একটা দিগন্তও দেখা যাচ্ছিল।

বুদ্ধিজীবীদের প্রলোভন দেখানোর কাজ পাকিস্তান সরকার শুরু থেকেই করেছে। উদ্দেশ্যটা সহজ। সরকার চেয়েছে জনসাধারণকে শোষণ করতে বুদ্ধিজীবীরা যদি জনসাধারণের অংশ হয়ে যান, জনসাধারণের সঙ্গে থাকেন, তবে তারা মানুষের চোখ খুলে দিতে পারেন, চোখ খুলে দিলে শোষণ করতে অসুবিধা। আর যদি বুদ্ধিজীবীদের দিয়ে পাকিস্তানের মহিমা প্রচার করানো যায়, তাহলে শোষণ কাজটা আরও নির্বিঘ্নে হতে পারে। বুদ্ধিজীবীদের জীবনে যেহেতু অভাব ছিল সচ্ছলতার এবং লোভ ছিল স্বাচ্ছন্দ্যের—তাই অল্পতেই তারা আকৃষ্ট হতেন। চাকরিতে উন্নতি, পুস্তকের জন্য পারিশ্রমিক পরবর্তীকালে তমঘা ও পুরস্কার, বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ এসবের সাহায্যে জনসাধারণ থেকে বুদ্ধিজীবীদের বিচ্ছিন্ন করার প্রয়াস সরকার করেছে, সক্ষমও হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। বুদ্ধিজীবী সমাজের, লেখক, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবহারজীবী এদের মধ্যে বিশিষ্ট যারা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তাদের প্রায় সবার জীবনেই সমৃদ্ধি এসেছে। তাই পাকিস্তানের প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতাবোধ না থেকে পারেনি, তাদের জীবন ও সাধারণ মানুষের জীবন বিপরীত দিকে চলেছে, অনিবার্যভাবেই। তুলনায় যারা প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন কম, তাদের পক্ষেও সরকারি বক্তব্য সমর্থন না করে উপায় থাকেনি। এর কারণ—তাদের জীবনে অর্থনৈতিক নিরাপত্তাবোধের অভাবটা ছিল আরও বেশি, তারা ভয় পেয়েছেন যে, সামান্য ধাক্কাতেই তারা গড়িয়ে পড়বেন নিচের খাদে এবং ধাক্কার আশঙ্কা সবসময়ই ছিল—সরকার শুধু প্রলোভনই দেখায়নি, ভয়ও দেখিয়েছে এবং প্রলোভনের তুলনায় ভয় কিছু কম শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেনি। ভয়ের জন্য ভুলকে ভুল, অন্যায়কে অন্যায় বলে প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। মধ্যবিত্তের মনেও অর্থনৈতিক অসন্তোষ ছিল; কিন্তু সেই অসন্তোষ কিংবা তার চেয়েও বড় অসন্তোষ সাধারণ মানুষের অসন্তোষকে উন্মোচিত করার মতো পর্যাপ্ত সাহস বুদ্ধিজীবীদের অনেকের মধ্যেই দেখা যায়নি। ভয়টা কল্পিত ভয় ছিল না। বামপন্থি বলে পরিচিত যারা প্রয়োজনবোধে তাদের কারাগারে নিক্ষেপ করার ব্যাপারে সরকার দ্বিধা করেনি। অন্যদিকে অবাধে চিন্তা ও মতামত প্রকাশ করার সুযোগ বা স্বাধীনতা কোনোদিনই ছিল না পাকিস্তানে। যেমন পত্রপত্রিকা প্রকাশের কথা উল্লেখ করা যায়। এমনিতে এ কাজটা দুরূহ ছিল অর্থনৈতিক কারণে। তদুপরি পত্রিকা প্রকাশ করতে হলে আগে অনুমতি নিতে হতো সরকারের।

সরকারের অপছন্দ হলে চালু পত্রিকা যে কোনো সময় বন্ধ করা হতো। সম্পাদককে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়ার উদাহরণও অজানা নয়।

প্রলোভন ও ভীতির সাহায্যে বুদ্ধিজীবীদের বিচ্ছিন্ন করার কাজ পাকিস্তান আমলে অবিরাম চলেছে, এবং সফলতাও এসেছে এই দরিদ্র দেশে, ভয়ের দেশে। তবে প্রলোভন ও ভীতির বাইরেও, পাকিস্তান যে একটা আদর্শভিত্তিক রাষ্ট্র এরকম কথা কেউ কেউ বলেছেন নিজেদের বিশ্বাস থেকে। এরা হচ্ছেন আলবদর বাহিনীর শিক্ষাগুরু। ভুল শিক্ষার কারণে, সংস্কারের বশে, প্রচলিত ধারণার প্রভাবে এরা ইসলামী সমাজব্যবস্থা নামে একটি বাস্তবতার সঙ্গে সম্পর্কবিরহিত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পরীক্ষাস্থল হিসেবে পাকিস্তানকে কল্পনা করেছেন। তাদের মধ্যে এমনকি সাধারণ মানুষের দুঃখে দুঃখিত মানুষও ছিলেন, তারা সমাজতন্ত্র চাইতেন, কিন্তু বলতেন এ হবে ইসলামী সমাজতন্ত্র, অর্থাৎ ভয় যে একেবারে ছিল না তা নয়, ছিল অন্য এক ভয়, ঈশ্বরহীনতার ভয়। এই বিশ্বাস গোঁড়ামিতে পরিণত হয়েছে। গোঁড়ামি থেকে জন্ম হয়েছে আলবদরের। সমাজতন্ত্রের প্রয়োজন জনসাধারণের মঙ্গলের জন্য, কিন্তু ইসলামের মায়া এসে এদের চিন্তাকে দূর আরবের এমন একটা মনগড়া রাজ্যে নিয়ে গিয়েছে—যেখান থেকে ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। তাদের বুদ্ধিজীবী কর্মগুলো গণবিরোধী, অর্থাৎ বাংলাদেশ বিরোধী শক্তিকেই পুষ্ট করেছে।

কিন্তু বিভ্রান্তি আরও ছিল। বিভ্রান্তি ছিল উদ্দেশ্যহীনতা, ছিল তথাকথিত আধুনিকতার। ইসলামী আদর্শের অনুসারীরা ছিলেন অপেক্ষাকৃত প্রবীণ, তুলনায় তরুণ যারা তাদের একাংশ এই দ্বিতীয় বিভ্রান্তির করতলগত হয়েছেন আর উভয় বিভ্রান্তির পেছনে হাত ছিল সাম্রাজ্যবাদীদের। পাকিস্তানবাদীরা ভীষণ জোরে বলেছেন যে, পাকিস্তানের পুণ্যভূমিতে বিদেশি সংস্কৃতি ও আদর্শের কোনো স্থান নেই। বলাবাহুল্য, বিদেশি সংস্কৃতি বলতে বোঝানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতি, বিদেশি আদর্শ বলতে সমাজতন্ত্রের আদর্শ। বিদেশি সংস্কৃতি বলতে সাম্রাজ্যবাদী সংস্কৃতিকে, বিদেশি বলতে ধনতন্ত্রের আদর্শকে এরা প্রায় কখনো বোঝাননি, বরং সাম্রাজ্যবাদ ও ধনতন্ত্রের প্রভাবকে বিশেষ আদরের সঙ্গে স্বাগত জানানো হয়েছে। পত্রপত্রিকায়, চলচ্চিত্র, বেতারে, টেলিভিশনে, সভা-সমিতিতে ধনতান্ত্রিক দুনিয়ার মাহাত্ম্য প্রচারের সুযোগ-সুবিধা করে দেওয়া হয়েছে অবাধে। ফলে এই অতিদরিদ্র ও ভয়ংকর অনগ্রসর দেশে বিলাসের অত্যাধুনিক সাজসরঞ্জাম যেমন এসেছে, তেমনি সঙ্গে সঙ্গে এসেছে এমন একটা জীবনদৃষ্টি যার পরিচয়চিহ্ন হচ্ছে উদ্দেশ্যহীনতা, জীবনবিচ্ছিন্নতা, আত্মকেন্দ্রিকতা ও নগ্নতা। বুদ্ধিজীবীদের একাংশ বিলাসের উপকরণগুলা কিছু কিছু পেয়েছেন; কিন্তু তার চেয়েও বেশি পেয়েছেন ওই জীবনদৃষ্টি, বলা যায় ওর জালে তারা আটকা পড়েছেন। সংস্কারাচ্ছন্ন আলবদর ও সংস্কারহীন অত্যাধুনিক—এর মধ্যে খুব বড় একটা মিল আছে: উভয়ই সাম্রাজ্যবাদের সমর্থনে প্রতিপালিত, উভয়ই দেশের সাধারণ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন, বিচ্ছিন্ন শুধু নয়, সাধারণ মানুষের প্রতি বিশিষ্টও বটে।

বুদ্ধিজীবীদের অপরাংশের বেশিরভাগ সদস্য সব সময়ে যে সাধারণ মানুষের স্বার্থের বিরোধিতা করেছেন তা নয়। যখন তারা বিরোধিতা করেছেন, তখন তার ফলে সাধারণ মানুষের স্বার্থ বিপদগ্রস্ত হয়েছে ঠিক; কিন্তু তাদের সেই কাজের ফলে জনতার মনে যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে, তাতে জনতার স্বার্থ আবার এগিয়েও গেছে। কাজেই বিচ্ছিন্নতার যে ধারার কথা বললাম সেই ধারাও অনেক সময় নেতিবাচক উপায়ে, অপ্রত্যক্ষরূপে, নিজের অজান্তেই স্বাধীনতার পথে বাংলাদেশের আন্দোলনের অগ্রগামীকে সহায়তা দান করেছে।

বুদ্ধিজীবী সমাজের অন্য যে অংশ জনসাধারণের স্বার্থের সঙ্গে নিজেদের স্বার্থকে এক করে দেখতে পেয়েছেন, তাদের কাজে স্বাধীনতার আন্দোলন লাভবান হয়েছে অত্যন্ত প্রত্যক্ষভাবে। এ অংশটিই ছিল বৃহত্তর অংশ এবং এ অংশের বৃহত্তর অংশ এসেছিল তরুণ সমাজের মধ্য থেকে। তারা তরুণ ছিলেন বলে তাদের মধ্যে একটা নবীন আদর্শবাদ ছিল, ছিল প্রলোভন এবং ভীতির কাছে আত্মসমর্পণ না করার সাহস। তদুপরি পূর্ববর্তীদের তুলনায় এদের অর্থনৈতিক ভিত্তিটাও ছিল কিছুটা শক্তিশালী।

জনসাধারণের আশা পূরণের ক্ষেত্রে পাকিস্তান যে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হবে তার প্রাথমিক লক্ষণ ধরা পড়েছিল ১৯৪৮ সালে, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই। অবশ্য পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আগেও দেশের সব বুদ্ধিজীবীই যে মুসলিম লীগের সাম্প্রদায়িক রাজনীতিকে মনেপ্রাণে গ্রহণ করেছিলেন, তা নয়। ঢাকাতেই ‘বুদ্ধির মুক্তি’ নামে একটি ক্ষুদ্র অথচ তাৎপর্যপূর্ণ আন্দোলন গড়ে উঠেছিল অধ্যাপক ও ছাত্রদের নিয়ে। এরা সংস্কার মুক্তি ও স্বাধীন চিন্তার ওপর গুরুত্ব দিতেন। ইসলাম ধর্ম সম্পর্কেও এদের মনের মধ্যে নানান প্রশ্ন উঠেছিল। নজরুল ইসলামকে নিয়ে পাকিস্তানবাদীরা পরবর্তী সময়ে অনেক বাগাড়ম্বর করেছে, কিন্তু নজরুল ইসলাম কোনোদিনই সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে আস্থাশীল ছিলেন না, তিনি বরং আস্থা রেখেছিলেন শ্রমিক-কৃষকদের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনে। এটা আগের কথা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর ১৯৪৮ সালে, এমনকি যারা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মধ্যে মঙ্গলের প্রত্যাশা দেখেছিলেন, তারাও কিছুটা চিন্তিত না হয়ে পারেননি। চিন্তিত হয়েছিলেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দুকে চালু করার উদ্যোগ-প্রয়োজন দেখে। ১৯৪৮-এর গোড়ার দিকেই অধ্যাপক ও ছাত্রদের একাংশ দাবি তুললেন অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার পক্ষে। সরকারের দিক থেকে বিরোধিতা এলো, প্রত্যাশিত বিরোধিতা এবং তখনই, সে সময়েই পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদের জায়গায় নতুন এক জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটল, বাঙালি জাতীয়তাবাদের। ঘটনাটা তেমন কোনো ঘটা না করেই ঘটল। অধিকাংশ মানুষই লক্ষ করল না রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য যে কী, এ যে কোন পর্যন্ত যাবে সেটা শাসকরা তখন বোঝেনি, এমনকি তারাও বোঝেননি যারা শুরু করেন এই আন্দোলন।

লেখক : ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি 

সুদ দিতে না পারায় বসতঘরে তালা, বারান্দায় রিকশাচালকের পরিবার

দেশ বাঁচাতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে : চরমোনাই পীর

এএসপির বাসায় চাঁদাবাজি-ভাঙচুর, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

জেলের জালে বড় ইলিশ, ৯ হাজারে বিক্রি 

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বেতন নিয়ে নতুন নির্দেশনা

আগামী সংসদ প্রথম তিন মাস ‘সংবিধান সংস্কার সভা’ হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব

ধরলার তীব্র ভাঙন, টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি

নেতা ও ভোটারের জবাবদিহিই হবে শ্রেষ্ঠ সংস্কার : মঈন খান

পাপের ফল ওদের ভোগ করতেই হবে : রাশেদ খান

১০

ক্ষমা চাইলেন স্বাধীন খসরু 

১১

স্বাধীনতাবিরোধীরা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত : আমিনুল হক

১২

ঢাকায় উদযাপিত হলো রাশিয়ান পতাকা দিবস

১৩

একাদশে ভর্তিতে কোনো শিক্ষার্থী পায়নি ৩৭৮ কলেজ

১৪

৫০ হাজারে শ্লীলতাহানির রফাদফা করলেন সভাপতি-প্রধান শিক্ষক

১৫

কে বেশি টাকা দেয়, ফেসবুক নাকি ইউটিউব

১৬

অর্ধ বিলিয়ন জরিমানা থেকে রেহাই পেলেন ট্রাম্প

১৭

মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে থানায় জিডি মহানগর বিএনপি নেতা কফিল উদ্দিনের

১৮

চাকরির নামে প্রতারণা, আমেরিকা প্রবাসী আটক 

১৯

শর্ত না মানলে ধ্বংস হবে গাজা সিটি : ইসরায়েল

২০
X