তথ্য ফাঁস
২০২৩ সালে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি অঙ্গনে বড়-ঝাপটা ছিল ডিজিটাল তথ্য ফাঁসের ঘটনা। প্রথম আঘাত আসে জুলাইয়ে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের ডাটাবেজে থাকা নাগরিকদের তথ্যভান্ডারের একটি বড় অংশের ‘অ্যাকসেস’ পেয়ে যান সাইবার নিরাপত্তা গবেষক ভিক্টর মার্কোপোলোস। দাবি করা হয়, এতে অন্তত ৫ লাখ নাগরিকের তথ্য ফাঁস হয়েছে। বিষয়টি সাইবার হামলা না হলেও সরকারি ওয়েবসাইটে দুর্বলতা ফুটে ওঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশেষ কমিটি গঠন করে সরকার।
সাইবার হামলা
আগস্ট মাসজুড়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ডিজিটাল অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে সাইবার আক্রমণ চালায় অপরাধীরা। জন্ম ও মৃত্যু সনদ বিতরণ কার্যক্রম, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের মতো বিভিন্ন সেবা পেতে নাগরিকদের হিমশিম খেতে হয়। নভেম্বরেও দেশের একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে বড় আকারের তথ্য ফাঁসের ঘটনা শিরোনাম হয় আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।
সাইবার নিরাপত্তা আইন
অনেকের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আগের আইনটি বাতিল করে নতুন ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩’ প্রণয়ন করা হয়। গত ২৮ আগস্ট মন্ত্রিসভায় খসড়া অনুমোদনের পর ১৩ সেপ্টেম্বর সংসদে পাস হয়। ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির নাম বদলে রাখা হয় ‘সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি’। জামিন অযোগ্য চারটি ধারার উপস্থিতি এবং পরোয়ানা ছাড়াই পুলিশকে তল্লাশির ক্ষমতা দেওয়ায় সমালোচিত হয় নতুন আইনটিও। পাস হওয়ার প্রথম এক মাসে এ আইনে শুধু রাজধানীতেই ১৪টি মামলা হয়।
বিএমইটি সার্ভার জালিয়াতি
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) সার্ভার ব্যবহারের মাধ্যমে বিদেশ গমন ছাড়পত্রের ভুয়া স্মার্টকার্ড ইস্যু করে একটি চক্র। এসব কার্ডের মাধ্যমে চাহিদার অতিরিক্ত কর্মী বিদেশে পাঠায় কিছু রিক্রুটিং এজেন্সি। জালিয়াতির মাধ্যমে এক এজেন্সির নামে কার্ড তৈরি করে কর্মী পাঠায় অন্য এজেন্সি। এমন ঘটনা সামনে আসার পর নড়েচড়ে বসে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।